Thursday, March 19, 2009

মুখে মারিতং জগতের পুরস্কারটা সিপিএমের প্রাপ্য

১৫ বছরের পুরানো অটো বাস কলকাতার রাস্তা থেকে বিদায় করা গেল না।
সরকার আরো ছমাস, ১৫ই আগষ্ঠ অব্দি আদালতের কাছ থেকে সময় পেল।

শিক্ষা, শিল্পে পশ্চিম বঙ্গে সবার থেকে পিছিয়ে পড়েছে-সেই নিয়ে যত বিতর্ক হয়-এই রাজ্য
পরিবেশের দিক দিয়েও কি ভয়ংকর পরিণতির দিকে -তা নিয়ে আমরা আলোচনা করি না।
এত দূষিত বাস, ট্যাক্সি কলকাতা ছাড়া ভারতের আর কোন শহরে চলে না। দিল্লী একমাত্র ২০০১ সালের আগে কলকাতার সাথে দূষনে পাল্লা দিত- তারাও দূষন নিয়ন্ত্রনে সফল। আর আমাদের রাজ্য সরকার মুখে শুধু বাত ঝেড়ে গেছে। গত ৩৩ বছরে সেটাই তারা একমাত্র করেছে। আসুন দেখি কলকাতার বাতাসের অবস্থাটা কি--তারও আগে কোলকাতায় যারা থাকেন তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থাটা দেখি বায়ুদূষনের কারনেঃ

সুত্র বিবিসি ২০০৭ সালের স্টাডিঃ

  • কোলকাতার ৭০% লোকের ফুসফুস ঘটিত রোগ আছে-যা হাঁপানি বা লাঙ্গস ক্যান্সার বা সমগোত্রের ফুসফুসের রোগ হতে পারে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের স্টাডি এটি
  • ভারতের অন্যান্য শহরের মধ্যে কোলকাতায় ফুসফুসের ক্যান্সার সব থেকে বেশী -১৯ জন প্রতি ১০০০ জনে। যা নিকটতম প্রতি্দ্বন্দী দিল্লী (১৫ জন) অনেক বেশী
  • বাতাসে ভাসমান কনিকা এবং স্বাসের বায়ুতে ধূলিকনার সেফ লিমিট -১৪০ এবং ৬০।কোলকাতায় এটি ২১১ এবং ১০৫। সেফ লিমিটের অনেক ওপরে। ভারতের কোন শহরের বায়ুতে এত দূষিত কনা নেই।

এসবের কারন অবশ্যই শহর থেকে পুরাতন বাস, অটো সরানো যাচ্ছে না। জীবিকার অজুহাত।

আমার জানতে ইচ্ছা হয় সেটা কি শহরের সবাইকে মেরে ফেলার থেকেও গুরুত্বপূর্ন? অবশ্য সিপিএম কে একা দুষেই বা হবে কি? দিদিই ত এই পুরাতন গাড়িগুলিকে রাখার পক্ষে। তাতে শহরের লোক মরলে মরুক-ভোট ত আসবে। টাটা গেল ত কি কি হল-ভোট ত আসবে! ব্যেসিক্যালি পশ্চিম বঙ্গের সব থেকে দুর্ভাগ্য এই যে এখানে শাসক এবং বিরোধি দল উভয়ই ভোটসর্বস্ব ফ্যাসিস্টপন্থি আপাদমস্তক অপদার্থ- বাচালে ভর্ত্তি চাটুকারের দল। এরা নেতাজি সুভাস বা বিধানচন্দ্রের উত্তারাধিকার ভাবতেও গা ঘিন ঘিন করে। আবার এদের দোষ দিয়েই বা হবে কি-এরাও ত বাঙালীর প্রতিচ্ছবি। যারা নিজেদের সবথেকে সবথেকে বেশী সচেতন ভাবে-অথচ এই জাতের মতন অপদার্থ এবং গর্দভ কোথাও গেলে পাবে নাকো তুমি।

  • দফস

No comments:

Post a Comment