Saturday, March 21, 2009

সইফুদ্দিন না কবীর সুমন?

সইফুদ্দিন চৌধুরী যাদবপুরে পার্থী হওয়াই অনেক বিরোধি বন্ধুরাই স্পস্টত ক্রুদ্ধ। কেও কেও কুৎসা রটাচ্ছেন সিপিএমের টাকা খেয়ে সইফুদ্দিন পার্থী হয়েছেন যাতে সিপিএমের সুবিধা হয়। কি আনন্দের কথা-একজন লোক যে সিপিএমের তিনবারের এম পি ছিলেন-বাঁধা ছিল নিশ্চিত পলিটবুরোর সদস্যপদ-তিনি সেইসব ছেড়ে দিয়ে আদর্শের প্রশ্নে, সিপিএমের অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে নতুন পথের নতুন দল তৈরী করলেন। আর আজ বলা হচ্ছে তিনি সিপিএমের টাকা খেয়েছেন? শুধু যারা তৃণমূল করে তারাই একমাত্র সিপিএম বিরোধি? সিপিএম বিরোধিতাকি মমতার খাস তালুক না কি?

একটা কথা সিপিএম এবং তৃণমূলের 'সমর্থক' দের পরিস্কার জানা উচিত। কজন সি পিএম কে চাই?
১৫%? ২০%--সংখ্যাটা ২৫% বেশী হওয়া সম্ভব না। বাকী ২৫% বামফ্রন্টকে ভোট দিতে বাধ্য হয়-তাদের পছন্দ করে বলে এই ভোট দেয় না। তার কারন, তারা বিরোধিদের আরো বেশী অপদার্থ বলে মনে করে। আর কজন বঙ্গবাসী তৃণমূলকে পছন্দ করে? মমতাকে পছন্দ করে? সংখ্যাটা ১০% এর বেশী? আমি খুব জোর গলায় বলবো-তারও কম। কিন্তু তাও মমতার দল ইদানিং বিপুল ভোটে জিতছেন। কারন সিপিএমের আত্মরম্ভিকতা এবং অগণতান্ত্রিকতায়-সাধারন মানুষের চারিদিকে যে চক্রব্যুহ তৈরী হয়েছে-তার থেকে সাধারন মানুষ মুক্তি চাইছে।

এর পরেও বলব, মমতা এবং সিপিএমকে ঘৃণা করে এমন বাঙালীর সংখ্যা ৫০% এর বেশী। এরাই সাধারন বাঙালী। এই তৃতীয় শক্তির জায়গাটা কংগ্রেস নিতে পারত-কিন্ত দিল্লীদের নেতাদের অপরিনামদর্শিতায় নিতে পারল না। পি ডিএস ও নিতে পারত। কিন্তু সমীরবাবু মমতার আঁচল ধরে থেকে পার্টির অস্তিত্বই ঝুলিয়ে দিলেন। সংখ্যাধিক্য যে বাঙালী-যারা চাইছিল অহিংসার রাজনীতি-উন্নতির রাজনীতি-গণতন্ত্রের রাজনীতি-তাদের প্রতিনিধিত্ব করার কেও রইল না বাংলায়। পড়ে রইল, সিপিএমের অগণতান্ত্রিকতার সাথে মমতার উন্নয়ন বিরোধি আন্দোলনের ফলে কৃত এক শ্বশান বঙ্গ।

এর পরেও আমাকে মানতে হবে সইফুদ্দুন চৌধুরীর মতন পার্থীদের প্রাসঙ্গিকতা নেই? যিনি মমতা এবং সিপিএমের থেকে সমান দূরত্বে থেকে গণতন্ত্র, অহিংসা এবং উন্নয়নের রাজনীতির প্রতীক হিসাবে দাঁড়াতে চাইছেন? যারা মমতা এবং সিপিএম -উভয়কেই চান না-তারা সইফুদ্দিনকে ভোট দিয়ে তাদের নীরব প্রতিবাদ জানাবেন সেইসব ক্ষমতালোভি হাঙরদের বিরুদ্ধে যাদের জন্যে পশ্চিম বাংলার আজ এই হাল।

জনগণের প্রতি সেই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে।

যাদবপুরের মানুষ কাকে ভোট দেবেন তাদের ব্যাপার। আমার নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর। ভোট দেওয়ার জন্যেই আমি আমেরিকা থেকে ভারতে আসছি-কারন তখন পর্যন্ত জানতাম ওখানে কংগ্রেস দাঁড়াবে। এখন বুথে যাব-এবং সংবিধানের ৪৯ ধারা মেনে কাওকে ভোট না দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করব। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট সেটা আগেই বলেছি। তাপস পালকে ভোট দেব কেন? উনি ওই অঞ্চলের সমস্যা নিয়ে কি জানেন? কটা নদী মারা গেছে আমাকে বলতে পারবেন? বৃটিশ আমলের পর একটাও খাল কাটা হয় নি-একটাও ব্রীজ তৈরী হয় নি-বন্যা হলে এখন ভেসে যায়। মমতার একদিন মনে হলে ওখানে তাপস পালকে দাঁড় করানো হৌক -টিকিট দিয়ে দিলেন। চাপিয়ে দিলেন স্থানীয় মানুষদের ওপরে। যেভাবে ওই এলাকাতে আগে সিপিএম দীর্ঘদিন অজয় মুখার্জী বলে এক অপদার্থ এম পি কে রেখেছিল-যিনি স্থানীয় লোক ছিলেন না। অজয় বাবু সম্মন্ধে এই কথা বলতে খুব খারাপ লাগছে-আমার ছোটদাদু উনার আপ্ত সহায়ক ছিলেন বহুদিন। সেই সুত্রে অনেকবার দেখা হয়েছে। কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া পার্থীরা এই এলাকার জন্যে কিছুই করে নি।

আসলে অধিকাংশ জনগনই বোঝে সিপিএমের আদর্শের বুলিও যেমন ফানুস-তৃণমূলের সিপিএম বিরোধিতাও ততটাই অন্তসারশুন্য -পশ্চিম বঙ্গের জন্যে আরো ভয়ংঙ্কর। তৃণমূল এবং সিপিএমের আসল খেলাটা ক্ষমতার। সেই জন্যেই এত হিংসা চারিদিকে। এর থেকে মুক্তির জন্যে-নিদেন পক্ষে এদের ক্ষমতার রাশে টান ধরতে জনগনের তৃতীয় শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার ভীষন দরকার আজ পশ্চিম বঙ্গে। সইফুদ্দিন চৌধুরী যদি ভালো ভোট টানতে পারেন-তাহলেই বোঝা যাবে এক বৃহৎ অংশের জনগন মমতার ক্ষমতালোভি ভোট সর্বস্ব বিরোধিতাকে বর্জন করেছে। বোঝা যাবে তারা সদার্থক বিরোধিতা দেখতে চাইছে। এই তৃতীয়শক্তির পথ ছাড়া --মমতার উন্নয়ন বিরোধি রাজনীতি-যা পশ্চিম বঙ্গকে সোনার বাংলা থেকে কানার বাংলা বানাচ্ছে-তার থেকে মুক্তির পথ নেই। বিরোধি রাজনীতির নামে তৃণমূলের ধ্বংশাত্মক রাজনীতিকে আটকানোর একটাই পথ-তাদের বিকল্পকেও শক্তিশালী করা-যাতে মমতা বুঝতে পারেন দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন বিরোধিতা করলে, তার রাজনৈতিক অস্তিত্বও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

পশ্চিম বঙ্গের জনগণ যেন সর্বদা স্মরণে রাখেন-সিপিএমের যে অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে তাদের যাবতীয় ক্ষোভ-সেটা তৃণমূল মসনদে আসলেই মিটে যাবে- এমন আশা করা মুর্খামি। কারন মমতা ব্যানার্জির পার্টিতে কোন গণতন্ত্র নেই। তৃণমূল একটি ফ্যাশিস্ট পার্টি। বাম পন্থি ফ্যাশিস্টদের সরিয়ে দক্ষিন পন্থী ফ্যাশিস্টদের আনলে পশ্চিম বঙ্গের গণতান্ত্রিক পরিবেশের উন্নতি হবে-এ কথা মানা যায় না।

সিপিএমের অগণতান্ত্রিক অপশাসনের বিরুদ্ধে আমি মনে করি, সইফুদ্দিন চৌধুরিই সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছিলেন-সেই পথ ছিল অহিংস উন্নয়নকামী গনতন্ত্রমুখী সমাজতন্ত্র ( আপনারা এই সাইটে ভিজিট করুন, সিপিএমের বিরুদ্ধে সঠিক পথ কি হওয়া উচিত ছিল জানতে http://www.pdsindia.org/). কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, পশ্চিম বঙ্গে সিপিএমের অগনতান্ত্রিক শাসনকে দূর করতে আমরা যার দিকে তাকিয়ে আছি-সেই ভদ্রমহিলা নিজে চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক। জনগণ বুঝতে পারছে না-গণতন্ত্র কোন কাগুজে শব্দ না। তা প্রতিনিয়ত অভ্যেসের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়। বাম ফ্যাসিজম সরিয়ে ডান ফ্যাসিজমকে আনলে, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশের কোন উন্নতিই সম্ভব না। সেই জন্যেই সইফুদ্দিনের মতন তৃতীয় শক্তিকে শক্তিশালী করা দরকার-যাতে লাগাম ছাড়া উন্নয়ন বিরোধি রাজনীতি করে মমতা ব্যানার্জি পশ্চিম বঙ্গকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দেওয়ার আগে দুবার ভাবতে বাধ্য হন। তৃতীয় শক্তির উত্থান না হওয়া পর্যন্ত মমতা এটা একদমই ভাববেন না। কারন তিনি জানবেন, সিপিএমের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধদের ভোট তিনি পাবেনই। কিন্ত অধিকাংশ জনগন সিপিএমের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হলেও, সিপিএম যেভাবে জমি নিয়েছে তা সমর্থন না করলেও, তারা রাজ্য সরকারের শিল্পস্থাপনের পক্ষেই। য়েই বিশাল সাধারন জনগনের একমাত্র ভরসাস্থল হতে পারে, সইফুদ্দিন চৌধুরীর মতন তৃতীয় শক্তি-যারা পচে গলে যাওয়া সিপিএম এবং তৃণমূলের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখবেন। তাই জনগণের কাছে অনুরোধ, আপনারা এই তৃতীয় শক্তিকে শক্তিশালী করুন-যাতে শাসক এবং বিরোধি দল আরো দ্বায়িত্বপূর্ন ভূমিকা নিতে পারে।

তৃতীয় শক্তি না থাকলে কিন্তু এই রাজ্যে সিপিএম এবং তৃণমূল উভয়ই আরো বল্গাহীন দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কান্ডকারখানা চালিয়ে যাবে।

মনে রাখবেন-কোয়ালিটি প্রোডাক্ট পেতে প্রতিযোগিতার বিকল্প নেই। তাই তৃতীয় শক্তিকে শক্তিশালী করে মমতা এবং সিপিএমের আরো একটি প্রতিদ্বন্দী তৈরী করুন। এতেই পশ্চিম বঙ্গের আসু মঙ্গল।

Thursday, March 19, 2009

মুখে মারিতং জগতের পুরস্কারটা সিপিএমের প্রাপ্য

১৫ বছরের পুরানো অটো বাস কলকাতার রাস্তা থেকে বিদায় করা গেল না।
সরকার আরো ছমাস, ১৫ই আগষ্ঠ অব্দি আদালতের কাছ থেকে সময় পেল।

শিক্ষা, শিল্পে পশ্চিম বঙ্গে সবার থেকে পিছিয়ে পড়েছে-সেই নিয়ে যত বিতর্ক হয়-এই রাজ্য
পরিবেশের দিক দিয়েও কি ভয়ংকর পরিণতির দিকে -তা নিয়ে আমরা আলোচনা করি না।
এত দূষিত বাস, ট্যাক্সি কলকাতা ছাড়া ভারতের আর কোন শহরে চলে না। দিল্লী একমাত্র ২০০১ সালের আগে কলকাতার সাথে দূষনে পাল্লা দিত- তারাও দূষন নিয়ন্ত্রনে সফল। আর আমাদের রাজ্য সরকার মুখে শুধু বাত ঝেড়ে গেছে। গত ৩৩ বছরে সেটাই তারা একমাত্র করেছে। আসুন দেখি কলকাতার বাতাসের অবস্থাটা কি--তারও আগে কোলকাতায় যারা থাকেন তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থাটা দেখি বায়ুদূষনের কারনেঃ

সুত্র বিবিসি ২০০৭ সালের স্টাডিঃ

  • কোলকাতার ৭০% লোকের ফুসফুস ঘটিত রোগ আছে-যা হাঁপানি বা লাঙ্গস ক্যান্সার বা সমগোত্রের ফুসফুসের রোগ হতে পারে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের স্টাডি এটি
  • ভারতের অন্যান্য শহরের মধ্যে কোলকাতায় ফুসফুসের ক্যান্সার সব থেকে বেশী -১৯ জন প্রতি ১০০০ জনে। যা নিকটতম প্রতি্দ্বন্দী দিল্লী (১৫ জন) অনেক বেশী
  • বাতাসে ভাসমান কনিকা এবং স্বাসের বায়ুতে ধূলিকনার সেফ লিমিট -১৪০ এবং ৬০।কোলকাতায় এটি ২১১ এবং ১০৫। সেফ লিমিটের অনেক ওপরে। ভারতের কোন শহরের বায়ুতে এত দূষিত কনা নেই।

এসবের কারন অবশ্যই শহর থেকে পুরাতন বাস, অটো সরানো যাচ্ছে না। জীবিকার অজুহাত।

আমার জানতে ইচ্ছা হয় সেটা কি শহরের সবাইকে মেরে ফেলার থেকেও গুরুত্বপূর্ন? অবশ্য সিপিএম কে একা দুষেই বা হবে কি? দিদিই ত এই পুরাতন গাড়িগুলিকে রাখার পক্ষে। তাতে শহরের লোক মরলে মরুক-ভোট ত আসবে। টাটা গেল ত কি কি হল-ভোট ত আসবে! ব্যেসিক্যালি পশ্চিম বঙ্গের সব থেকে দুর্ভাগ্য এই যে এখানে শাসক এবং বিরোধি দল উভয়ই ভোটসর্বস্ব ফ্যাসিস্টপন্থি আপাদমস্তক অপদার্থ- বাচালে ভর্ত্তি চাটুকারের দল। এরা নেতাজি সুভাস বা বিধানচন্দ্রের উত্তারাধিকার ভাবতেও গা ঘিন ঘিন করে। আবার এদের দোষ দিয়েই বা হবে কি-এরাও ত বাঙালীর প্রতিচ্ছবি। যারা নিজেদের সবথেকে সবথেকে বেশী সচেতন ভাবে-অথচ এই জাতের মতন অপদার্থ এবং গর্দভ কোথাও গেলে পাবে নাকো তুমি।

  • দফস

Wednesday, March 18, 2009

জাতীয়দলগুলি প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে

মহানায়ক তাপস পাল কৃষ্ণনগরে কংগ্রেসের পার্টি অফিসে নিজেই যেচে ঘুরে কল্কে পাচ্ছেন না। নদীয়া জেলারা কংগ্রেস সর্বাধিনায়ক শঙ্কর সিংহ দিল্লীর ডিকটাট নিয়ে পাত্তা দিচ্ছেন না। দেওয়া সম্ভবও না। কারন তাহলে নী্চু স্তরের কর্মীরা ক্ষুন্ন হবে। এতে ভোটের পাটিগণিতে সিপিএম সুবিধা পাবে তা না। কংগ্রেস বা তৃণমূলের সিপিএমের মতন বাঁধা ভোট আছে-তবে সংখ্যাটা অনেক কম। এরা জেতে মূলত সিপিএম বিরোধি ভোট পেয়ে-ভোটটা যতটা না পক্ষে তার থেকে বিপক্ষে বেশী। এবং কংগ্রেসের নেতারা যতই 'বিদ্রোহ' করুন না কেন-তা নিতান্তই নেতা-বিদ্রোহ। জনবিদ্রোহের সুযোগ নেই এই সিপিএম বিরোধিতার ভরা বাজারে। ফলে দিল্লীর সিদ্ধান্ত যতই চিরতার জল হৌক না কেন-গিলতে হবে। আন্দোলন বিমুখ ভোট সর্বস্ব বিরোধিতার আরামকেদারা না ছাড়লে-এর থেকে বেশী কিছু আশা না করাই ভাল।

কিন্ত কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তই বলে দিচ্ছে জাতীয় দলগুলির আধিপত্য একদম ফিকে। লালু কংগ্রেসকে তিনটে সিট ছাড়তেও দরাদরি করছেন বিহারে-যেখানে কংগ্রেস স্বাধীনতার পর অনেক দিন সরকার চালিয়েছে। বিজুত সিট ছাড়তে না চাওয়াই বিজেপির সাথে জোটই হল না। শরদ পাওয়ারও কংগ্রেসকে ঘুঘু দেখাচ্ছেন-শিবসেনার তোল্লা দেখিয়ে। উত্তরপ্রদেশের কথা না বলায় ভাল। ভয় পেয়ে নীতিশ যা চাই, বিজেপি রাজী হয়ে গেল বিহারে। অসহায় আত্মসমর্পন।

কেন জাতীয়দলগুলির এই হাল?

আসলে এই হাল না হওয়াটাই আশ্চর্য্য। যেসব নেতা কর্মীরা সারা বছর কাজ করবেন, জনগনের গালাগাল খাবেন-বিরোধিদের লাঠি খাবেন-তাদের বাদ দিয়ে যদি দিল্লীর নেতারা নিজেদের ক্ষমতালাভের অঙ্ক দেখেন-তাহলে সেই দল বেশী দিন চলতে পারে না। যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করে রাজনীতির ব্যাবসা করা সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সব দিল্লী ভিত্তিক প্রধান নেতাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। রাজ্যের কথা তারা ভাবেন না। ভাবলে প্রকাশ কারাত নিউক্লিয়ার ডিল নিয়ে ইউ পি এ ছাড়তেন না পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি জেনেও। রাহুল গান্ধী জোর করে পার্টিতে এক বছর হয় নি এমন মহিলাকে টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করতেন না জেলা নেতৃত্বের সাথে কথা না বলে। বা তৃণমূলকে ২৮ টা সিট ছাড়তে রাজী হতেন না-যেখানে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা মোটেও এর পক্ষে ছিলেন না। বিজেপি তপন শিকদারে কথা শুনে অনেকদিন আগেই মমতার আঁচল ছাড়ত।

সেরকম কিছু হয় না। কারন খেলাটা অনেক জটিল। জাতীয় দল মানে দিলীর নেতারা দেখতে চাই প্রদেশের নেতারা অনুগত। আনুগত্য বোঝা যায়, অনুগত কতটা ছাপানো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। ফলে চাপানোর প্রক্রিয়াটা আনুগত্যের প্রশ্নে পরীক্ষিত পদ্ধতি। এই ভাবেই প্রকাশ কারাত অজস্র বাজে সিদ্ধান্ত রাজ্য সিপিএমের ওপর চাপিয়েছে। রাহুল মুখে বলছেন চাপাবেন না-কিন্তু কার্যক্ষেত্রে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের কথা না শুনেই মমতার কাছে মাথাদান অব্যাহত।

এখন ব্যাপারটা হচ্ছে এই-রাজ্যের স্বার্থ না দেখলে এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো টিকবেই না। বিচ্ছিন্নতাবাদি আন্দোলন এখন অনেক কম-কারন আঞ্চলিক দলগুলির রমরমা। এটা ভারতের স্থিতিশীলতার জন্যে ভাল। কিন্ত জাতীয় দল একদম না থাকলে কেন্দ্রে সুস্থির সরকার গঠন সম্ভব না। যে দুইবার সরকার অস্থায়ী হয়েছে-প্রতিবার মূল সমস্যা একটাই-কোন জাতীয় দল ছিল না সরকারে। কংগ্রেস বা বিজেপির অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ণ মেয়াদ কাটিয়েছে।

ফলে একটা ভারসাম্য দরকার। জাতীয়তাবাদি, সমাজবাদি এবং বামপন্থী তিনটি জাতীয় দল থাকা ভারতের রাজনীতির স্বার্থেই দরকার। কিন্ত এই সব দলের নেতারা আনুগত্য প্রিয় হলে-সখ্যাত সলিলে যমুনা নদীতে আত্মহত্যা করবেন।

Saturday, March 14, 2009

পলিটিক্স ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরামের বিতর্ক সভা

১৪ ই মার্চ সোমনাথ, বাসু, রীতেন, সৈকত, আকাশ, রাজীব, বাঘ-আমরা অনলাইন মিলিত হয় কিছু আলোচনা করি-সেই আলোচনা গুলো পার্ট পার্ট বাই এই ব্লগে পোস্ট করা হবে। অডিও ফাইল ইস্নাইপ এবং রেডিফ থেকে লিংক করা হচ্ছে। যাতে কারুর শুনতে অসুবিধা না হয়।

(১)
বস্তুবাদি দর্শনের ভিত্তি-এটি একটি বিতর্ক-বাসু বনাম বিপ্লব-আলোচনা অত্যন্ত গভীরে ঢুকে যাওয়ায় এটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিতে হয়। তবে বস্তুবাদি মন নিয়ে মার্ক্সীয় ধারনার সাথে বিবর্তনবাদি মনের ধারনার পার্থক্য কি-সেটাই আলোচনার মূল বিষয়।
১।
http://www.esnips.com/doc/a6ff615b-a71e-4178-8b3c-b4c3acfeb66c/Basu_Biplab_dialecticMaterialism

২|
http://ishare.rediff.com/filemusic-bostubadi-darshan-id-587381.php

(২)
নারীবাদ তথা মেয়েদের দুরাবস্থা নিয়ে মার্ক্সীয় বনাম বিবর্তনবাদি ধারনাঃ
এটি একটি মনোজ্ঞ আলোচোনা। এটি পরে-ইউটিউবেও পাওয়া যাবে। এখানে মহাভারত, ঋক বেদ, মার্ক্স, ডারউইন -সব কিছুই আলোচতি হয়েছে।

১|
http://www.esnips.com/doc/18693d42-fe89-4512-b9f7-24a053edf803/Basu_Biplab_Feminism
২|
http://ishare.rediff.com/filemusic-Naribaad-Marx-bonam-Darwin-id-587382.php

(৩)
স্যার কার্ল পপার ও লেনিনের সাম্রাজ্যবাদের ওপর থিসিসঃ লেনিন কি ঠিক বলে ছিলেন?
http://www.esnips.com/doc/1e01de37-d3be-4239-bd7a-dd3d1c1dcb32/Basu_Biplab_Popper

(৪)
প্রেম এবং নারী নিয়ে পুরুষ ঃ এটি একটি চিত্তাকর্ষক আড্ডা। বাংলার বাঘ মৃণাল, সৈকত, সোমনাথ এবং বিপ্লব -তাদের প্রেমিক জীবনের গল্প বলেছেন অকাতরে। এটি এই মাত্র পোস্ট করা হলঃ
http://www.esnips.com/doc/6b2f150c-38ce-42b9-bccf-f28722bd9d49/PremKi
http://ishare.rediff.com/filemusic.php?id=587414

(৫)
সিঙ্গুর এবং বাংলার উন্নয়ন নিয়ে সৈকত-বিপ্লব বিতর্কঃ
পোস্ট করা হল-
1.
http://www.esnips.com/doc/2df5d858-627a-4304-a598-336addcefc5d/Singurer-janne-amader-khati
2.
http://ishare.rediff.com/filemusic-Singurer-janne-khati-id-587598.php

(৬)
নিজের রাজনৈতিক মতবাদ, জীবন, যৌনতা এবং কম্যুনিজম নিয়ে সোমনাথকে দেওয়া বিপ্লব পালের সাক্ষাৎকারঃ

লেনিন থেকে বাঙালীর যৌন জীবন- এটাই এই ইন্টার ভিউ এর মূল উপপাদ্য
1.
http://www.esnips.com/doc/76709c1e-db6f-451d-95e8-d5a5b7535ca5/Biplab_Political_stereo
2.
http://ishare.rediff.com/filemusic.php?id=587602

Wednesday, March 11, 2009

কংগ্রেস-তৃণমূল জ়োট ঘোষিত হল

মমতার হুমকিতে কাজ হল। কংগ্রেস ২৮-১৪ ফর্মুলা মেনে নিল। না কংগ্রেস তাদের কাঙ্খিত ৫ টি সিটের মাত্র একটি-বিষ্ণুপুরের বদলে জেনারেল ক্যাটেগরীর বীরভূম পেল। অর্থাৎ ওভার অল এটা মমতার জয়। প্রণব নিজে মমতাকে ফোন করে জোটের কথা জানান আজ সন্ধ্যায়। মমতা নির্বাচনী প্রচার শুরু করার জন্যে অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন। ফলে আজকে কংগ্রেসকে ঘোষনা করতেই হল।

সব মিলিয়ে লাভ মমতার। কংগ্রেসের সাংঘাতিক ক্ষতি। কোলকাতা চব্বিশ পরগনাতে একটাও আসন দিতে পারল না। রাজ্য রাজনীতিতে আরো দূরে সরে গেল কংগ্রেস। পাশাপাশি উঠে এল তৃণমূল। এছারা উপায়ও ছিল না। তৃনমূলে নতুন দুচারটি মুখ তাও দেখা যাচ্ছে। কংগ্রেসে তাও নেই। আসলে সেটাও না। কংগ্রেসের পাশে মানুষ থাকত-কিন্তু নেতারা নিজেদের গদি নিয়েই ব্যাস্ত ছিলেন। যেখানে মমতা মানুষের পাশে গেছেন। এরাজ্যে সব থেকে বড় সমস্যা সিপিএমের চক্রবূহ্য। সেটা সম্বল করেই মমতা এগিয়ে গেলেন। সিঙ্গুরে আমরা টাটাকে হারালাম-হারালাম শিল্প সম্ভাবনা-কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার নেগেটিভ প্রভাব তৃণমূলের ওপর পড়ে নি। অর্থাৎ সিপিএমের হাত থেকে মুক্তিটাই পশ্চিম বঙ্গে সব থেকে বড় ইস্যু হয়ে উঠছে। কংগ্রেসেরও এই ভবিতব্যকে না মেনে উপায় নেই। তবে একটাই ভাল-সেটা হচ্ছে তৃণমূল-কংগ্রেসে কর্মী স্তরে সম্পর্ক এখনো খুব ভাল। মমতা-প্রণব বা মমতা-সোনিয়া সম্পর্কও ভাল। তাই কংগ্রেস তৃণমূলের ওপর ভরসা করতে পারে-এই ভেবেই হয়ত ক্ষতি স্বীকার করে নিলেন সোনিয়া।

পাশাপাশি প্রকাশ কারাতের মূর্খতার আরেকবার খেসারত দেবে সিপিএম। সিপিএম ইউ পি এতে থাকলে কংগ্রেস তৃণমুল জোট হত না। তৃণমূলও এত দড়াদরি করতে পারত না। সবাই ৪২ টা করে পার্থী দিত। সব থেকে বড় কথা এন ডি এ ছাড়া তৃণমূলের উপায় থাকত না। সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে সরে যেত। বা তৃনমূল এন ডি এ ছেড়ে একলা চলোরে বললে ভোট ই পেত না।

Monday, March 9, 2009

সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা

এবার সিপিএমকে লোকসভায় কেন ভোট দেবেন বলুনত?

আমি ভেবে দেখলাম প্রকাশ কারাত যদ্দিন সিপিএমের জেনারেল সেক্ট্রেটারী আছেন-সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে রাজ্যের সাংঘাতিক ক্ষতি। ভোট শুধু নষ্ট নয়-বিশাল ক্ষতি আমাদের।

প্রথমত সিপিএমের থার্ড ফ্রন্ট কোনদিন ক্ষমতাই আসবে না। সব মিলিয়ে ওরা ১০০ টাও পাবে না। বামফ্রন্ট মেরেকেটে ৩৫, মায়াবতী ৩০, বিজু ১০-আরো মেরেকেটে না হয় চল্লিশ জুরে দিলাম। তাহলেও ১০০ হয়-২৭২ অনেক দূর। অর্থাৎ বিরোধি হয়ে বসে থাকবে। পাঠক মনে রাখুন, বিরোধিতা করে ১৯৭৭ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত আমরা দিল্লীর কাছ থেকে কি পেয়েছি। আর ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রাজ্য কি পেয়েছে। বুদ্ধর প্রায় সব আর্জি বা দাবী মনমোহন মেনে নিয়েছিলেন গত পাঁচ বছরে। প্রকাশ কারাতের বালখিল্যতার মাশুল না দিলে আজ একটা নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট পশ্চিম বঙ্গ পেত। কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র পেতে কোন প্রকল্পে পশ্চিম বঙ্গের কোন অসুবিধা হয় নি। কারন মনমোহন এবং প্রণব মুখার্জি পশ্চিম বঙ্গের জন্যে দুহাত খুলে বসে ছিলেন। প্রনব-বুদ্ধ জুটিতে ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পশ্চিম বঙ্গে কেন্দ্রীয় সাহায্যে ভাল কাজ হয়েছে। সেটাত সিপিএমই বলে।

২০০৮ এর অক্টবর থেকে ইউ এস নিউক্লিয়ার ডিল থেকে খেলা ঘুরে গেল। আপনারা দেখলেন কিভাবে রাজ্যের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে প্রকাশ কারাত ইউ পি এ থেকে বেড়িয়ে গেলেন। রাজ্যের শিল্পের ত ক্ষতি হলই-সবাই এটাও জানল প্রকাশ কারাতের হাতে সিপিএম বাস্তববাদি পথে চলবে না। হাওয়াই উড়ে ফানুস ফাটাবে-আর তার মূল্য চোকাবে এই গরীব রাজ্য।

সবথেকে বড় কথা রাজ্যের উন্নতির জন্যে বুদ্ধর সমস্ত চেষ্টায় জল ঢেলেছেন কারাত। জুজুর নাম কখনো আমেরিকা-কখনো কংগ্রেস।

যাইহোক যারা ভাবছেন বামেরা গিয়ে বিমা বা ব্যাঙ্কিং এর বেসরকারীকরন ঠেকাবে-তারা এবার ভাবুন। সেটা ইউ পি এ তে থেকে ঠেকানো সহজ না বেড়িয়ে গিয়ে? কংগ্রেসের ও সমাজতন্ত্রী লবি আছে-সুতরাং ইউ পি এতে সমাজতান্ত্রিক এজেন্ডা নিয়ে ত কংগ্রেস আপত্তি করে নি গত চার বছর। কিন্ত ভুলভাল লেনিনিজমের ধুয়ো তুলে যখন প্রকাশ কারাত দেশের সর্বনাশ করতে গেছেন, তখন কংগ্রেস-সিপিএম বিরোধ সামনে এসেছে। প্রকাশ কারাত মুর্খের মতন নিউক্লিয়ার ডিল ঠেকাতে গেলেন দেশের ক্ষতি করে-এবার কি ওর মুখ রক্ষা হবে? ওই চুক্তির পরে ভারত এখনো আমেরিকা থেকে কোন ফুয়েল বা প্রযুক্তি কেনে নি। যা কিছু কিনেছে সবই ফ্রান্স বা জাপান বা অস্ট্রেলিয়া থেকে। সবথেকে বড় কথা ফ্রান্স নিউক্লিয়ার প্রযুক্তিতে একনাম্বার। সুতরাং ভারত সেখান থেকে কিনবে এটাই স্বাভাবিক ছিল। অথচ এই কারাত এবং তাদের মিথ্যুক কমি বাহিনী রটিয়ে বেড়িয়েছে এটা আমেরিকার ব্যাবসায়িক স্বার্থ। তা সেই স্বার্থ ছিল ত-এখন দেখা আমেরকার সাথে ভারত কি নিউক্লিয়ার ব্যাবসা করছে? সবটাই ত হচ্ছে ফ্রান্সের সাথে-যেটা প্রত্যাশিত ছিল। এখন ক্ষমতার লোভে দেশ ও পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি করা কারাত মুখ ঢাকবে কোথায়?

কিন্ত ইউ পি এ থেকে বেড়িয়ে কার লাভ হল? বীমার বেসরকারী বিল পাশ হয়ে গেল। সিপিএম ইউ পি এ তে থাকলে এটা হত না-এটা নিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম মনোমালিন্য হওয়া কঠিন। কারন কংগ্রেসের মধ্যেই সোশালিস্ট লবি আছে। সিপিএম ইউ পি এ ছেড়ে দেওয়ায়, কংগ্রেসের সমাজতন্ত্রী লবি দুর্বল হল।

দেশে বামেদের কি কোন শক্তি আছে? নেই। অথচ জাতীয় সংস্থা গুলির , বিশেষত ব্যাঙ্কিং এর বেসরকারীকরন ঠেকানো দরকার। শিক্ষার অধিকার বিলটা আনা দরকার। এগুলো কি বামেরা একা পারবে কোন দিন? পারবে না। এর জন্যেই কংগ্রেসের সমাজতন্ত্রীদের সাথে জোট করে বেসরকারীকরন আটকানো ছিল একমাত্র বাস্তববাদি পথ। তৃতীয় ফ্রন্টে কি বেসরকারীকরনের বিরোধিতা করবে?? কংগ্রেসে যাও বা দু একটি আদর্শবাদি শিক্ষিত নেতার দেখা মিলবে-বিজু জনতা বা মায়াবতীর দলে সেরকম কারা আছে? না তাদের নিয়ে বেসরকারীকরন ঠেকাতে পারবে?

আমি নিশ্চিত কংগ্রেসকে নিয়ে রাজ্য সিপিএমের সমস্যা ছিল না। বাস্তবটা তারাও বোঝেন। আমি মনে করি এই রাজ্যের সিপিএমের নেতারাও রাজ্যকে যথেষ্ঠ ভালবাসেন। তাই দিল্লীতে কংগ্রসের সাথে জোট করে থাকার গুরুত্ব বোঝেন। কিন্ত তারা এখন প্রকাশের হাতের জিম্মি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বহিস্কার করে-সুভাষকে ধমকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যে কোন কমরেড প্রকাশের বিরুদ্ধে গেলে তার হাল কি হবে।

এই অবস্থায় পশ্চিম বঙ্গে সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে প্রকাশ কারাতের হাত শক্ত করা-যে ব্যাক্তিটি এই রাজ্য নিয়ে কিছু ভাবেন না-এবং এই রাজ্যের ক্ষতি করেই নিজের ক্যারিয়ার ও ক্ষমতা সিদ্ধ করতে চান। সুতরাং আমি রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করব প্রকাশ কারাতকে সবক শেখাতে। এই রাজ্যের ওই শত্রুকে বোঝানো হৌক রাজ্যবাসী তাকে পছন্দ করে না কারন তিনি এই রাজ্যকে ধ্বংশ করে নিজের আখের গোছাতে চান। বরং ভেবে দেখুন-এবার ইউ পি এ ক্ষমতাই আসছেই। তৃতীয় ফ্রণ্টের জন্যেই আসছে। সেক্ষেত্রে আমাদের রাজ্য থেকে যত বেশী তৃণমূল এবং কংগ্রেস এম পি আমরা পাঠাতে পারব-আমাদের তিনগুন লাভঃ

-রাজ্য থেকে বেশী মন্ত্রী হলে, তারা আমাদের বেকার ছেলেদের কাজ দিতে পারবেন।
-রাজ্যের জন্যে বেশী টাকা আনতে পারবেন। একথা কি কেও অস্বীকার করবে, প্রিয়দা বা প্রণব এই রাজ্যের জন্যে যা করেন তা রবীন দেবের করা সম্ভব ? এত অবাস্তব প্রশ্ন।
-রাজ্যে নতুন কেন্দ্রীয় গবেষনাগার বা প্রতিষ্ঠান আনতে পারবেন।

এদিক ওদিক না তাকিয়ে সোজা বাংলায় হিসাব করুন। সিপিএমের কাউকে জেতালে তিনি পার্লামেণ্টের বাইরে সিগারেট ফোঁকা ছাড়া আপনার জন্যে কিছু করতে পারবে না। কারন তৃতীয় ফ্রন্ট ১০০ সিটও পাবে না। অন্যদিকে আমরা যত বেশী কংগ্রেস-তৃণমূল এমপি পাঠাতে পারব-তত বেশী মন্ত্রী পাব-আমাদের ছেলেরা কাজ পাবে। পশ্চিম বঙ্গে কেন্দ্রীয় সাহায্য আসবে।

একটা কথা মনে রাখবেন। এখন মন্দার বাজার। সামনের বছর গুলিতে বেসরকারী উদ্যোগে উন্নতি খুব বেশী হবে না। প্রায় সব উন্নতিই হবে সরকারী উদ্যোগে। তাই কেন্দ্রে আমাদের রাজ্য থেকে যত বেশী ক্ষমতা দখল করা যায়-তত ভাল।

তাই প্রকাশ কারাতের মতন নির্বোধদের দরজা না দেখালে-তারা পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি করেই যাবে। এতে বঙ্গের সিপিএম নেতাদের ও লাভ নেই। জনগনের ত কিছু ই নেই। আমি ত বামপন্থীদের বন্ধুদের অনুরোধ করব রাজ্যের স্বার্থের কথা ভেবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কংগ্রেসকে ভোট দিতে পারবেন না। ঠিক আছে। দেবেন না। কিন্ত নিজের ভোটটা সিপিএমকে দিয়ে রাজ্যের ক্ষতি করবেন না দয়া করে। রাজ্যবাসী প্রকাশ কারাতকে শিক্ষা না দিলে এই রাজ্যের ক্ষতি-রাজ্য সিপিএমের ও ক্ষতি। কারন সিপিএমের নেতাদের যতদিন প্রকাশের অধীনে কাজ করতে হবে-তাদের সদিচ্ছা থাকলেও তারা রাজ্যের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবেন না। আর বৃহত্ত্বর ক্ষেত্রে বেসরকারীকরন আটকাতে যে কংগ্রেস-বাম জোট হওয়া দরকার-সেটাও প্রকাশ থাকা কালীন হবে না।

ডান-বাম-রাজ্য। সবার জন্যেই আজ প্রকাশ কারাতকে গোহারা হারানো বাঞ্ছনীয়।

নিজের ভোটটা সিপিএমকে দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন।

Sunday, March 1, 2009