Wednesday, March 11, 2009

কংগ্রেস-তৃণমূল জ়োট ঘোষিত হল

মমতার হুমকিতে কাজ হল। কংগ্রেস ২৮-১৪ ফর্মুলা মেনে নিল। না কংগ্রেস তাদের কাঙ্খিত ৫ টি সিটের মাত্র একটি-বিষ্ণুপুরের বদলে জেনারেল ক্যাটেগরীর বীরভূম পেল। অর্থাৎ ওভার অল এটা মমতার জয়। প্রণব নিজে মমতাকে ফোন করে জোটের কথা জানান আজ সন্ধ্যায়। মমতা নির্বাচনী প্রচার শুরু করার জন্যে অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন। ফলে আজকে কংগ্রেসকে ঘোষনা করতেই হল।

সব মিলিয়ে লাভ মমতার। কংগ্রেসের সাংঘাতিক ক্ষতি। কোলকাতা চব্বিশ পরগনাতে একটাও আসন দিতে পারল না। রাজ্য রাজনীতিতে আরো দূরে সরে গেল কংগ্রেস। পাশাপাশি উঠে এল তৃণমূল। এছারা উপায়ও ছিল না। তৃনমূলে নতুন দুচারটি মুখ তাও দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেসে তাও নেই। আসলে সেটাও না। কংগ্রেসের পাশে মানুষ থাকত-কিন্তু নেতারা নিজেদের গদি নিয়েই ব্যাস্ত ছিলেন। যেখানে মমতা মানুষের পাশে গেছেন। এরাজ্যে সব থেকে বড় সমস্যা সিপিএমের চক্রবূহ্য। সেটা সম্বল করেই মমতা এগিয়ে গেলেন। সিঙ্গুরে আমরা টাটাকে হারালাম-হারালাম শিল্প সম্ভাবনা-কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার নেগেটিভ প্রভাব তৃণমূলের ওপর পড়ে নি। অর্থাৎ সিপিএমের হাত থেকে মুক্তিটাই পশ্চিম বঙ্গে সব থেকে বড় ইস্যু হয়ে উঠছে। কংগ্রেসেরও এই ভবিতব্যকে না মেনে উপায় নেই। তবে একটাই ভাল-সেটা হচ্ছে তৃণমূল-কংগ্রেসে কর্মী স্তরে সম্পর্ক এখনো খুব ভাল। মমতা-প্রণব বা মমতা-সোনিয়া সম্পর্কও ভাল। তাই কংগ্রেস তৃণমূলের ওপর ভরসা করতে পারে-এই ভেবেই হয়ত ক্ষতি স্বীকার করে নিলেন সোনিয়া।

পাশাপাশি প্রকাশ কারাতের মূর্খতার আরেকবার খেসারত দেবে সিপিএম। সিপিএম ইউ পি এতে থাকলে কংগ্রেস তৃণমুল জোট হত না। তৃণমূলও এত দড়াদরি করতে পারত না। সবাই ৪২ টা করে পার্থী দিত। সব থেকে বড় কথা এন ডি এ ছাড়া তৃণমূলের উপায় থাকত না। সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে সরে যেত। বা তৃনমূল এন ডি এ ছেড়ে একলা চলোরে বললে ভোট ই পেত না।

No comments:

Post a Comment