
খানাকুলে তৃণমুলনেতা যুধিষ্টির বাবু খুন হলেন। সিপিএম তাকে ছবছর গৃহছাড়া করে রেখেছিল। কিন্ত দমাতে পারেনি নরপিশাচ সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার লড়াই। ফলে অন্যান্য তৃণমুল নেতাদের ন্যায় তিনিও শহীদ হলেন। দেড়শো সিপিএম হার্মাদ বাহিনী তার বাড়ি ঘিরে কুপিয়ে রেখে গেল।
একই দিনে খবর পশ্চিম বঙ্গের প্রতিটা কলেজে এস এফ আই এর সাথে দুই ছাত্রপরিষদের সংঘর্ষ।
মুঠোর রাশ যে আলগা হয়ে আসছে-এটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে সিপিএম নেতা এবং ক্যাডারদের। পঞ্চায়েতের চাল-গম আর এতদিনের মৌরসীপট্টার দিন শেষ হয়ে আসছে, এটা সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী ক্রমশ বুঝছে। ফলে, লাল সন্ত্রাস এখন গোটা পশ্চিম বঙ্গেই ছড়িয়ে পরবে। এবং তার কাউন্টার রেসপন্স হিসাবে সবুজ সন্ত্রাস ও আমরা দেখব। তখন আবার সিপিএম খোকা, আমাদের মারছে বলে মায়াকান্না জুড়বে।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই হিংসা? ভারতের অন্যরাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা অনেক কম। এসব কিছুরই মূলে মাথা পিছু জমি কম হয়ে আসা-কিন্ত রাজনৈতিক দলগুলি জমির ওপর বর্ধিত চাপ কমামোর জন্যে কিছুই করে নি। দায় অবশ্যই সিপিএমের। গ্রামে উৎপাদন বাড়ানো বা কুটির শিল্পের প্রসারে তাদের ভুমিকা টা ঠিক কি? ১৯৯৮ সালের পর থেকে পশ্চিম বঙ্গে কৃষির উৎপাদন প্রায় থেমে গেছে। কৃষিভিত্তিক শিল্প কোথাও গড়ে ওঠে নি। অথচ বাঁচার জন্যে এখন দ্বিগুন টাকা লাগে। আবার জনসংখ্যাও বেড়েছে। তাহলে লোকগুলো যাবে কোথায়? খাবে কি? এদিকে নেতারা নিজেদের মাইনে , ছেলে বৌদের চাকরি ঠিকই ম্যানেজ করেছেন।
হয়ত প্রতিটি কমিনিউস্ট শাসনে শেষ হয়ে এলে এমন এনার্কি-বা অরাজকতার দরকার হয়। লেনিন বলতেন রক্ত ছাড়া বিপ্লব হয় না-হয়ত একই কারনে এটাও সত্য শহীদদের বলিদান ছাড়া এই রাজ্য লাল সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্ত হবে না। সিপিএম নেতারা শুনছেন কি না জানি না-তবে এই রকম চললে, তৃণমুল ক্ষমতায় এলে হয় আপনাদের সবার সামনে কান ধরে তৃণমুলে যোগ দিতে হবে-নইলে বিহার বাংলাদেশে পালাতে হবে।
৩২ বছর মানুষের ওপর সিপিএম যা অত্যাচার চালিয়েছে, তারপরেও সিপিএম নেতারা যদি গনধোলাই না খেতে চাই-তাদের বাঁচার একটাই পথ। গণতন্ত্রকে প্রতিটা পদে শ্রদ্ধা করা। গণতন্ত্রের ভিত্তিটা ভেঙ্গে দিলে, এর পরে সিপিএম বলে কোন পার্টি থাকবে না। গণধোলাই এ নিশ্চিহ্ন হবে। এবং সাধারন মানুষ তাতে দুঃখ করার বদলে খুশীই হবে।
No comments:
Post a Comment