আজ জানা গেল প্রকাশের চিঠির উত্তর না দিয়ে মনমোহন সত্যমের ব্যাপারে সরাসরি ফোনই করেছেন। এবং আস্বস্ত করেছেন যে অপরাধীদের শাস্তি হবেই। মনমোহন বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ এবং বাজার অর্থনীতির প্রবক্তা। খুব ভালো করেই জানেন এই 'মুক্ত' কথাটা অর্থহীন-মার্কেটের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রন না থাকলে অচিরেই তা মার্কেট না হয়ে ফাটকাবাজি হবে। মনমোহন গত দুবছর ধরেই আমেরিকাকে এব্যাপারে সাবধান করেছেন-বিশ্বের ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে রেগুলেশনের অভাব আছে একাধিবার বলেছেন। সুতরাং খুব সম্ভবত কারাতকে ফোন করেছিলেন এটা জানাতে যে মার্কেটে নিয়ন্ত্রন এবং খবরদারি বাড়াবার ব্যাপারে তিনিও চিন্তাভাবনা করছেন। ভারতের মত ফাটকাবাজির দেশে তা কতদূর সম্ভব তা জানি না-তবে মার্কেটে আইন শৃঙ্খলা না বাড়ালে বাজারের বৃদ্ধিই সম্ভব না। আটকে যাবে দেশের প্রগতি। এটাত সিংজীর মতন পোড় খাওয়া অর্থনীতিবিদ বিলক্ষন জানেন-তাই সম্ভবত প্রকাশ কারাতকে আশ্বস্ত করেছেন-দেশের ভার যখন তার হাতে, তিনি ভালো করেই এসব ফাটকাবাজি আটকাবেন।
মুশকিল হচ্ছে প্রকাশ কারাত এর থেকে কি শিক্ষা নেবেন জানি না। নিজের ক্ষমতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারত-আমেরিকার পরমানূ চুক্তি রুখতে গিয়ে এখন তিনি কোনঠাসা। একবার মায়াবতী-অন্যবার জয়ললিতা-তার পরে চিরঞ্জীবির হাতের ঠোঙার প্রসাদ খেয়ে এত দিনেও যদি না বোঝেন তৃতীয় ফ্রন্টের ইচ্ছা আসলেই সিপিএমের তথা পশ্চিম বঙ্গের জন্যে ক্ষতিকারক-তাহলে সিপিএম তথা সমগ্র পশ্চিম বাংলার বিপদ। মায়াবতী, জয়ললিতা, চন্দ্রবাবু নাইডুরা কি অর্থে মনমোহন বা প্রণবদের থেকে ভাল নেতা হন? এই সেই মায়াবতী যার জন্মদিনের উপহার দিতে আমজনতার ওপর মারপিট করা হয়। জয়ললিতার কথা যত কম বলা যায় তত ভাল-উনাকে ত সোনার ভারে ওজন করা হয়। এরা আজ বিজেপি, কাল কংগ্রেসের সাথে! এরা নেতা?
কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে অনেক পরিণত শক্তি এখন। সব থেকে বড় কথা মনমোহন এবং চিদাম্বরন দক্ষ, উচ্চশিক্ষিত এবং সৎ। এদের সাথে বামপন্থীদের মতের পার্থক্য থাকতেই পারে-কিন্তু তার জন্যে কি তোলাবাজ এবং চুড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সাথে হাত মেলাতে হবে? তাছাড়া কংগ্রেসের ঘোষিত নীতিও গরীব এবং ধনীর মধ্যে পার্থক্য যতটা সম্ভব কমিয়ে উন্নয়ন করা। এটা ত ১৯১৭ সাল না-যে কারাতবাবু লেনিনের মতন গরম গরম বিপ্লবী ডায়ালোগ দিলেই শ্রমিকরা বন্দুক ধরবে। সব থেকে বড় কথা ভারতের উন্নয়ন হচ্ছে-তবে একটা অংশের কাছে তা পৌছাচ্ছে না। সেটা নিয়েত কংগ্রেস বা সিপিএমে দ্বিমত নেই-প্রশ্নটা হচ্ছে কোন পথে গেলে দেশের সার্বিক উন্নতি সম্ভব। সেখানে মতবিরোধ আছে-সেটাত গণতন্ত্রে থাকবেই। এবং সেখানে বিতর্কের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভারত-আমেরিকার পরমানু চুক্তির মতন তর্কে হেরে গেলে, বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হেরে গেলে, পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ইউ পি এ থেকে বেড়িয়ে আসার মতন বালখিল্য কাজের কি কোন রাজনৈতিক অর্থ হয়? এগুলো ছেলেমানুষি এবং তার খেসারত দেবে পশ্চিমবঙ্গ।
আবার বলি এটা ১৯১৭ সাল নয় কমরেড। কমি্নিউস্টরা প্রতিষ্ঠিত ব্যার্থ-শক্তি। ইতিহাস থেকে জনগন তাদের চিনেছে। আপনারাও শিখেছেন। ধুরি জ্যোতিবসু-হরকিশেন শিখেছিলেন। আপনি শেখেন নি। গণতন্ত্রে থাকলে জনগনকে, গণতান্ত্রিক পক্রিয়াকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। নইলে মাওবাদিদের মতন বন্দুক হাতে নিন। গণতন্ত্রের চুরুটও খাবেন-আবার সেই চুরুটের নিন্দাও করবেন-এমন করে নিজেদের জীবনটাত ব্যার্থ করেইছেন-কিন্ত পশ্চিমবঙ্গের আগামী প্রজন্মকে বাঁচতে দিন।
Wednesday, January 21, 2009
Sunday, January 18, 2009
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং মমতা
সম্প্রতি প্রণব মুখার্জী একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূলকে স্বরণ করিয়েছেন জমি অধিগ্রহণ বিরোধী বিক্ষোভ রাজ্য এবং তাদের দলের পক্ষেও বুমেরাং হতে পারে। প্রসঙ্গত তিনি স্বরণ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সত্ত্বেও কেন ৩৪ জাতীয় সড়ককে ৪ লেনের করা যাচ্ছে না। মমতার জমি বিরোধি জিহাদের মুখে থমকে আছে পশ্চিম বঙ্গের উন্নয়ন।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ১৯৮৯ সালে এসপ্ল্যানেড থেকে কৃষ্ণনগর যেতে সময় লাগত ৩ ঘন্টা। আগেরবার গিয়ে দেখি সময় লাগছে ৬ ঘন্টা। এটা উত্তর বঙ্গের সাথে দক্ষিন বঙ্গের লাইফ লাইন। চার লেনের রাস্তা করা অনেকদিন আগেই দরকার ছিল। আমাকে এই পথেই বাড়ি যেতে হয়। ভোগান্তি কি পরিমান হয়-বিশেষত বারাসত থেকে রাণাঘাট পর্যন্ত আমরা ভালোই জানি। প্রনব বাবুর কল্যানে সে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত-কিন্ত এখন আর কেউ জমি অধিগ্রহনের ভয়ে-এই সম্প্রসারনের কথা বলছে না। সত্যিই ভোট আর কে হারাতে চাই!
এক অদ্ভুত কৃষ্ণগহ্বরে পশ্চিম বঙ্গের উন্নয়ন। কোলকাতার কিছু নেতা-যাদের বহিরবঙ্গে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় না-তারা আর এই ব্যাথা আর সমস্যা কি বুঝবেন? ৩৪ নাম্বার সড়কের উন্নয়ন না হলে-থমকে দাঁড়াবে উত্তর বঙ্গের অর্থনীতি। পশ্চিম বঙ্গের এই রাস্তাসম্প্রসারনের জন্যে মনমোহন টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও এক সাত ভুতের গাড্ডায় পিছলে পড়া রাজ্যের রাজনীতি আমাদের ভূত ভবিষ্যত বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। সিপিএম এবং তৃণমূল উদ্যোগ নিয়ে ৩৪ নাম্বার জাতীয় সড়কটিকে একটু বাঁচান। জনসাধারনের মনে একটু আশা ভরসার জন্ম দিন।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ১৯৮৯ সালে এসপ্ল্যানেড থেকে কৃষ্ণনগর যেতে সময় লাগত ৩ ঘন্টা। আগেরবার গিয়ে দেখি সময় লাগছে ৬ ঘন্টা। এটা উত্তর বঙ্গের সাথে দক্ষিন বঙ্গের লাইফ লাইন। চার লেনের রাস্তা করা অনেকদিন আগেই দরকার ছিল। আমাকে এই পথেই বাড়ি যেতে হয়। ভোগান্তি কি পরিমান হয়-বিশেষত বারাসত থেকে রাণাঘাট পর্যন্ত আমরা ভালোই জানি। প্রনব বাবুর কল্যানে সে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত-কিন্ত এখন আর কেউ জমি অধিগ্রহনের ভয়ে-এই সম্প্রসারনের কথা বলছে না। সত্যিই ভোট আর কে হারাতে চাই!
এক অদ্ভুত কৃষ্ণগহ্বরে পশ্চিম বঙ্গের উন্নয়ন। কোলকাতার কিছু নেতা-যাদের বহিরবঙ্গে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় না-তারা আর এই ব্যাথা আর সমস্যা কি বুঝবেন? ৩৪ নাম্বার সড়কের উন্নয়ন না হলে-থমকে দাঁড়াবে উত্তর বঙ্গের অর্থনীতি। পশ্চিম বঙ্গের এই রাস্তাসম্প্রসারনের জন্যে মনমোহন টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও এক সাত ভুতের গাড্ডায় পিছলে পড়া রাজ্যের রাজনীতি আমাদের ভূত ভবিষ্যত বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। সিপিএম এবং তৃণমূল উদ্যোগ নিয়ে ৩৪ নাম্বার জাতীয় সড়কটিকে একটু বাঁচান। জনসাধারনের মনে একটু আশা ভরসার জন্ম দিন।
Friday, January 16, 2009
রাজু ফ্যামিলির জমি কেড়ে সত্যমের কর্মচারীদের মাইনা দেওয়া উচিত!
এই দাবিটি তুলেছেন প্রকাশ কারাত। সরকারের টাকায় নয়-রাজু ফ্যামিলির টাকায় সত্যমের বেইল আউট হওয়া উচিত। সত্যমের গুনধর সি এই ও রাজু এবং তার ছেলেকে ১৭,৫০০ একর জমি দিয়েছে অন্ধ্রসরকার। সেগুলো কেড়ে নিয়ে বেচা উচিত। যাতে সত্যমের ৫৬,০০০ কর্মী মাইনে পায় এবং তাদের ছাঁটাই বন্ধ হয়।
প্রস্তাব উত্তম। আমাদের সমর্থন রইল। কিন্তু তার সাথে তিনি প্রকাশ কারাত সুলভ " ধনতন্ত্র মানেই চোরেদের ব্যাবসা" জুরে দিয়েছেন নিজের স্বভাব মতন। তার দাবী ঠিকই ছিল-কিন্তু শেষের উক্তিটি করে-নিজের এবং পশ্চিম বঙ্গের ভবিষ্যত উদ্ধার করলেন। ধনতন্ত্র উনার যে যুক্তিতে চোরেদের ব্যাবসা-সমাজতন্ত্র সেই যুক্তিতে মানুষ মারা ডাকাতদের জঙ্গল। একটা কথা আমরা ভুলে যাই-"তন্ত্রের নাম" সমাজ বা ধণ যাই হোক না কেন-আসল কাজ করতে হয় সেই মানুষকে নিয়েই। ফলে সত্যমের রাজু যেমন ডুবেছেন নিজের ক্ষমতা বাড়াবার লোভে-ঠিক তেমনই স্ট্যালিন মানুষের রক্তে হোলি খেলেছেন স্রেফ নিজের ক্ষমতা সিদ্ধ করতে। আসলে মূলে আছে সেই "ব্যাক্তি মানুষের বিবর্তনজাত ক্ষমতার লোভ"। এবং সব সিস্টেমেই এই লোভটাই আসলে বড় হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু ধণতন্ত্র যদি চোরেদের রাজত্ব হয়-বুদ্ধদেব তাহলে কি পশ্চিম বঙ্গে চোরেদের ডাকছেন? এবার বুদ্ধ যদি কোন শিল্পপতির কাছে পশ্চিম বঙ্গের জন্যে ভিক্ষা করতে যান-এবং তিনি যদি বুদ্ধকে বলেন-আপনার বস ত আমাদের চোর বলেন-চোরের কাছে ভিক্ষা করাটা কি ঠিক?
অবশ্য পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থের কথা আর কবেই বা ভাবলেন প্রকাশ কারাত! তার নির্বুদ্ধিতা এবং ক্ষমতার লোভে সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ।
প্রস্তাব উত্তম। আমাদের সমর্থন রইল। কিন্তু তার সাথে তিনি প্রকাশ কারাত সুলভ " ধনতন্ত্র মানেই চোরেদের ব্যাবসা" জুরে দিয়েছেন নিজের স্বভাব মতন। তার দাবী ঠিকই ছিল-কিন্তু শেষের উক্তিটি করে-নিজের এবং পশ্চিম বঙ্গের ভবিষ্যত উদ্ধার করলেন। ধনতন্ত্র উনার যে যুক্তিতে চোরেদের ব্যাবসা-সমাজতন্ত্র সেই যুক্তিতে মানুষ মারা ডাকাতদের জঙ্গল। একটা কথা আমরা ভুলে যাই-"তন্ত্রের নাম" সমাজ বা ধণ যাই হোক না কেন-আসল কাজ করতে হয় সেই মানুষকে নিয়েই। ফলে সত্যমের রাজু যেমন ডুবেছেন নিজের ক্ষমতা বাড়াবার লোভে-ঠিক তেমনই স্ট্যালিন মানুষের রক্তে হোলি খেলেছেন স্রেফ নিজের ক্ষমতা সিদ্ধ করতে। আসলে মূলে আছে সেই "ব্যাক্তি মানুষের বিবর্তনজাত ক্ষমতার লোভ"। এবং সব সিস্টেমেই এই লোভটাই আসলে বড় হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু ধণতন্ত্র যদি চোরেদের রাজত্ব হয়-বুদ্ধদেব তাহলে কি পশ্চিম বঙ্গে চোরেদের ডাকছেন? এবার বুদ্ধ যদি কোন শিল্পপতির কাছে পশ্চিম বঙ্গের জন্যে ভিক্ষা করতে যান-এবং তিনি যদি বুদ্ধকে বলেন-আপনার বস ত আমাদের চোর বলেন-চোরের কাছে ভিক্ষা করাটা কি ঠিক?
অবশ্য পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থের কথা আর কবেই বা ভাবলেন প্রকাশ কারাত! তার নির্বুদ্ধিতা এবং ক্ষমতার লোভে সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পশ্চিম বঙ্গ।
Thursday, January 15, 2009
হাডসন নদীতে ল্যান্ডিং করল প্লেইন!

http://www.youtube.com/watch?v=oSPZ9q8uTuw&feature=related
লাইভ ভিডিওর জন্যে এখানে ক্লিক করুনঃ
http://www.cnn.com/2009/US/01/15/new.york.plane.crash/#cnnSTCVideo
আরো ভিডিওঃ
http://www.youtube.com/watch?v=f21TiwV6dWQ
নিউইয়ার্ক বিকেল পাঁচটাঃ (১৫ ই জানুয়ারী , ২০০৯)ঃ বিরাট দু্ঘটনার হাতথেকে বাঁচল US Airways Flight 1549। নিউইয়ার্কের লাগুয়াডিয়া এয়ারপোর্ট থেকে উড়েছিল নর্থ ক্যারোলিনা যাওয়ার পথে। কিন্ত পাখীদের সাথে সংঘর্ষে আগুন ধরে ইঞ্জিনে। পাইলট তিন মিনিটবাদে যাত্রীদের বলেন এখুনি নামতে হবে। পাশে ছিল হাডসন নদী সেখানেই নেমে গেল প্লেনটি। হতা-হতের খবর এখনো পাওয়া যায় নি। তবে নদীর জল খুব ঠান্ডা। -৫ সেন্টিগ্রেড। আমরা খবরটি আপডেট করতে থাকব।
This video frame grab image taken from WNBC-TV shows a US Airways aircraft that has gone down in the Hudson River in New York, Thursday Jan. 15, 200i8. It was not immediately clear if there were injuries(WNBC-TV/AP Photo)
All passengers and crew aboard were reported safe after New York City firefighters and ferries rushed to the aid of the US Airways jet, which floated in the river near the historic aircraft carrier The Intrepid.
US Airways flight 1549, an A-320 manufactured by Airbus, was carrying as many as 148 passengers and five or six crew members, according to the Port Authority of New York and New Jersey.
Wednesday, January 14, 2009
আসলে বাঙালী কমরেডদের দাবিয়ে রাখাই প্রকাশ কারাতের নীতি
সম্প্রতি বাংলার সিপিএম মহলে দাবি উঠেছিল সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে নেওয়ার। সুভাষ বাবু সেই মর্মে রাজ্য কমিটিকে চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু নারাজ প্রকাশ কারাত।
মনে রাখতে হবে বিতাড়নের পর সোমনাথ বাবুকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্যে আহবান জানিয়েছিলেন মনমোহন স্বয়ং নিজে। এমন একজন গুণী মানুষকে পেলে কংগ্রেস নিশ্চয় গর্বিত হত। সোমনাথবাবু একনিষ্ঠ পার্টিকর্মী। চল্লিশ বছর যে পার্টি করেছেন-যার জন্যে নিজের পেশাকেও বর্জন করেছেন প্রায়-সেই পার্টি তাকে ছাড়তে পারে। তিনি পার্টিকে ছাড়বেন কি ভাবে? তার জীবনটাই ত তাহলে বৃথা হয়ে যাবে!
একথা আজ জ়লের মতন পরিষ্কার--প্রকাশ কারাত সিভিলিয়ান ভারত-আমেরিকান চুক্তির বিরোধিতা করেছেব শ্রেফ নিজের ক্ষমতা বাড়াতে-পার্টির মধ্যে এবং বাইরে। তারজন্যে জলাঞ্জলি দিয়েছেন ভারতের স্বার্থ। পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ। চেপে ধরেছিলেন বাঙালী কমরেডদের কন্ঠ। আমাকে ইউ এস ইন্ডীয়া বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি বলেছিলেন-প্রকাশের একগুঁয়েমির জন্যে সবথেকে বেশী ভুগবে কেরালা আর পশ্চিমঙ্গ। কারন সমগ্র বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের কাছে এই সংকেতই যাচ্ছে-যে এইসব বামরাজনীতিবিদরা পরিণত নন। অথচ জ্যোতিবাবু বা সুরজিত কিন্তু এমন একগুঁয়ে ছিলেন না। তারা ছিলেন অনেক বাস্তব্বাদি। অন্তত শুধু যে এন ইউ তে ছাত্ররাজনীতির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা নিয়ে- কোনদিন সংসদীয় ভোটে না দাঁড়িয়ে সিগেরেট ফোঁকা বামপন্থী তারা ছিলেন না। ফলে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কারাত নিজে ডুবলেন ত বটেই-পশ্চিম বঙ্গকেও ডোবালেন। বঙ্গজ কমরেডরা তার বিরুদ্ধে যাতে টুঁ শব্দটীও না করতে পারে-তার জন্যে তাড়ানো হল সোমনাথ চ্যাটার্জিকে। ঠিক যেমন ভাবে ট্রটস্কিকে তাড়িয়েছিলেন স্টালিন। স্পিকারকে তাড়িয়ে দেখালেন -হ্যাঁ, শুধু দেখানোর জন্যেই-- আমার বিরুদ্ধে গেলে তোমাদের ও একই দশা হবে। স্পীকারকেই রেহাত করি না-ত তোমরা কোন ছাড়!
আসল ব্যাপারটা আরো গভীরে। আসলে সোমনাথের নেতৃত্বে প্রকাশ কারাতের অবাস্তব্বাদি লেনিনজমের বিরুদ্ধে বঙ্গজ কমরেডদের বিদ্রোহের সুযোগ ছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন প্রকাশ কারাত। নেহাত এটা সংসদীয় গণগন্ত্রের দেশ। ১৯৩০ সালের সোভিয়েত রাশিয়া হলে অবশ্য সোমনাথ চ্যাটার্জির লাশটাই শুধু পাওয়া যেত। গ্রেট পার্জ। এরা খেলে নিজেদের ক্ষমতার জন্যে-আলখাল্লা পড়ে আদর্শবাদের।
বুদ্ধ মমতা কি গুজরাট থেকে শিক্ষা নেবেন?
সম্প্রতি রতন টাটা বলেছেন গুজরাটে যে বিনিয়োগ করে না সে বোকা।
সিঙ্গুরে মমতার অতিবাম হাতের চড় থাপ্পর খেয়ে, উনি বিলক্ষন বুঝেছেন বাম-বাঙালীর শ্বশান বঙ্গ শিল্পের মরূভূমি। ধ্বংশের রাজনীতি বাঙালী জাতির ক্রমবর্ধমান দৈন্যদশার নিত্যসাথী। গুজরাটে ৮০ বিলিয়ান ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির ওপর বসে মোদি ন্যানোর সাথে পোজ দিলেন-সেইদিন ই উলটোডাঙায় শিল্পরথের ভাঙাচাকার জন্যে "অন্যদের" দুষছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু একজন মুখ্যমন্ত্রী বা বিরোধি নেত্রীই বা কি করবেন-যখন দেখি মোদির সাফল্যে বাম-বাঙালীর প্রতিক্রিয়া হচ্ছে-তাতে কি? গুজরাটে ধণ বৈষম্য ত অনেক বেশী। গরীব বড়লোকের মধ্য পার্থক্য বাড়ছে। ভাগ্যিস এরা বলে নি-তাতে কি-আমেরিকাতে ধণ বৈষম্য পশ্চিম বঙ্গের চেয়েও অনেক বেশী! তাই পশ্চিম বঙ্গ ভাল-আমেরিকা খারাপ। অথবা উত্তর কোরিয়াতে কোন বৈষম্যই নেই-সবাই আধবেলা খেয়ে থাকে-তাই তা ভারতের থেকেও ভাল-কারন সেখানে সাম্য প্রতিষ্ঠিত।
সন্দেহ নেই গরীব এবং ধণীর পার্থক্যে সমাজে রাজনৈতিক অস্থিরতা আসে এবং তা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে কাম্যও নয়। শুধু ধণের জোরে, এক পরজীবি নিয়ন্ত্রক শ্রেনীর উদ্ভব হৌক সেটা অবশ্যই আমরা চাই না। কিন্ত এই 'সাম্য' টা কি সমাজ ব্যাবস্থার মৌলিক চাহিদা? সাম্যের ধারণা ত আজকের নয়। বিদুর যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন -সেই নরপতিই শ্রেষ্ঠ যিনি সমাজ থেকে ধণ বৈষম্য কমাতে পারেন। কৃষ্ণভাস্যেও আমরা দেখি-যারা প্রয়োজনের অধিক ধণ সংগ্রহ করে, তাদের চোর বলা হয়েছে। কোরানে ধন সম্মত্তি দান করে সাদামাটা জীবনের উপদেশ সর্বত্র। কোরান বলছে বিত্তশীল ভোগবিলাসে ডোবে অজ্ঞ এবং বোকারা। এই সাম্যের ধারনা থেকেই প্রাচীন গ্রীসে স্টয়িক দর্শনের উৎপত্তি। ইউলিটারিয়ানরাও সামাজিক সাম্যে বিশ্বাস করেন। শুধু মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্টরা ত নয়-বিশ্বশুদ্ধ প্রায় সব দর্শনেই সাম্যের ধারনার জয়জয়াকার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এই সামাজিক সাম্য, সামাজিক উন্নতির চেয়েও বেশী জরুরী? সামাজিক সাম্যকি এতই মৌলিক?
এখানেই আমি দ্বিমত পোষন করি। আমাদের জীবনের লক্ষ্য কি? আমি না আমাদের ভবিশ্যত প্রজন্ম? আমি কখনোই হতে পারি না-কারন 'আমি' মরণশীল। একমাত্র 'ভবিষ্যত প্রজন্মই" চিরন্তন। তাই আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে শিক্ষা, খাদ্য, সাস্থ্য, পরিবেশ, চাকরীর সুরক্ষা। সেটাই মৌলিক। প্রশ্ন হচ্ছে এই লক্ষ্য সাধনের পথে সাম্যের ভূমিকা। প্রতিটা ভবিষ্যত নাগরিকের অবশ্যই এই সুরক্ষাগুলি 'নুন্যতম' পাওয়া উচিত। যাতে তার জেনেটিক সারভাইভাল নিশ্চিত হয়। কে বেশী পাচ্ছে-কে কম পাচ্ছে-দেখার চেয়ে কত কম লোক দারিদ্র সীমার নীচে থাকে সেটাই প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিভাবে এবং কিপ্রকারে দ্রুত দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা লোকেদের মধ্যবিত্ত শ্রেনীতে তোলা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সাম্যের নামে কমিনিউস্ট রাষ্ট্রের মতন সবাইকে আধপেটা খায়িয়ে, না খেতে দিতে পারলে জেলে পাঠিয়ে মেরে ফেলা নিশ্চয় আমরা চাই না। উন্নয়নের প্রাধমিক পর্বে অসাম্য আসবেই। কারন উন্নয়নের প্রথম শর্তই ধন বিনিয়োগ-আর ধনের ধর্মই অসাম্য। সুতরাং ধণ আসম্যকে এড়িয়ে উন্নয়ন সম্ভব না। চীনের উন্নয়ন ও সেই অসাম্যের পথেই এসেছে। তবে হ্যাঁ-কমিনিউস্টরা এই প্রসঙ্গে প্রায় "সাম্যবাদি স্ট্যালিনিস্ট" মডেলের কথা বলেন। শুধু ভুলে যাওয়া হয়-সেখানে মানুষকে পশুতের ক্রীতদাস করে, ২ কোটি লোককে মেরে-চূড়ান্ত মানব ধ্বংশলীলা সাঙ্গ করে-সেই উন্নয়ন হয়েছিল রাশিয়াতে। পিরামিড নিয়েও আমরা গর্ব করি-শুধু ভুলে যাওয়া হয়, ঐ ইমারত বানাতে হাজারে হাজারে ক্রীতদাস প্রান দিয়েছে। রাশিয়াতে রাষ্ট্র মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়ে সাফল্যের পিরামিড তুলেছে-সাম্যবাদের সেই পিরামিড টেকে নি-সবাইকে ক্রীতদাস বানিয়ে বলতে পারি না, তোমরা সবাই সমান কারন তোমাদের সবার স্টাটাস আজ স্লেভ!
তাই বাম বাঙালীদের আজ আত্মসমীক্ষার ভীষন প্রয়োজন। তাদের নিজেদের জিজ্ঞেস করতে হবে-শ্বশানের সাম্য কাম্য না ধণের অসাম্যকে মেনে নিয়ে আমরা সুজলা সুফলা বঙ্গকে তৈরী করব। ধণের অসাম্য সাধারনত উন্নয়নশীল অবস্থাতেই বেশী থাকে-যা আজ গুজরাটে হচ্ছে। উন্নয়ন হয়ে গেলে, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট আস্তে আস্তে কমতে থাকলে-ধণের প্রাদুর্ভাবও আস্তে আস্তে কমতে থাকে। বস্তুত আমেরিকাতে সমাজতান্ত্রিক ধারনাগুলির ভিত্তি ভারতের থেকে অনেক বেশী দৃড়। এখানে শ্রমিকের অধিকার বা জনসাধারনের প্রতি রাষ্ট্রের প্রোটেকশন অনেক বেশী-জনগণ আরো বেশী তা চাইছে-তাই তারা ওবামাকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু বন্ধুগণ উণ্ণয়ন না হলে ত এসব কিছুই সম্ভব না! রাষ্ট্র টাকা পাবে কোথা থেকে? তাছাড়া নাই নাই করেও গুজরাটে ভূমিহীন শ্রমজীবিরা বছরে ২০০ দিন কাজ পায়-শ্বশান বঙ্গে পাচ্ছে ২০ দিন। তাও মুজুরী কম! এরে কই শ্বশানবঙ্গের সাম্য!
বামবাঙালী যতদিন না তাদের আত্মবিশ্লেষনে সমর্থ হবে-আমাদের অধোগতি ঠেকায় কার বাপের সাধ্য?
সিঙ্গুরে মমতার অতিবাম হাতের চড় থাপ্পর খেয়ে, উনি বিলক্ষন বুঝেছেন বাম-বাঙালীর শ্বশান বঙ্গ শিল্পের মরূভূমি। ধ্বংশের রাজনীতি বাঙালী জাতির ক্রমবর্ধমান দৈন্যদশার নিত্যসাথী। গুজরাটে ৮০ বিলিয়ান ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির ওপর বসে মোদি ন্যানোর সাথে পোজ দিলেন-সেইদিন ই উলটোডাঙায় শিল্পরথের ভাঙাচাকার জন্যে "অন্যদের" দুষছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু একজন মুখ্যমন্ত্রী বা বিরোধি নেত্রীই বা কি করবেন-যখন দেখি মোদির সাফল্যে বাম-বাঙালীর প্রতিক্রিয়া হচ্ছে-তাতে কি? গুজরাটে ধণ বৈষম্য ত অনেক বেশী। গরীব বড়লোকের মধ্য পার্থক্য বাড়ছে। ভাগ্যিস এরা বলে নি-তাতে কি-আমেরিকাতে ধণ বৈষম্য পশ্চিম বঙ্গের চেয়েও অনেক বেশী! তাই পশ্চিম বঙ্গ ভাল-আমেরিকা খারাপ। অথবা উত্তর কোরিয়াতে কোন বৈষম্যই নেই-সবাই আধবেলা খেয়ে থাকে-তাই তা ভারতের থেকেও ভাল-কারন সেখানে সাম্য প্রতিষ্ঠিত।
সন্দেহ নেই গরীব এবং ধণীর পার্থক্যে সমাজে রাজনৈতিক অস্থিরতা আসে এবং তা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে কাম্যও নয়। শুধু ধণের জোরে, এক পরজীবি নিয়ন্ত্রক শ্রেনীর উদ্ভব হৌক সেটা অবশ্যই আমরা চাই না। কিন্ত এই 'সাম্য' টা কি সমাজ ব্যাবস্থার মৌলিক চাহিদা? সাম্যের ধারণা ত আজকের নয়। বিদুর যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন -সেই নরপতিই শ্রেষ্ঠ যিনি সমাজ থেকে ধণ বৈষম্য কমাতে পারেন। কৃষ্ণভাস্যেও আমরা দেখি-যারা প্রয়োজনের অধিক ধণ সংগ্রহ করে, তাদের চোর বলা হয়েছে। কোরানে ধন সম্মত্তি দান করে সাদামাটা জীবনের উপদেশ সর্বত্র। কোরান বলছে বিত্তশীল ভোগবিলাসে ডোবে অজ্ঞ এবং বোকারা। এই সাম্যের ধারনা থেকেই প্রাচীন গ্রীসে স্টয়িক দর্শনের উৎপত্তি। ইউলিটারিয়ানরাও সামাজিক সাম্যে বিশ্বাস করেন। শুধু মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্টরা ত নয়-বিশ্বশুদ্ধ প্রায় সব দর্শনেই সাম্যের ধারনার জয়জয়াকার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এই সামাজিক সাম্য, সামাজিক উন্নতির চেয়েও বেশী জরুরী? সামাজিক সাম্যকি এতই মৌলিক?
এখানেই আমি দ্বিমত পোষন করি। আমাদের জীবনের লক্ষ্য কি? আমি না আমাদের ভবিশ্যত প্রজন্ম? আমি কখনোই হতে পারি না-কারন 'আমি' মরণশীল। একমাত্র 'ভবিষ্যত প্রজন্মই" চিরন্তন। তাই আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে শিক্ষা, খাদ্য, সাস্থ্য, পরিবেশ, চাকরীর সুরক্ষা। সেটাই মৌলিক। প্রশ্ন হচ্ছে এই লক্ষ্য সাধনের পথে সাম্যের ভূমিকা। প্রতিটা ভবিষ্যত নাগরিকের অবশ্যই এই সুরক্ষাগুলি 'নুন্যতম' পাওয়া উচিত। যাতে তার জেনেটিক সারভাইভাল নিশ্চিত হয়। কে বেশী পাচ্ছে-কে কম পাচ্ছে-দেখার চেয়ে কত কম লোক দারিদ্র সীমার নীচে থাকে সেটাই প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিভাবে এবং কিপ্রকারে দ্রুত দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা লোকেদের মধ্যবিত্ত শ্রেনীতে তোলা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সাম্যের নামে কমিনিউস্ট রাষ্ট্রের মতন সবাইকে আধপেটা খায়িয়ে, না খেতে দিতে পারলে জেলে পাঠিয়ে মেরে ফেলা নিশ্চয় আমরা চাই না। উন্নয়নের প্রাধমিক পর্বে অসাম্য আসবেই। কারন উন্নয়নের প্রথম শর্তই ধন বিনিয়োগ-আর ধনের ধর্মই অসাম্য। সুতরাং ধণ আসম্যকে এড়িয়ে উন্নয়ন সম্ভব না। চীনের উন্নয়ন ও সেই অসাম্যের পথেই এসেছে। তবে হ্যাঁ-কমিনিউস্টরা এই প্রসঙ্গে প্রায় "সাম্যবাদি স্ট্যালিনিস্ট" মডেলের কথা বলেন। শুধু ভুলে যাওয়া হয়-সেখানে মানুষকে পশুতের ক্রীতদাস করে, ২ কোটি লোককে মেরে-চূড়ান্ত মানব ধ্বংশলীলা সাঙ্গ করে-সেই উন্নয়ন হয়েছিল রাশিয়াতে। পিরামিড নিয়েও আমরা গর্ব করি-শুধু ভুলে যাওয়া হয়, ঐ ইমারত বানাতে হাজারে হাজারে ক্রীতদাস প্রান দিয়েছে। রাশিয়াতে রাষ্ট্র মানুষকে ক্রীতদাস বানিয়ে সাফল্যের পিরামিড তুলেছে-সাম্যবাদের সেই পিরামিড টেকে নি-সবাইকে ক্রীতদাস বানিয়ে বলতে পারি না, তোমরা সবাই সমান কারন তোমাদের সবার স্টাটাস আজ স্লেভ!
তাই বাম বাঙালীদের আজ আত্মসমীক্ষার ভীষন প্রয়োজন। তাদের নিজেদের জিজ্ঞেস করতে হবে-শ্বশানের সাম্য কাম্য না ধণের অসাম্যকে মেনে নিয়ে আমরা সুজলা সুফলা বঙ্গকে তৈরী করব। ধণের অসাম্য সাধারনত উন্নয়নশীল অবস্থাতেই বেশী থাকে-যা আজ গুজরাটে হচ্ছে। উন্নয়ন হয়ে গেলে, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট আস্তে আস্তে কমতে থাকলে-ধণের প্রাদুর্ভাবও আস্তে আস্তে কমতে থাকে। বস্তুত আমেরিকাতে সমাজতান্ত্রিক ধারনাগুলির ভিত্তি ভারতের থেকে অনেক বেশী দৃড়। এখানে শ্রমিকের অধিকার বা জনসাধারনের প্রতি রাষ্ট্রের প্রোটেকশন অনেক বেশী-জনগণ আরো বেশী তা চাইছে-তাই তারা ওবামাকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু বন্ধুগণ উণ্ণয়ন না হলে ত এসব কিছুই সম্ভব না! রাষ্ট্র টাকা পাবে কোথা থেকে? তাছাড়া নাই নাই করেও গুজরাটে ভূমিহীন শ্রমজীবিরা বছরে ২০০ দিন কাজ পায়-শ্বশান বঙ্গে পাচ্ছে ২০ দিন। তাও মুজুরী কম! এরে কই শ্বশানবঙ্গের সাম্য!
বামবাঙালী যতদিন না তাদের আত্মবিশ্লেষনে সমর্থ হবে-আমাদের অধোগতি ঠেকায় কার বাপের সাধ্য?
Sunday, January 11, 2009
মুম্বাইএর ওপর তোলা "স্ল্যাম ডগ মিলিয়ানার" গোল্ডেন গ্লোব জিতল
রেড কার্পেট ফ্যাশন

কেট উইনস্লেটকে এবার বেস্ট সার্পোটিং এক্ট্রেস নিয়েই খুশী থাকতে হল। গ্রাবিয়েল ব্যায়ান, এইচ বি ও সিরইয়াল "ইন ট্রিটমেন্টের" জন্যে সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পেলেন। এন্যা প্যাকুইন পেলেন সেরা অভিনেত্রী-"ট্রু ব্লাড সিনেমাতে" তার অনবদ্য পার্ফমান্সের জনে।
আমাদের মুম্বাই এর ওপর তৈরী স্ল্যাম ডগ মিলিয়ানার এর স্ক্রিপ্ট লেখক সিমন বুফয়ে জিতলেন সেরা লেখকের পুরষ্কার।
জিতলেন এ আর রহমান ও-স্ল্যাম ডগের নেপথ্য সঙ্গীতের সৃষ্টিকর্তা হিসাবে।
আর রেড কার্পেট ফ্যাশন? সালমা হায়েক সবাইকে তাক লাগাতেন তার চল্লিশোর্ধ শরীর নিয়েই।
তবে অর্থনৈতিক মন্দা-হলিউডকেও গ্রাস করছে-সেই ছায়া এবার ছিল স্পষ্ট।

মেলিন্ডা সুঃবেস্ট সাপোর্টিং এক্টর কেট উইন্সলেটঃ বেস্ট সাপোর্টীং এক্ট্রেস
Please visit vinnobasar sponsorer:
Taking care of your parents in Kolkata
www.nriparentalcare.com



Saturday, January 10, 2009
Subscribe to:
Posts (Atom)
জানুয়ারি 8th, 2009 at 8:20 pm
গান্ধীর কথাকে হাফ কোট করলে মুশকিল আছে। সুভাষকে গান্ধী বলেছিলেন যদি আমাদের বৃটীশদের সমান অস্ত্রবল থাকত-তাহলে অস্ত্রনিয়ে ঘুরে দাঁড়াতাম। কিন্তু বিজ্ঞানের জোরে সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলি আজ হাজারগুনে বলিয়ান। তাদের বিরুদ্ধে কি আর দুটী রকেট আর একটি রিভালবার নিয়ে যুদ্ধ করা যায়? তাই গান্ধীর বক্তব্য হল, অস্ত্রতে যখন টেক্কা দেওয়া সম্ভব না-তখন মানবতা এবং সভ্যতায় উচ্চতায় আমরা ওই পাশ্চাত্যকে শিক্ষা দেব-কারন ওরা নিজেদের সভ্যতারা বড়ই গর্ব করে।
আসলে বাংলাদেশের সশস্ত্র যুদ্ধ সার্থক হওয়ায়-অনেকেরই অস্ত্রে আস্থা বেশী। কিন্তু এটাও খেয়াল রাখতে হবে, ভারতীয় মিলিটারী অপরেশন ছাড়া তখনকার দিনের মার্কিন পুষ্ঠ সেরা সেনাবাহিনীকে সরানো সম্ভব ছিল না।আজকে প্যালেস্টাইনের জন্যে এই কাজ কারা করবে? মিশর, লেবানন, আরবের রাষ্ট্রগুলির শাসকরা নিজেরাই অত্যাচারী! তারা আমেরিকার পদলেহনেই খুশি। তাছারা ইস্রায়েল অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র। মুক্তি যুদ্ধে ভারতের পাছে সোভিয়েত ছিল তাই আমেরিকা নাক গলাতে পারে নি।এই এক মাত্রিক বিশ্বে সে সুযোগ নেই।
তাই গান্ধীবাদি পথেই প্যালেস্টাইন সমস্যার সব থেকে ভাল সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।
যুদ্ধে ইস্রায়েলের কিছু হবে না-খামোকা কিছু আরব মারা যাবে। তাদের সম্পত্তি ধ্বংশ হবে।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 9:42 pm
গান্ধীবাদে আমার তেমন আস্থা নেই
কি আর করা। আর গান্ধীর অহিংসা নীতি আমার অনেক ক্ষেত্রেই ‘মিথ’ বলে মনে হয়। প্রথম কথা, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সসস্ত্র বিপ্লবীদের স্বাধীনতা আন্দোলনকে তিনি ‘অহিংসার’ বানী আউরে বিরোধিতা করেছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রকে কখনোই অহিংস হতে প্রনোদিত করেননি। বরং রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছিলেন - এর বহু প্রমাণ আছে। যেমন, ১৯৩০ সালে Garhwal regiment এর দুই প্লাটুন সৈন্যকে পেশোয়ারে মোতায়েন করা হয়। তাদেরকে বলা হয় নিরস্ত্র ডেমোন্সট্রেটরদের উপর গুলি চালাতে। পরে তাদের কোর্ট মার্শালে নেয়া হয়। কিন্তু গান্ধী ব্রিটিশ রাজের কর্মকান্ডকে সমর্থন করেছিলেন। আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ রাজ যে তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য গান্ধীকে মোতায়েন করেছিলেন - তা ভুলে গেলে চলবে না।
গান্ধীর একটা বড় দোষ হল তিনি রাজনীতিতে ধর্মের প্রবেশ ঘটান - অনেকটা খেলাফত আন্দোলনের মতই - কিন্তু অনেক বড় আকারে। তিনি উগ্রহিন্দুত্ববাদকে জাগিয়ে তোলেন। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, সে সময় জিন্নাহই বরঙ গান্ধীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন - রাজনীতিতে ধর্মের আগুন নিয়ে হলি খেলা শুরু না করার জন্য। গান্ধী আসলে ছিলেন এক নিপুন পলিটিশিয়ান।
আমার মনে হয় না একাত্তরে আমরা যদি গান্ধীর কথা শুনে কেবল চরকা কাটতাম আর সত্যগ্রহ করতাম - বাংলা এমনি এমনি স্বাশীন হয়ে যেত। বাংলাদেশের সসস্ত্র সংগ্রামে ভারতের সাহায্য এবং সহযোগিতা তথাকথিত গান্ধিবাদের বিরুদ্ধেই যায় মনে হয়।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 9:49 pm
বিপ্লব, এই বিষয়টাতে দ্বিমত পোষণ করতেই হচ্ছে আমাকে। আমি জানি বাংলাদেশের প্রতি তোমার হৃদয়ে খুব কোমল একটা জায়গা আছে। তুমি হয়তো সচেতনভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার জন্য কথাটা বলোনি। তারপরও এই ধরনের বহুল প্রচলিত উন্নাসিক কথাবার্তা ভারতীয়রা বলে বেড়ায় সেটা অনেকদিন ধরেই খেয়াল করছি । বাংলাদেশ স্বাধীন হত না, যদি না ভারতীয় সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিত, এই ধারনাটা মনে হয় বদ্ধমুল হয়ে গেছে ভারতীয়দের মনে।
এইতো সেদিন সার্কিট সিটিতে একটা জিনিষ ফেরত দিতে গিয়েছিল। আমার সামনে লাইনে এক ভারতীয় ভদ্রলোক ছিলেন। পিছন ফিরে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, আমি ভারতীয় কিনা। বললাম যে, না। তখন আবার জিজ্ঞেস করল্ তাহলে কোথা থেকে এসেছি। উত্তর দিলাম, বাংলাদেশ। লোকটা কাধ ঝাঁকিয়ে বললো, ওই একই কথা। আমি বললাম, কি একই কথা? সে বললো, বাংলাদেশ আর ভারততো একই। আমি পালটা বললাম, ভারত আবার বাংলাদেশ হলো কবে থেকে? কথাটা তার মনে হয় পছন্দ হয়নি। সে চটে উঠে বললো যে, তোমাদের দেশতো পেয়েছো ইন্দিরা গান্ধীর কারণে। আমাদের আর্মি যুদ্ধ না করলে তোমরা কোনদিনই এত শক্তিশালী পাকিস্তান আর্মিকে হারাতে পারতা না। আমি মাথার মধ্যে আগুন নিয়ে তাকে ধমকালাম, ‘সামনের ফেরো। আর একটা কথাও বলবা না আমার সাথে। এই বিষয়ে তোমার সাথে কোন কথা বলতে চাই না আমি।’ তারপরও ওই লোক থামেনি। বকবক করে গেছে তার দেশের কৃতিত্ব নিয়ে। এই লোক কি বিচ্ছিন্ন কোন ভারতীয়? না, এই রকম উন্নাসিক এবং বাংলাদেশের প্রতি হেয় দৃষ্টি সম্পন্ন ভারতীয় আমি অনেক দেখেছি। যার কারণে আমি যেরকম পাকিস্তানীদের সাথে মিশি না, সেই রকম ভারতীয়দেরকেও মূলত এড়িয়েই চলি।
একটা জিনিষ ভারতীয়রা মনে হয় বুঝতে অক্ষম যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিন্তু অনিবার্য ছিল। ভারতীয় সহযোগিতায় তা তরান্বিত হয়েছে সে কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু তার মানে এই না যে, সেটা না পেলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না কোনদিন। খেয়াল করুন, বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে বিশাল দূরত্বে বিচ্ছিন্ন ছিল। বাঙালিরা ছিল পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ, সংখ্যালঘিষ্ঠ নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ যখন স্বাধীনতা চায় সেটাকে চিরদিনের জন্য ঠেকিয়ে রাখা সংখ্যালঘুর পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তা সেই সংখ্যালঘু যত শক্তিশালীই হোক না কেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পুরোপুরি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। যুদ্ধের শুরুতে তৈরি হয়ে গিয়েছিল সরকার। আর সারা দেশের মানুষের শর্তহীন আনুগত্য ছিল সেই সরকারের প্রতি। তারা স্বাধীনতার ইশতেহার তৈরি করেছে, যুদ্ধ পরিকল্পনা করেছে। নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক মুক্তিবাহিনী তৈরি করেছে। বহির্বিশ্বে জনমত গঠন করেছে, যুদ্ধের খরচ বহনের জন্য তহবিল গঠন করেছে। একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোন দেশ এরকম পরিকল্পিত এবং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছে কিনা আমার জানা নেই।
নয়মাস ধরে আমাদের নিয়মিত বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনী পর্যুদস্ত করে ফেলেছিল পাকিস্তান বাহিনীকে। ফলে ডিসেম্বরে চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে ভারতীয় বাহিনীকে তেমন বেশি বেগ পেতে হয়নি। মার্চ মাসে যুদ্ধের শুরুতেই ভারতীয় বাহিনীকে হাতে পায়ে ধরলেও মনে হয় না তারা বাংলাদেশের প্রতি কোন মমতা দেখিয়ে যুদ্ধে নামতো।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 9:59 pm
হ্যা, আমারো তাই মনে হয়। ভারত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে সেজন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারত না সাহায্য করলেও আমরা স্বাধীন হতাম। ন মাসে হয়ত হতাম না, স্বাধীন হতে সময় হয়ত লাগত ন বছর। কিন্তু আমরা স্বাধিন হতামই। শক্তিমানদের দর্প চূর্ণ করে শক্তিহীনদের বিজয়ের উদাহরণ ইতিহাসে আছে বহু। আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধই তো তার প্রমাণ।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 10:18 pm
ইতিহাস চর্চা আমি নিরপেক্ষ ভাবে করা কেই সমর্থন করি। আশা করি ইতিহাস থেকে আবেগকে যতটা সরানো যায় ততটাই ভাল। এই বক্তব্যের সমর্থনে তথ্যটা জানালে ভাল হয়। কারন আমার কাছে যা তথ্য আছে, তা অনুযায়ী নয়মাসের মুক্তি যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী যতটা অঞ্চল মুক্ত করেছিল, তার পরিমান বেশী নয়। যেহেতু এটা ভারতীয় দিকের তথ্য-এর বিরুদ্ধে তোমার যদি কোন তথ্য থাকে, সেটা এখানে দিলেই খুশি হব। আমার কাছে যা তথ্য আছে তা অনুযায়ী ৩৭০টা বর্ডার পোস্টের মধ্যে ৯০টা মুক্তিবাহিনী দখল করে। কিন্তু জমি দখলের লড়াই য়ে তারা তখনো সক্ষম হয় নি। মূল লড়াইটা ছিল গেরিলা পদ্ধতিতে।
তাছাড়া আমার এই বিশ্বাসের অন্য কারন ভারতের মিলিটারী অপরেশনের স্ট্রেটেজী। ব্লিটজারকিং পদ্ধতি আক্রমন তখনই করে যখন প্রতিদ্বন্দী শক্তিশালী কিন্তু তাদের এয়ার সাপোর্ট নেই। যার জন্যে ইন্ডীয়ান মিলিটারী পাকিস্থানের দুর্গ গুলোকে আক্রমন না করে তাদের দুপাশ দিয়ে কাটিয়ে ঢাকার দিকে এগোয়। যেখানে সংঘর্ষ হয়েছে ভারতের সাথে-যেমন বোগড়া, সেখানে পাকিস্থানী সৈন্যদের আত্মসমর্পন করানো যায় নি। এটা প্রমান করে পাকিস্থানি সেনা বাহিনী বেশ ভাল শক্তি নিয়েই বসেছিল। কিন্ত তাদের ১৪ স্কোয়ার্ডন ধ্বংশ হওয়াই, ব্লিটজারিকিং আটকাতে পারত না-যার কারনে ঢাকার পতন অনিবার্য ছিল।
হ্যা একটা কথা অবশ্যই সত্যি-যে ভারতের মিলিটারী না নামলে, একদিন না একদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হতই। তবে এটা ভুললেও চলবে না, বাংলাদেশে আমেরিকান সেনা বাহিনী নেমে আরেকটা ভিয়েতনাম ও হতে পারত। সুতরাং কি হতে পারত সেটা না ভেবে, যতটা সম্ভব অবজেক্টিভ ভাবেই যুদ্ধকে বিশ্লেষন করা উচিত। আমার কাছে যা তথ্য আছে, তা অনুযায়ী, পাকিস্থানী সেনা বাহিনী ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসেও বেশ শক্তিশালী ছিল -যার জন্যে ভারতকে ব্লিটজারকিং স্ট্রাটেজি নিতে হয়।
এটা কোন দেশকে হেয় বা ক্রেডিট নেওয়া নয়। বাংলাদেশী কেন-যে কোন মানুষকে হেয় করা অপরাধ। কিন্তু অবজেক্টিভ থাকাও দরকার। আমার কাছে হয়ত ঠিক তথ্য নেই।এটাও হতে পারে। আমাকে তথ্য দিয়ে বোঝালে-আমি নিশ্চয় মুক্ত মনেই এটার বিচার করব।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 10:47 pm
সেত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও গান্ধী বৃটিশদের হিটলারের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছেন। সেট কি কারনে ভুল? গান্ধীবাদে শত্রুত মানুষ নয়-অন্যায়, শোষন, অবিচারের বিরুদ্ধে তার লড়াই।
এখানে ইতিহাস একটু গোলানো হল। গান্ধী কোর্ট মার্শালকে সমর্থন করেছেন এমন প্রমান আমি কোথাও দেখি নি। কোন হিন্দুত্ববাদি এমন রটনা রটাতেও পারে। কারন এর পরেই দেশ জুরে হিংসাত্বক আন্দোলন শুরু হয়। বৃটিশরা দমন নীতি চালু করে। এই অবস্থায় গান্ধী হিংসাত্মক আন্দোলন থামাতে বক্তব্য পেশ করেন-সেটা বৃটিশকে সমর্থন বলে কেও ভাবতেই পারে। কিন্তু গান্ধী তার আদর্শ চ্যুত হন নি। কারন হিংসার মধ্যে দিয়ে আসা স্বাধীনতা হিংসাত্বক বলেই তিনি মনে করতেন।
গান্ধীর ধারনা ছিল-এই অহিংসা বিজ্ঞান থেকে আসতে পারে না-বিজ্ঞান আর বস্তবাদ হিংসাকেই প্রশয় দেয়। তাই তিনি ধর্মকে আঁকড়ে ধরেন। তখন ত বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের এত উন্নতি হয় নি। গান্ধীবাদ আসলে পশুকুলে ভালোই দেখা যায়-এবং এটা জীববিজ্ঞানে একটা জ্ঞাত সারভাইভাল স্ট্রাটেজি। এতে ঈশ্বরের গন্ধ নেই। এই তথ্য অবশ্যই আবিষ্কার হয়েছে অনেক পরে। এটা জানলে উনাকে নিশ্চয় এত হরি হরি করতে হত না।
পরিশেষে বলি গান্ধীবাদের স্বাধীনতার সংজ্ঞা অনেক ব্যাপক-রাজনৈতিক স্বাধীনতাতেই তা শেষ হয় না-পেটের আগুন থেকে আমাদের নিম্ন প্রবৃত্তি থেকে স্বাধীনতা-এই পূর্ন বৃত্তেই গান্ধীবাদের স্বাধীনতা। আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও, অনেক বাংলাদেশীকে পেটের আগুনের স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে বিদেশে যেতে হচ্ছে-ভারতেও কালকেই সত্যমের ডিরেক্ট্র রাজু বিলিয়ান ডলারের ধাপ্পাবাজি করে, গোটা দেশের সন্মান ডুবিয়ে দিলেন-শুধু লোভ থেকে স্বাধিনতা রাজু অর্জন করতে পারেন নি। যদিও শেষে গান্ধীকে স্বরণ করেই বিবেকের ডাকে নিজের পাপ এবং অসততা স্বীকার করলেন। তাও ভাল। কম্যুনিউস্ট, সাম্রাজ্যবাদি শাসকরা তাও করে না। কিসিংঞ্জার ত দেখেই ডিসির নানান সভায় বড় মুখে বাত ঝাড়েন-নিজের পাপ স্বীকার করেন?
গান্ধী যা বলেছেন তা অভ্রান্ত অবশ্যই না। বিশেষত তার ধর্ম নৈতিক ধারনা খুবই ভুল। কিন্তু মনে রাখতে হবে-তার পথেও সাফল্যে এসেছে-এবং সেই অভিজ্ঞতাটাও গোটা পৃথিবীর দরকার।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 11:10 pm
সাম্রাজ্যবাদের অর্থলিপ্সা আর বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নিজের আয়ত্বে রাখার নিরন্তর প্রচেষ্টা থেকেই প্যালেস্টাইন সমস্যার জন্ম। সাম্রাজ্যবাদই এই সমস্যাকে জিইয়ে রেখেছে যুগ যুগ ধরে নিজেদের স্বার্থে।
প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েলের শান্তিকামী সেক্যুলার মানুষেরা সাম্রাজ্যবাদের হাতে জিম্মি। হামাসও প্রকারান্তরে সাম্রাজ্যবাদেরই সৃষ্টি। তা নইলে ধর্মকে তারা ইস্যু করতো না। মধ্যপ্রাচ্যের এই সমস্যাকে যতদিন মুসলিম আর ইহুদীদের মধ্যে দ্বন্দ বলে চালানো যাবে ততদিন সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে এই সমস্যাকে টিকিয়ে রাখতে কোন অসুবিধা হবে না।
ওবামার নির্লিপ্ততায় আমি আশাহত হলেও বিস্মিত হই নি। এখন থেকে ব্যাক্তি ওবামার চেয়ে সাম্রাজ্যবাদের মুখপাত্র ওবামাকে বেশি বেশি দেখতে পাবেন।
গান্ধীবাদ (গান্ধীবাদ বলে কিছু আছে আগে শুনিনি) যে অকার্যকর তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে ভারত উপমহাদেশের তিন ভাগে ভাগ হওয়ার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় নিয়ে অভি আর ফরিদের মন্তব্যের সাথে আমি একমত। আমার মনে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারত না জড়ালেই চূড়ান্ত বিচারে বাংলাদেশের মানূষের জন্য ভালো হতো। কিন্তু সে হওয়ার ছিল না, ভারত নিজেকে জড়িয়েছে স্বার্থ রক্ষার খাতিরেই। তবুও ভারতের কাছে বাংলাদেশের মানুষের কৃতজ্ঞতাবোধ আছে। তবে কেউ যদি মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের দান তাহলে বলতে হবে তাঁর যে শুধু সংবেদনশীলতার (sensitivity) অভাব আছে তাই নয়, রাজনীতি এবং ইতিহাসজ্ঞানেরও কিঞ্চিত অভাব আছে।
এ নিয়ে আমার “আমার চোখে একাত্তর” সিরিজের শেষাংশে লেখার ইচ্ছে আছে।
জানুয়ারি 8th, 2009 at 11:49 pm
আরেকটা জিনিস বলা দরকার। ভারতে বহুল প্রচারিত যে ভারতীয় মিলিটারী দারুন যুদ্ধে করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। আমি তথ্য ঘেঁটে বা যারা ওই সময় ভারতীয় মিলিটারি ছিলেন, তাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি-বিশেষ কোন যুদ্ধ হয় নি। ১৪ স্কোয়াড্রন ধ্বংশ করার পর পাকিস্থানি ইনস্টলেশনএর পাশ কাটিয়ে ঢাকা ঢুকেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। যুদ্ধের মত যুদ্ধ হয়েছে হয়েছে একমাত্র বোগরা তে। সেখানে ২০,০০০ ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫০০ পাকিস্থানি সেনা ১৬ তারিখ অব্দি যুদ্ধ করেছে-তাদের হারানো যায় নি। ভারত পাকিস্থানি সেনাদের এই বীরত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে -বোগরার যুদ্ধে জেনারেল মালিকের স্ট্রাটেজি পরে ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে পড়ানো হয়। ভারতীয় সেনারা বীরত্ত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে-এই ধারনার বিরুদ্ধেও আমি ভারতীয় ফোরামে লিখেছি। আমার বরাবর মনে হয়-আবেগ ইতিহাস বুঝতে ক্ষতি করে।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 12:06 am
hello
Mr. obijit roy,
when mumbai was under attack you gave a post.you was calling them “Islamic terrorist “.they are killing the people in the name of Islam.you were quote from AL-Quran some verse which is out of context.
to show the people Muslim’s holy teaching that.
like killing non-muslim is encouraging in islam.
but when in Gujrat riot where more than 3000 muslim were killed.
more than 1000 muslim women was raped.
there you may condemn that genocide against muslim but you will never quote from “moha varot” or “vogobot gita” that this religion is teaching this kind of genocide . and this religion encouraging to kill non-hindus.
and you will never call them “Hindu terrorist.”
same thing for Israel.that country which was established on religion in 1948. this state sponsor terrorism against innocent people till today.
the total Israeli terrorism against innocent people till today is nothing compare with all muslim terrorist organization .
you will condemn israel.but you will never quote from old testament or Talmud some verse to show Talmud or old testament is teaching that.Talmud and old testament is nothing compare with Al-qoran.
and you will never call them “jews terrost”.
this is your hypocrisy against one religion.
you are a hypocrite.
open your mask.don’t hide youeself behind the free thinkers.
জানুয়ারি 9th, 2009 at 1:12 am
http://cgis.jpost.com/Blogs/must/entry/israel_s_hasbara_efforts_posted
জানুয়ারি 9th, 2009 at 2:15 am
সম্প্রতি বাংলাদেশে ধর্মবাজ, সাম্প্রদায়িক গুষ্টির চরম ভরাডুবি দেখে অনেক দিন পর মেজাজ বেশ ফুরফুরে ছিল । কাজের চাপে যদিও তা প্রকাশ করার মতো সময় পাচ্ছিলামনা । তাছাড়া, হাসিনার মন্ত্রীসভায় নারীদের এমন জয়জয়কার দেখেও ভাবছি সত্যি কি তাহলে বাংলাদেশে দিন বদল শুরু হলো ! স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে দু’জন নারীকে নিযুক্ত করায় অনেকেই শংখ্যা প্রকাশ করছেন – কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুব-ই আনন্দিত এবং তাদের সাফল্যের ব্যাপারেও আশাবাদী । অবশ্য যদি তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় স্বাধীনভাবে । কিন্তু নিজ দেশের এই আপাত সাফল্যের আনন্দের মাঝে যেনো হরিশে-বিষাদের মতো ঘটল ব্যাপারটা । ভারাক্রান্ত মনে আর অবষাদে স্থবির হয়ে আছি - আর ভাবছি, এই নিরাপরাধ শিশুগুলো কি অপরাধ করেছিলো? বাঁচার জন্য দিক-বিদিক জ্ঞানশুণ্য হয়ে শিশুরা দৌঁড়াচ্ছে, রক্তাক্ত পরে আছে তাদের নিথর দেহ, এই ছবি গুলো দেখার পর থেকে তাদের চেহারাগুলো যেনো আমাকে তাড়া করে ফিরছে …… বিবিসিতে নিউজ কিছুটা বাদ দিয়ে দিয়ে দেখি । বিশেষ করে শিশুদের যেভাবে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হচ্ছে এ দৃশ্য সহ্য করার মতো নয় । হয়তো নিজে একজন মা বলেই এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডগুলো কোন যুক্তিতেই যেমন মেনে নিতে পারছিনা, তেমনি আবেগে আক্রান্ত হচ্ছি । শুধু চাই, আমরা ‘মানুষ’, এই পরিচয় নিয়েই বেঁচে থাকুক আগামী পৃথীবির প্রতিটি শিশু । কোন অপ রাজনীতি অথবা কোন ধর্ম পরিচয়ই যেনো তাদের মানুষ পরিচয়কে আচ্ছন্ন করতে না পারে । যত যাই বলা হোকনা কেনো, যত যুক্তি-ই দেখানো হোক, মানবতা বিরোধী ইসরাইলী এই শিশুঘাতিদের জন্য চরম ঘৃণা আর ধিক্কার জানাই…ধিক্কার জানাই হামাসের মতো ধর্মীয় সন্ত্রাসী বর্বরদের প্রতিও । এই সব নিরাপরাধ শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়ার অপরাধে এরা প্রত্যেকেই অপরাধী…
অভিজিৎকে সঠিক সময়ে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 3:09 am
আমি এই ব্যাপারে ভারতীয় ফোরামে পোস্ট দিয়েছিলাম। ভুল হয়েছিল-এর সাথে জুরে ছিলাম সিপিএম বা কংগ্রেস বা বিজেপি মন্ত্রী সভায় এমন নজির আছে কি না। দেখা গেল-সব থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বেশী বামপন্থীরা-কারন সিপিএম মন্ত্রী সভায় মাত্র একজন আদিবাসি মহিলা আছেন! পলিটবুরোতে কোন মহিলা ছিল না-মহিলা সং গঠন গুলি চেচামেচি করায় বৃন্দা কারাতকে ওরা নিতে বাধ্য হয়। এদের ছেঁদো যুক্তি হচ্ছে ইন্দিরা গান্ধী বা বেনজির কে দিয়ে নারীর কোন ক্ষমতায়ান হয় নি। আসলে নিজেদের চেহারাটা বেয়াব্রু হলে অনেকেই এমন বলে। এটা খুবী ভুল ধারনা-বেনজির মেয়েদের জন্যে অনেক কিছুই করতে চেয়েছিলেন-এটা আজকে প্রমানিত মিলিটারী নিজস্বার্থে তাকে কিছু করতে দেয় নি।
নারীর ক্ষমতায়নের জন্যে আরো বেশী মহিলা এম পি এবং মন্ত্রী দরকার।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 4:00 am
This is a response to “ignored knowledge”
You said,
if you think the verses are really out of context, its your opinion. The brutal terrorists who are killing innocent lives citing Quran around the world, the holy book of Islam will not agree with you for sure. They think they are the ‘true Muslims’ and they are performing the holy duty of Jihad killing the infidels. They are justifying their terrorist activities citing the ‘holy books’. So, it may be out of context for you but certainly is not ‘out of context’ for the killers like Golam Azam, Nizami, Bangla bhai or Bin Laden, mind it!
You said,
You are dead wrong! I definitely call them Hindu-terrorists. I do not find any difference between Al-Quayda and Shiva Shena. One is justifying the killing by Islamic God, another one is justifying the killing by Lord Rama’s name. They are the opposite side of the same coin. Not only I condemned the Gujarat massacre, I mentioned many times that these are the classic example of ‘Ram Rajya’ which the Hindu terrorists are trying to build in India. Not only that, I have cited in many of may articles, In Ramayan, Rama killed Shamvuka, a schedulecast sudra for reciting Vedas. I have cited During 1815 to 1828 about 8135 women (average of about 507 to 567 documented incidents per year) were burned alive due to the Hindu religious custom. I mentioned how the holy verses from hindu puran inspired the hindu fanatics to burn the widows. You can find some of my articles here:
http://www.mukto-mona.com/Articles/avijit/shotto_khojey_MuktoMon.pdf
http://www.mukto-mona.com/Articles/avijit/odharmiker_dhormokotha221005.pdf
etc.
Old Testament is more violent than Quran. No doubt about it. However, the conflict between Israel and Palestine is more than religious violence or religious inspiration. Palestine’s struggle for freedom is no religious war, at least not for me. I never call a Palestinian freedom fighter a terrorist, just like I do not call Mastarda Surja Sen a terrorist. Their fight for emancipation is far beyond any religious doctrine. I do not bring Quran or Old Testament describing the political struggle, just as I do not bring Islam in describing the war of 1971.
You can call me ‘hypocrite’ or anything you want. But name calling will lead us nowhere. This is the problem of religionists. They rarely have any tolerance to the opposite opinion.
I am not putting any mask in my face just as you who is afraid to comment in public forum under real name and love to call himself ‘ignored knowledge’! And you are advising me to open my mask! What an irony!
Lastly, You are more than welcome in mukto-mona if you want to have a decent discussion, but no name-calling please. And thanks for your comment anyway.
Avijit
জানুয়ারি 9th, 2009 at 4:13 am
এবার বিপ্লবের উত্তরে -
তুমি দেখোনি বলে যে তা ঘটেনি, তা তো নয়। তুমি পারলে সুনীতি কুমার ঘোষের ‘ইন্ডিয়া এবং রাজ’ বইটা দেখতে পার।
গান্ধীবাদ আসলে পশুকুলে আছে শুনে হাসি পেল কি করব। :)। ডারউইন সাহেব তার বিবর্তন তত্ত্ব তা হলে গান্ধীবাদ বলে একটা টার্ম রাখলে পারতেন, কি বল?
:).
গান্ধী হরি হরি ভালই করেছেন। ভারতে হিন্দুয়ানীর বীজ নতুন করে বুনেছেন গান্ধী। এখন হলে তিনি করতেন আর না করতেন, তা নিয়ে হাইপোথিটিকাল আলোচনা না হয় আমরা না করি!
জানুয়ারি 9th, 2009 at 4:51 am
এটা ত আমার কথা নয়-অনেকেই এর ওপর গবেষনা করেছেন। আমি মাও এবং গান্ধী প্রবন্ধে রেফারেন্স দিয়েছিলাম
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=445
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ Erik Erikson’s মনোবিজ্ঞানের ওপর লেখা গবেষনা Gandhi’s Truth: On the Origins of Militant Nonviolence। এরিকসন এই গ্রন্থে নেকড়ে এবং হরিনদের মধ্যে চালু কয়েকটি খেলার উল্লেখ করেছেন। নেকড়েরা অনেক সময় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে এবং একগ্রুপ অন্যদের হারালেও, বিজিতদের মেরে ফেলে না-অত্যাচারও করে না-বরং তাদের “ক্ষমা” প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়।
বিবর্তন বিজ্ঞানের সাথে গান্ধীবাদের যোগ নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে। আমি শুধু একটি স্পেসিফিক উদাহরন তুলে দিয়েছি। লড়াই এর সময় ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্যে পশুরাও ক্ষমা পদর্শন করতে জানে!
গান্ধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছ তুমি-সুতরাং এক্সাক্ট তথ্যটাও তোমার দেওয়ার কথা।সেটা না দিলে ত হবে না। বরং আমি উলটো উদাহরণ দিচ্ছি-গান্ধী রাষ্ট্রের দমন নীতি নিয়ে কি বলেছেন-প্রথম কথা গান্ধী রাষ্ট্রের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করতেন না-কারন রাষ্ট্র মানেই জনগণের ওপর রাষ্ট্রীয় হিংসা এবং দমন নীতির প্রয়োগ হবে। সেদিক থেকে এই ব্যাপারে তার সাথে মার্ক্সিস্টদের পার্থক্য নেই।
যুদ্ধ যেখানেই হৌক গান্ধীর এই উক্তি কখনোই অপ্রাসঙ্গিক হবে না
গান্ধীর যে সমালোচনা অবশ্যই করব-সেটা হল অন্যান্য ধার্মিক দের মতন তিনিও স্ববিরোধিতায় ভুগতেন। বস্তুবাদে একদম আস্থা ছিল না। কারন বস্তুবাদ তিনি বুঝতেন না। তার ধারণা ছিল
লোভটা বস্তুবাদি জিনিস-বিজ্ঞান এই লোভ বাড়াচ্ছে মাত্র। যার জন্যে ধর্মের যে তীব্র সমালোচনা করা দরকার ছিল-তা তিনি করেন নি। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নি্ভর সমাজে বিরোধিতা করছেন হিটলার এবং স্ট্যালিনের কীর্তি দেখে।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 5:07 am
[1] জড়ানো বলতে ঠিক কি বলছেন?
[২] যদি এটাকে পরমার্থে ব্যাবহার করি-তাহলে বলবেন কি মুক্তিযোদ্ধারা কি ভাবে অস্ত্র বা ট্রেনিং পেত? হ্যাঁ আমিও মনে করি-ভারতের মিলিটারী অপরেশন ডিরেক্ট করা ঠিক হয় নি। কারন সেটা করার জন্যেই বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিগুলি বেঁচে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেই পুরো ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল-তাহলে আরো শক্তিশালী বাংলাদেশের জন্ম হত। এব্যাপারে আমি একমত।
[৩] ভারতের জড়ানো নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। প্রথমত পৃথিবীতে সব দেশের পররাষ্ট্র নীতি, দেশের স্বার্থ অনুযায়ী হয়। স্বার্থহীন বন্ধুত্ব বলে কোন কথা বিদেশ নীতিতে আছে বলে জানা নেই। ১৯৬৪ সালের যুদ্ধেই ভারত পূর্ব পাকিস্থান আক্রমন করে ভাঙতে পারত। কিন্তু তখন সেই স্বার্থ এল না কেন? আর শেখ সাহেব কে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে ত মুক্তি যুদ্ধই হয় না!
জানুয়ারি 9th, 2009 at 5:27 am
বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে এমন খোটা ভারতীয়রা প্রায়ই দেয়। আমার কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সেই স্কুল ছাত্রের মত মনে হয় যে পরীক্ষায় পাস করেছিল তার প্রতিবেশীর নোট পড়ে, তার সাহায্য নিয়ে। সেই প্রতিবেশী দাবী করলো পরীক্ষার সনদপত্র আমার প্রাপ্য, আমার হেল্প না পেলেতো তুমি পাশই করতেনা! ভারত সাহায্য না করলে আমাদের স্বাধীনতা পেতে হয়তো দেরী হত, হয়তো কয়েক প্রজন্ম লেগে যেত। এখন কথা হলো, স্বাধীনতা যুদ্ধে সহয়তা করার জন্যে ধন্যবাদ ভারতের অবশ্য প্রাপ্য কিন্তু সনদ নিশ্চয়ই নয়!
কাকের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। দেখেন না ওদের কেউ বিপদে পড়লে সবাই কেমন ছেকে ধরে। মানুষ(specially ইজরাইলের) কবেযে স্বজাতিকে এমন করে ভালবাসতে শিখবে? অভিজিতদাকে ধন্যবাদ এই ইস্যুটাকে সামনে নিয়ে আসার জন্যে।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 5:58 am
গত দুশো বছরে এমন কোন দেশ স্বাধীন হয়েছে, যারা অন্যদেশের সাহায্য নেই নি? ভারতের মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্রবিপ্লবে জার্মানী থেকে টাকা এসেছে। নেতাজি কে ত জাপানীরা সাহায্য করেছেন। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে ফ্রান্স সৈন্য দিয়ে সাহায্য করেছে। আর বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারনে এছাড়া কোন উপায় ও ছিল না। তাই আমার মনে হয় এভাবে না ভাবায় ভাল। ইতিহাসের সাথে আবেগ জড়িয়ে না পড়লেই ভাল। সেখানে যত বেশী তথ্যের নিরিখে আমরা দেখব-তত ভবিষ্যত আরো পরষ্কার হবে।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 8:00 am
ব্যপারটা হতাশজ়নক তো অবশ্যই। একইসাথে লেখা কম আসার পেছনে কিছু কারনও আছে।
১. যখন ইসলামের নামে সন্ত্রাস এবং বোমাবাজি হয়, তখন মেইনস্ট্রীম সংবাদমাধ্যম গুলোতে (প্রায় সমস্ত পত্রপত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া) ব্যপারটা এমন ভাবে প্রচার করা হয় যেন এর পেছনে ধর্মের কোন ভুমিকা নেই। এমনকি ভারেতের বর্তমান পররাস্ট্রমন্ত্রীও ইসলামের উপর রিসার্চ করে টেরোরিজমের পেছনে ধর্মের ভুমিকা খুজে পান না, সাধারন মুসলমানদের কথা বাদই দিলাম। মুক্তমনার এ নিয়ে নিরন্তর লেখালিখি হয় কারন (আমার ধারনা) মুক্তমনার লেখকরা তাদের চারপাশের সাধারন ধার্মিকদের ধর্মের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্যই লেখে। আরেকটা ব্যপার হচ্ছে মুক্তমনার এই ধরনের লেখাগুলো মেইনস্ট্রীম সংবাদমাধ্যম গুলোতে প্রচার করার তেমন সুযোগ নেই, এই জন্যই মুক্তমনায় এই ধরনের লেখা বেশী আসে।
২. মুসলিম জনগোষ্ঠি কোথাও যখন নিপীড়িত কিংবা নির্যাতিত হয়, তখন বিশ্বের অধিকাংশ মেইনস্ট্রীম সংবাদমাধ্যম গুলোতে এ নিয়ে নিরন্তর লেখালিখি হয়, এর বিরুধ্যে অনেক মিছিল, মিটিং হয়, অনেক মানবাধিকার সংগঠন, রাস্ট্র, নেতা এবং দল এর প্রতিবাদ করে। আর মুক্তমনার নিয়মিত লেখকরা এ নিয়ে অনেক লিখেছেন, এই যেমন আপনি লিখেছেন। এত লেখালেখির পর এই নিয়ে নতুন করে কিছু লিখার কিছু থাকে না। আমার ধারনা এই কারনেই মুক্তমনার এ নিয়ে খুব বেশী লেখা বা প্রতিবাদ আসে না, মুক্তমনার সবাই মুসলিম বিদ্বেসি বলে না, বা অমানবিক বলে না।
আরেকটা ব্যপার। ওবামা প্রসংগে বলার আগে একটা পুরানো জো্কস মনে পরল। দরজায় নক করার পর ছোট একটা মেয়ে দরজা খুলেছে, ঘরের ভিতর থেকে বাবা বলছে ‘কে এসেছে মা’, মেয়ে বলল ‘একটা মানুষ আর একটা পুলিশ’। ওবামা নির্বাচিত হওয়ার আগে ছিল সাধারন মানুষ, এখন মার্কিন প্রতিনিধি। মানুষের মতো দেখা গেলেও এখন মানুষ পরিচয়ের চেয়ে রাস্ট্রপ্রধান পরিচয় বড় হয়ে গেছে। মানবিক গুনের চেয়ে দেশের সার্থ এখন বেশী দেখবে। এটাই স্বাভাবিক, এতে অবাক হবার কিছু নাই।
ভাল থাকবেন সবাই।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 8:56 am
UN security council just passed resolution for ceasefire..I was listening to whole proceeding and put up a small Bengali news of what I saw in CNN…
American again disappointed all of us by abstaining..
http://www.vinnobasar.org/read.aspx?linkid=384
জানুয়ারি 9th, 2009 at 9:22 am
মুক্ত-মনার পক্ষ থেকে প্রকাশিত আবেদনটি প্রতি পুর্ন সমর্থন জানালাম। আমেরিকা ও
ওবামা কেন ফিলিস্তিনি জনগনের পাশে দাড়ালনা তার জন্য ব্যপক ক্ষোভ ও উস্মা প্রকাশ
করা হয়েছে। ব্যাপারটা এখানেই হাস্যকর। যে আমেরিকা গনতন্ত্র ও মানবতার চিরশত্রু,
যে আমেরিকা সারা পৃথিবী জুড়ে অবাধ শোষন লুন্ঠন চালিয়ে যাচ্ছে, যে আমেরিকা দুনিয়া
থেকে কমিউনিজম উতখাত করেছে আর আজ সারা দুনিয়া থেকে ইসলাম ধংস করার জন্য
সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আর আমরা সেই দুশমনের কাছে কাকুতি মিনতি করছি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাড়ানোর জন্য। অনেকটা বাংলা ভাইএর কাছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে
দাড়ানর জন্য আকুল আবেদন। দুদিন আগে যারা ওবামা জোয়ারে ভাসছিলেন, বন্দনা করছিলেন যেন উনি স্বর্গ থেকে ঝরে পড়া এক পারিজাত। দুদিন বাদে তার চোদ্দগুস্টি তুলে
গালিগালাজ। খুবই বেমানান নয় কি। আমার অভিযোগ কোথায় গেল বিশ্ব উম্মা। যার
ধারে ভারে সারা দুনিয়া থর থর কাঁপে। কই দেখলামনাতো উম্মার তরফ থেকে সামরিক
বাহিনীর সারি সারি ট্রাক রাফা বর্ডার ক্রশ করছে হামাশের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করার
জন্য। উম্মার থেকে বড় মিত্র ফিলিস্তিনিদের আর কেউ আছে কি। আরো বলি প্রতিবাদস্বরুপ
পৃথিবির কটা দেশ ইস্রায়েলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে একমাত্র ভেনেজুএলা
ব্যতিত। শুধু আমেরিকা নয়, সারা বিশ্ব মুখে কুলুপ সেটে তামাসা দেখে যাচ্ছে। কারনটা
কি, বিশ্বমানবতা কি বিবেকহিন? এনিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হোকনা। সত্যি কুদ্দুসভাইএর
কপাল খারাপ। মুরতাদ আর কাফের উপাধি তিনি পেলেন মুক্তমনার তরফ থেকে। মনের
দুঃখে বনবাসি না হয়ে যান। আর বিপ্লব সবাইকে গান্ধীটুপি পড়িয়ে এ যাত্রা সামাল দিল।
জানুয়ারি 9th, 2009 at 10:24 am
আমি ত আমেরিকার কাছে যেতে বলি নি-আমি সাম্রাজ্যবাদি শক্তির বিরুদ্ধে গান্ধীবাদি আন্দোলনের কথা বলছি। কারন তা না হলে ওসামা বিন লাদেন ও কোন অন্যায় করেন নি। লাদেন আর বুশ-একই পাপের ভাগিদার। একি মুদ্রার দুপিঠ। একথা আমি আগে লিখেওছি।
http://www.esnips.com/doc/c8f0708d-d78e-47db-b082-7a3ed2317e1e/LeninLaden
হিংসার বিরুদ্ধে হিংসা -আগুনের ঘৃতাঘ্নি।
সাম্রাজ্যবাদি শক্তি ইসলাম আর হিন্দুত্ববাদিদের সব থেকে বড় বন্ধু-এটা অস্বীকার কে করে?
জানুয়ারি 9th, 2009 at 11:48 am
To Chanokya,
You said USA is always enemy of democracy and humanity.
Why is that? Please explain.
You said USA is exploiting and robbing all over the world.
How is that? Please explain.
You said that USA is performing military operation to destroy islam from this world.
What is the proof? Please give the proof to justify your claim that USA is involved.
I look forward to hearing from you.
Thanks.
জানুয়ারি 9th, 2009 at 7:50 pm
আমি মামুনের কথার সাথে পুরোপুরি একমত। মুক্তমনায় কোন কিছু নিয়ে লেখা না আসাটা মনে করার কোন কারণ নেই যে মুক্তমনা সেটা সমর্থন করে। এই বার্মার সামরিক জান্তা দেশটাকে একঘরে করে রেখেছে, অং সান সুকিকে আটকে রেখেছে বছরের পর বছর - কই এ নিয়ে তো মুক্তমনায় লেখা তেমন আসে না। তার মানে কি এই যে বার্মার সামরিক জান্তার কুকর্ম মুক্তমনা সমর্থন করে? এভাবে ভাবাটাই ভুল। অভিজিতের এই লেখার পর এত স্বতস্ফুর্ত কমেন্টের ঝাঁক দেখে কেউ নিশ্চয়ই আর এভাবে ভাববে না।
কিন্তু মুশকিলটা ইসলামিস্ট মোল্লাদের নিয়ে। উপরে ignored knowledge নামে এক ভদ্রলোকের মন্তব্যটা দেখুন। উনি অভিজিতের হিপোক্রেসি দেখাতে এসেছেন। আমি বলি অভিজিতের হিপোক্রেসি দেখাতে যাওয়ার আগে নিজের হিপোক্রেসিগুলো একটু দেখলে কেমন হয়? অভিজিত তো নাস্তিক বা ধর্ম বিরোধী হবার পরও ইজরায়েলের সহিংসতার বিরুদ্ধে লিখেছেন, প্যালেস্টাইনীদের অধিকার নিয়ে লিখেছেন। মুক্তমনাদের অনেকেই কিন্তু ধর্ম না মানার পরও ধার্মিকদের বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে সচেতন। এখন ইস্লামিস্ট মোল্লারা এই কাজটা কয়বার করে? হুমায়ুন আজাদকে যখন বাংলা একাডেমীর মোড়ে চাপাতি দিয়ে কোপানো হল, আমি নিজে দেখেছি ইস্লামিস্টরা কি ভাবে উল্লাস প্রকাশ করেছিল। ইগ্নোর্ড নোলেজের মত মোল্লারা কয়বার বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাস নিয়ে লিখেছেন? সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলামের নামে যে সন্ত্রাস হচ্ছে তার কি প্রতিবাদ করে এই মোল্লারা? করে না। বিন লাদেন তাদের কাছে হিরো। এরা শুধু প্যালেস্টাইনী সেন্টিমেন্ট বেঁচে খায়। অথচ তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে বললেই তারা তেড়ে আসেন।
ইজরায়েলের কাজ যে নৃশংস কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু প্যালেস্টাইনের এই অবস্থার পেছনে হামাস তো অনেকাংশে দায়ী। গত আট বছরে তারা ৪ হাজারেরও বেশী করে রকেট আর মর্টার ইজরায়েলের বেসামরিক এলাকায় ফেলেছে। এমনকি এইবারের যুদ্ধেও তারাই আগে রকেট মেরেছে। এটা না করে তারা যদি ইজরায়েলী সামরিক জায়গায় হামলা করত তাহলে ব্যাপরটা বেশী যৌক্তিক আর সমর্থনযোগ্য হোত না? ইজরায়েল তো এই ব্যাপারটা কাজে লাগাবেই - তাদের সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার কথা বলে এটিকেই ইজরায়েল বর্তমান অভিযানের কারন হিসেবে বলছে।
আমি হামাসের কাজকর্মকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে কোনভাবেই সমার্থক হিসেবে দেখি না। বাংলাদেশের জনগণ যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে তাতে মুক্তিযোদ্ধারা কখনই বেসামরিক টার্গেটের উপর গণহারে রকেট মারেনি। উপরে ফরিদ সাহেব পরিস্কার করেই দেখিয়েছেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পুরোপুরি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। যুদ্ধের শুরুতে তৈরি হয়ে গিয়েছিল সরকার। আর সারা দেশের মানুষের শর্তহীন আনুগত্য ছিল সেই সরকারের প্রতি। তারা স্বাধীনতার ইশতেহার তৈরি করেছে, যুদ্ধ পরিকল্পনা করেছে। নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক মুক্তিবাহিনী তৈরি করেছে। বহির্বিশ্বে জনমত গঠন করেছে, যুদ্ধের খরচ বহনের জন্য তহবিল গঠন করেছে। আর অন্য দিকে হামাসের এই বোমা আর রকেট নিক্ষেপ নীতি এখন প্যালেস্টাইনের সংগ্রামকে সন্ত্রাসবাদে পরিনত করে দিচ্ছে।
ইসরায়েলের কুকর্মকে সমর্থন না করেও বলা যায় - সারা বিশ্বে হাজারটা যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, অথচ ইসলামিস্ট্ রা সেগুলো নিয়ে টু শব্দ করেন না। আর প্যালেস্টাইনে কিছু হলেই তাদের রক্ত গরম হয়ে যায়। এটা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা কবে হবে?
জানুয়ারি 10th, 2009 at 12:08 am
বিপ্লব বলেছেঃ
-সম্পূর্ণ ভ্রান্ত তথ্য। গান্ধী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয় তরুণদের ব্রিটিশ প্রভুর পক্ষে যুদ্ধে সামিল হতে একাধিকবার আহ্ববান করেছেন। রেফারেন্স চাইলে দিতে পারি, একটু খুঁজতে হবে।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 2:55 am
1. এটা কি করে ভ্রান্ত তথ্য হয়? আমি গান্ধীর লেখা থেকে কোট করে দিলাম। সেটা পড়লে কি?
এখানে গান্ধী খুব পরিষ্কার বলেছেন-যত দিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকবে-সৎ লোকের একমাত্র বাসস্থান হবে কারাগার! এরপর কোন রেফারেন্স লাগে?
[২] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গান্ধী বৃটিশদের লজিস্টিক সাহায্য দেওয়ার কথা বলেছেন। যুদ্ধে যাওয়ার জন্যে আহ্বান গান্ধী জানিয়েছেন এমন তথ্য কোন দিন কোথাও দেখিনি-পেলে খুব ভাল হয়। ১৮৮৫ য়ে বুয়োর যুদ্ধই গান্ধীর জীবনে শেষ যুদ্ধ-এবং সেই যুদ্ধ নিয়ে গান্ধী আত্মজীবনীতে কি লিখেছিলেন সেটা পড়ে নিও।
গান্ধী বৃটিশদের কখনোই শত্রু হিসাবে দেখেন নি-কারন শত্রুর ধারণাটাই গান্ধীবাদে নেই। তিনি বলেছেন ওরাও মানুষ-আমাদের দোষগুন ওদেরও আছে-আমরা আমাদের সত্যাগ্রহের মাধ্যমে ওদের অত্যাচারী সত্ত্বার উপলদ্ধি ঘটাবো-ওরা আমাদের মারবে-আমরা সহ্য করব-কিন্ত মাথা নত করবো না-প্রত্যাঘাত করবো না-আমাদের এই মরাল ‘পজিশন’ দেখেই অত্যাচারী তার অত্যাচারী সত্ত্বা উপলদ্ধি করবে।
একটা কথা ভুললে চলবে না-গান্ধী ইংল্যান্ডে যখন শ্রমিকদের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন-তাদের মধ্যেই থাকছেন-তার জনপ্রিয়তা এত বৃদ্ধি পায়-চার্চিল বলেছিলেন -গান্ধী বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে দাঁড়ালে বাকিরা জামানত জব্দ হবে। এটাই গান্ধী ম্যাজিক। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটে নি।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 3:14 am
বিপ্লব, তুমি যদি জমি দখল আর বিওপি দখল দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরিস্থিতি যাচাই করতে যাও তাহলে মনে হয় ঠিক হবে না। এই যুদ্ধ যতটা না ছিল অস্ত্রের তার চেয়ে অনেক বেশি ছিল নৈতিক মনোবলের। অনেক বেশি ছিল ভালবাসা এবং ঘৃণার। আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের পেশাদার সৈনিকদের কাছে গাদা বন্দুক হাতের মুক্তিবাহিনীর বাচ্চা ছেলেগুলো রীতিমত মুর্তিমান আতংক হয়ে উঠেছিল। ঘুমের ঘোরেও দুঃস্বপ্নে তাদেরকে তাড়া করতো মুক্তিবাহিনীর বিচ্ছুগুলো। করারই কথা, তাই না? একদল যুদ্ধ করছে নিছক পেশার খাতিরে, আর আরেকদল যুদ্ধ করছে তাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় দেশকে মুক্ত করার জন্যে। ডিসেম্বরের শুরুতে পাকিস্তান আর্মির নৈতিক মনোবল বলে কিছু অবশিষ্ট ছিল বলে মনে হয় না। মুক্তিবাহিনীর চোরাগুপ্তা হামলার আশংকায় তাদের চলাচলও ছিল সীমিত। নিজেরাই নিজেদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল সামরিক ছাউনির নিরাপদ আশ্রয়ে। ভারতীয় বাহিনী বরং তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক নিরাপত্তা হয়েই এসেছিল। আর সে কারণেই মুক্তিবাহিনীর চেয়ে ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনণ করতে বেশি ইচ্ছুক ছিল তারা।
Blitzkrieg পদ্ধতিতে আক্রমণটা যতখানি না পাকিস্তান বাহিনীর শক্তির কারণে হয়েছে, তার চেয়ে বেশি মনে হয় হয়েছে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার তাগিদ থেকে। বাংলাদেশে ওই সময় পাকিস্তান আর্মির খুব বেশি হলে পঞ্চাশ বা ষাট হাজার নিয়মিত বাহিনীর সদস্য ছিল। এমন কোন আহামরি শক্তি সেটা না। তার উপর যারা প্রতি রাত নিদ্রাহীন কাটাতো বিচ্ছুদের ভয়ে। পাকিস্তান যখন মোটামুটি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে তখনই কৌশলগত কারণে পশ্চিম প্রান্ত থেকে হামলা চালায় ভারতে। উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে যুদ্ধের মধ্যে টেনে আনা। পাকিস্তানের ধারণা ছিল এর ফলে সিজফায়ার হবে এবং ফলশ্রুতিতে অচলাবস্থা তৈরি হবে। পূর্বাঞ্চলে দম নেয়ার সে সময় পাবে। সময় কেনাটাই ছিল পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশ এবং ভারতের পরিস্থিতি ছিল সম্পুর্ণ ভিন্ন। হাতে সময় খুবই কম। কোনক্রমেই সিজফায়ারে যাওয়া যাবে না। যাওয়া মানেই বাংলাদেশের জন্ম গর্ভাবস্থাতেই বিনাশ হয়ে যাওয়া। কাজেই যা কিছু করার করতে হবে অতি দ্রুত। সে জন্যই, পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় বাহিনী ত্বরিত গতিতে সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে হামলা চালায় প্রাণকেন্দ্র ঢাকার উপর। ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় বাকি দেশ থেকে। ঢাকার পতনের সাথে সাথে অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ।
বিপ্লব, ইতিহাস চর্চা নিরপেক্ষভাবে করার আমিও পক্ষপাতি। কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এমনি এক তীব্র আবেগের নাম, এমনই এক ভালবাসার নাম, যেখানে নিরপেক্ষতার নামে সেই আবেগকে এবং ভালবাসাকে আমি বিসর্জন দিতে রাজি নই। যখন জানি যে, মাত্র আটত্রিশ বছর আগে আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষেরা তাদের কৈশোর বা তারুণ্যে বিছানায় কোলবালিশ শুইয়ে রেখে রাতের আধাঁরে যুদ্ধে চলে যাচ্ছে, আমেরিকায় পড়তে যাওয়া বাদ দিয়ে কোন এক মেধাবী তরুণ তার মাকে বোঝাচ্ছে তাকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেবার জন্য, আর সেই মাও নিজ হাতে রণসাজে সাজিয়ে দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের পথে দিয়ে আসছে তার সন্তানকে চোখের পানি লুকিয়ে রেখে, গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়া কোন তরুন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুর আগে তার বুকের রক্ত দিয়ে গভীর ভালবাসায় দেশের মাটিতে লিখে রেখে যাচ্ছে জয়বাংলা, বুকে মাইন বেঁধে কিশোর কোন মুক্তিযোদ্ধা ঝাঁপিয়ে পড়ছে ট্যাংকের সামনে, তখন আসলে সেই ইতিহাসের ক্ষেত্রে নিরাবেগী হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা আমার সীমাবদ্ধতা। আর সেই সীমাবদ্ধতার জন্য বিন্দুমাত্রও লজ্জিত নই আমি।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 4:17 am
তুমি বোধ হয় সরকার আর রাষ্ট্র গুলিয়ে ফেলেছ, বিপ্লব। গান্ধী বলেছেন, A government that is evil has no room for good men and women except in its prisons। এখানে পরিস্কার ভাবেই - government বা সরকারের কথা বলেছেন তিনি। তাও আবার খুবই সাদা মাঠা ভাবে ‘ইভিল গভমেন্ট’কে দোষারোপ করেছেন - পলিটিশিয়ান্রা যা করে আর কি! কোথায় তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন?
গান্ধী কখনোই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করেননি, বরং বহু ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার অহিংসার বাণী ছিল কেবল ওই সসস্ত্র বিপ্লবীদের জন্য। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রকে কখনোই অহিংস হতে প্রনোদিত করেননি। বরং রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী জুলু বিদ্রোহের বিরোধীতা করে গান্ধী বলেছিলেন -
I bore no grudge against the Zulus, they had harmed no Indian. I had doubts about the ‘rebellion’ itself. British Empire existed for the welfare of the world. A genuine sense of loyalty prevented me from even wishing ill to the Empire. The rightness or otherwise of the ‘rebellion’ was therefore not likely to affect my decision. Natal had a Volunteer Defence Force, and it was open to it to recruit more men. I read that this force had already been mobilized to quell the ‘rebellion’.
কি বুঝলে? চাইলে আরো দিতে পারি…।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 5:19 am
এটা ত দিয়ে আরো বোঝালে গান্ধীর জীবনী টাই তুমি পড় নি। উনি জুলু বিদ্রোহের যখন বিরোধিতা করেন তখন তিনি একনিষ্ঠ বৃটিশ সেবক-সেটা ১৯০৬। উনি বুযোর যুদ্ধে এমন কি বৃটিশদের হয়ে বন্দুক নিয়ে লড়েছেন জুলদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু এই যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি অহিংস গান্ধী হন।জুলুর যুদ্ধের পরে-সেই অভিজ্ঞতা থেকে কিভাবে অহিংস হলেন সেটা পড়ে দেখ। কলিং যুদ্ধ যেমন অশোককে অহিংস করেছিল-বূয়োর যুদ্ধে যোগ দিয়ে নৃসংসতা দেখে গান্ধী অহিংস হলেন। এটা তুমি জানতে না বলে কমেন্ট টা দিয়ে দিলে। যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর গান্ধী এটা লিখেছিলেনঃ
কেও গান্ধী বা লাদেন হয়ে জন্মায় না। ঘটনা-সমাজ তাদের বানায়।
গান্ধীর ওই কোটেশনটা আমি সংক্ষেপে দিয়েছি। পুরোটা পড়। ওখানে মূল সুরটা হচ্ছে -রাষ্ট্র অধিকতর হওয়া মানেই, সাধারনের ওপর রাষ্ট্রের কতৃত্ব বাড়বে। সেটা মানেই সত্যের অপলাপ হবে-অত্যাচার চলবে। গান্ধী রাষ্ট্র নিয়ে কি ভাবতেন তাই নিয়ে ইউ টিউবেও অনেক ভিডিও আছে।
গান্ধীর বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদি এবং কমিনিউস্টদের প্রচার অব্যাহত। এই ট্র্যাপে না পড়ে-গান্ধীর অনেক অনলাইন জীবনী আছে -যেকোন একটা পড়ে ফেল। তাহলে এই সব সমস্যা হবে না।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 6:03 am
মানবতাবাদের চেয়ে আর কোনো বড় কিছু নাই একথা আমরা কম-বেশ সবাই জানি।তাই মানবতাবাদীদের চোখে জগতের সকল অন্যায়-অবিচার,যে কোনো ধর্মের বা ক্ষমতার নামে যুদ্ব,মারামারি,হানাহানি কেবল বেমানান নয় অনেক কষ্টকর ও বেদনাদায়ক বিষয়। আমরা সবকিছুর উর্ধে কেবল মানুষকে মানুষ বলে গন্য করি সেখানে কার কি ধর্ম বা কার কি জাত অথবা কে সাদা কে কালো সেটা কোনোভাবেই কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়।
অভিজিত রায় এর আমাদের চোখের সামনে ইসরাইল-ফিলিস্হানের উপর সময়োপযোগী লেখাটির আবেদন সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের সব ধরনের যুদ্ব,সকল জোতদার ও সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্বে সোচচার ও এক হওয়ার বার্তা বহন করে। কিনতু কেউ কেউ যখন মুল বিষয়কে বাদ দিয়ে অন্যদিকে যাএা করেন তখন তা দুঃখজনক বৈ-কি ।
অভিজিত রায় কে প্রানঢালা শৃভেছছা রলো।
মামুন,
স্টকহোলম।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 6:29 am
ফরিদ ভাই, আপনি কারে কি কন! একটা কুমারী মেয়ে কি করে বুঝবে নাড়ির সংযোগ, মা হবার তীব্র যন্ত্রনা। আর দশ জনের কাছে এটাতো প্রকৃতির নিয়ম, নিদারুন সেই মা জানে, সেখানে ছিল দশ মাসের গর্ভধারন, অসহ্য প্রসব বেদনা। আমরা জানি একাত্তরে কি গেছে, আড়াই লক্ষ মা বোনকে ছিড়ে খুড়ে রক্তাক্ত করেছে, তিরিশ লক্ষ লাশের বুলেট বিদ্ধবুক, নয় মাসের প্রসব বেদনা। এভাবে যে দেশের জন্ম হল তাতে আবেগ থাকবেনা এটা বিপ্লব পালের মত গান্ধীবাদিই বলতে পারেন। আপনি লজ্জিত কেন হতে যাবেন, আপনার গর্বিত হওয়া উচিত।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 6:31 am
তুমি মূল বিষয় থেকে সরে গিয়েছ, বিপ্লব। প্রত্থমে বললে গান্ধী নাকি রাষ্ট্রের অস্তিত্বই অস্বীকার করেছিলেন। একটা কোট দিলে প্রমাণ স্বরূপ যেখানে ’state’ বলে একটা শব্দ পর্যন্ত নেই, আছে evil government এর সমালোচনা। আমি তোমাকে দেখিয়ে দিলার গান্ধীর রাষ্ট্রধারণা নিয়ে তোমার চিন্তা ভুল।
আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ না করে এসো আমরা মুল পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করি
১ জুলুরা ব্রতিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
২। গান্ধী ভাবতেন, ব্রিটিশরা আমাদের জন্য কল্যাণকর - British Empire existed for the welfare of the world.
৩। কাজেই ব্রিটিশরাজকে দমন করার ব্যাপারে জুলুদের দমন করা জায়েজ।
সত্যই খুবই নন ভায়োলেন্ট বটে গান্ধী!
তুমি বলেছ, গান্ধী নাকি পরে ‘নন-ভায়োলেন্ট’ হয়েছিলেন। বেশ। ১৯৩০ সালে Garhwal regiment এর দুই প্লাটুন সৈন্যকে পেশোয়ারে মোতায়েন করা হয়। তাদেরকে বলা হয় নিরস্ত্র ডেমোন্সট্রেটরদের উপর গুলি চালাতে। পরে তাদের কোর্ট মার্শালে নেয়া হয়। কিন্তু গান্ধী ব্রিটিশ রাজের কর্মকান্ডকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন - ‘আই ওয়াজ আন উইলিং টু ডু এনিথিং ক্যাল্কুলেটেড নিডলেসলী টু ইরিটেড লয়াল অথরিটি।’
গান্ধীর বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদি এবং কমিনিউস্টদের প্রচার অব্যাহত যেমন আছে, তেমন আছে গান্ধীবাদীদের উনাকে পয়গম্ব্রর বানানোর অপচেষ্টা। সেজন্যই তুমি গান্ধীবাদকে বিবর্তনবাদ পর্যন্ত নিয়ে গেছ। অনেকটা বুকাইলীর মতই অসার চেষ্টা। পশুকুলে সো-কল্ড অহিংসা যদি থেকে থাকে, তবে উলটোটাও তো আছে। আছে ক্যানিবলিজম (সিঙ্ঘ কিংবা আফ্রিকান মাগুর তার নিজ বাচ্চাকেও খেয়ে ফেলে, এতো জানই), আছে ব্রুট ফোর্স ইফেক্ট। এগুলো কি গান্ধীবাদ?
গান্ধীবাদ সম্পর্কে আমার ধারণা ঠিক কি ভুল তা না হয় পাঠকদের উপরই ছেড়ে দেই।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 6:38 am
কি বিপদ-এটা ত ১৯০৬ সালের কোটেশন যখন তিনি বৃটিশ ভক্ত ছিলেন। উনি ত তখন বৃটিশ দের হয়ে বন্দুক হাতে যুদ্ধ ও করেছেন-সেখান থেকেই হিংসার মর্ম বোঝেন!! এটাত সবাই জানে।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 6:47 am
গান্ধী কি বলেছেন যে তার কথা বিজ্ঞান সম্মত? উনি নিজেই ত বিজ্ঞানের বিরোধিতা করেছেন। সেটা ত আমি লিখেছি। আর এখানে গান্ধীর কথা বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছে এমন নই। এটা যদি বুকাইলিজম হয় আলট্রূইজম নিয়ে বিবর্তনের যাবতীয় কাজ ধাপ্পাবাজি! কারন গান্ধীর কথাগুলো নতুন ত কিছু নয়-আলট্রুইজমের মূল কথা যা দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই বলে এসেছে। সুতরাং তুলনা টানা ঠিক না।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 7:36 am
ইসরাইল থেকে আলোচনা স্বাধিনতা যুদ্ধ… গান্ধীবাদ …পার হয়ে এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেছে…
অভিমত আমার কাছে ব্যক্তিগত একটা ব্যপার মনে হয়, এই ব্যক্তিগত অভিমত গুলো লাইন বাই লাইন কোট করে প্রশ্নকরা এবং অভিমতকারীর কাছে উত্তর দাবি করাটা কতটা যুক্তিসংগত বা ঠিক আমার নিশ্চিত করে জানি না। বাক স্বাধীনতার ধারনার সাথেই বা কতটা মানানসই?
গান্ধীবাদ সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নাই। শুধু জানি উনি মহান মানুষ, এবং অন্যান্য মহানদের মতোই উনারো অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে। কারো পক্ষেই সব কিছুতে নিখুত হওয়া সম্ভব না। আপনারা যারা গান্ধীবাদ এর ভাল এবং মন্দ সম্পর্কে জানেন এবং লিখেন, তারা নিরপেক্ষ ভাবে মতামত দিলে এই নিয়ে তর্ক হয় কেন? আপনারা তো ইতিহাস নিয়ে লিখছেন, বিশ্বাস নিয়ে না। আর আপনারা কি লিখেন পাঠকদের জানানোর জন্য না নিজের মতামত ডিফেন্ড করার জন্য? বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ফ্রিথিঙ্কারদের আলোচনা, প্রশ্ন করার ভংগি আরো মার্জিত হওয়ার কথা না?
মুক্তমনা এবং আরো কিছু ফোরামে বাংগালী আর ভারতীয় লেখকদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভুমিকা নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক দেখি। বাংগালী লেখকদের মধ্যে সবাই যে ভারত বিদ্বেসি না বা হিপক্রেট না তাও ঠিক না। ভারতীয় খাবার খেয়ে, ভারতীয় জামা পরে, হিন্দি সিরিয়াল দেখতে দেখতে ভারতের বাপ মা তুলে গালাগালি করাটা অনেক শিক্ষিত বাংগালীই কর্তব্যকর্ম মনে করে। ভারতীয়রাও কম না। কথায় কথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভুমিকা ফুলাইয়া ফাপাইয়া খোচা দিয়া মনে করাইয়া দেয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভুমিকার কথা সবাই জানে। তাদের সার্থ আর প্রাপ্তি যাই থাক, আমাদের স্বাধীনতার পেছনে ভারতের সহায়তা এবং ত্যগ যে আমাদের জন্য কল্যানকর ছিল, এ কথাও সবাই মানে। কি হইলে কি হইত, ডিম আগে না মুরগী আগে, এই তর্ক বাংগালী আর ভারতীয় কারোই কোন কাজে আসবে না, তিক্ততাই বাড়াবে শুধু।
আমাদের মধ্যে যারা ভারতীয়দের খোচায় এবং উন্নাসিকতায় তিক্তবিরক্ত, তাদের একথা ভুলে গেলে যে ভারত স্বাধীনতার সময় আমাদের উপকারই করছে। কারো উপকার করে পরে খোচা দিয়া মনে করাইয়া দেওয়া মহান কোন গুন না। এটা বরং ব্যক্তিগত সংকির্নতার বহিপ্রকাশ। এই সংকির্ন মানসিকতার লোকদের কথায় দুঃখ্য পাবার কিছু আছে কি? মানুষ হিসাবে আমরা কেউ নিখুত না, সবাই সার্থপর আর কমবেশী সবাই হিপক্রেট। আপনি যদি মনে করেন আপনি হিপক্রেট না এবং অন্য মানুষের জীবন আপনার জীবনের সমান মুল্যবান, তাহলে অর্গান ডোনারে নাম লেখাইয়া আত্মহত্তা করেন না কেন। একজন ভালোমন্দ মেশানো মানুষ হিসাবে অন্যের ভুলত্রুটি আমাদের আরো ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখা উচিৎ। এই টপিকে ভারতীয়দের সাথে তর্ক করাটা ‘তুমি অধম তাই বলিয়া আমি আরো বেশী অধম হইবনা কেন’ র মতো হয়ে যায় না?
নতুন শতাব্দি্র ‘এক বিশ্ব এক দেশ’ স্লোগানের পাশে ৩৭ বছরের পুরানো কি হইলে কি হইত মার্কা তর্ক মানানসই না। আর ভারত আমাদের প্রতিবেশী, নিজেদের সার্থেই আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখা ভাল।
ভাল থাকবেন সবাই।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 7:38 am
বিবর্তনবাদ এবং গান্ধী-
আমি কিছু লিংক দিচ্ছি। এগুলো সবই নামি দামী জার্নালে প্রকাশিত পেপার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা। এর সাথে বুকাইলিজমের তুলনা করলে, আলট্রুইজিম যে বিবর্তন দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব তাকেই অস্বীকার করা হবে। কারন গান্ধীবাদ মনুষ্য সমাজে চলে আসা ” আলট্রুইজম ” গুলিকেই নতুন ভাবে কাজে লাগানো। নিচের লিংক গুলি আলট্রুইজম এবং বিবর্তন নিয়ে গবেষনা-যারা গান্ধীবাদের ওপর তাদের তাত্ত্বিক আলোক পাত করেছেন এবং এগুলি আমেরিকাতে জার্নাল পেপার বা একাডেমিক গ্রন্থ।
১।The Altruistic Species
By Andrew Michael Flescher, Daniel L. Worthen
২।
Evolutionary Altruism in Game theory
http://citeseerx.ist.psu.edu/viewdoc/summary?doi=10.1.1.8.9376
৩| Altruism, Gandhi and neurobiology
http://www.paxamericana.net/2007/11/gandhi-neurons.html
জানুয়ারি 10th, 2009 at 7:48 am
ইউক্রেনিয়ান দুর্ভিক্ষের বছরে [১৯৩৩] স্ট্যালিনের জমানায়, কৃষকরা নিজেদের ছেলে মেয়েদের মেরে খেয়েছে। সুতরাং খাদ্যাভাবে মানুষ নিজের ছেলে মেয়েকে খেতে পারে-এটা স্ট্যালিনের দয়াতে আমরা দেখেছি গত শতাব্দিতেই। সুতরাং শুধু পশুদের দোষ দিয়ে লাভ আছে? মানুষই যখন এমন করে?
তবে সেটাও আমি বলছি না-আসল কথাটা হল রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস-সেটা করতে পশুকুলে গান্ধীবাদ আর হিংসা দুটোই লাগে। কিন্তু আমি যদ্দুর পড়েছি-দরকার না হলে জীবকুল হিংসাত্বক আচরন করে না। নিজে আরো বেশী আঘাত পেতে পারে এই ভয়েই ক্ষমা করে দেয়-দু এক ঘা খেলেও।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 8:40 am
মানুন ভাই
ইতিহাস নিরেপেক্ষ বলে কিছু হয় না।একটা দৃষ্টি ভংগী থাকতেই হয়। আমি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভারতীয়, পাকিস্থানি এবং বাংলাদেশ-এই তিনটি দৃষ্টিভংগী থেকেই দেখেছি/পড়েছি। কিছু সত্যি কথা সবার ইতিহাসেই আছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ২+২=৪ করতে পারি নি।
যেমন ধর ফরিদ বলছেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে পাকিস্থানি সেনা বাহিনীর প্রাণ ওষ্ঠাহত হয়ে ওঠে। এখন এর সপক্ষে যে প্রমান আমার কাছে আছে-(১) মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য (২) পাকিস্থানের জেনারেল দের বিবৃতি হামিদুর রহমান কমিশনে। আবার সেই পাকিস্থানের ইতিহাসই বলছে ‘৭১ এর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা যেসব গেরিলা যুদ্ধে রত ছিল-তাতে তাদের কিছুই হয় নি। সব নস্টের গোড়া ভারত। মার্চ ‘৭১ থেকে নভেম্বরে আরো দুই বা তিন ডিভিশন পাকিস্থানি সেনা বাংলাদেশে আনা হয়। যদিও তা ছিল অপর্যাপ্ত-কিন্তু সংখ্যার দিক দিয়ে দেখলে ১৯৭১ এর মার্চের চেয়ে ১৯৭১ এর নভেম্বরে পাকিসেনার সংখ্যা ছিল দ্বিগুন বা কিছু বেশী।
এক পৃথিবী এক মানুষের স্বপ্নত আমিও দেখি। কিন্ত তার জন্যেই নিরেপেক্ষ ভাবে সত্যের সন্ধান আরো জরুরী। আমাদের ইতিহাস বই সব সময় লিখেছে বৃটিশরা ছিল অত্যাচারী। তা ছিল। এটাত আমাদের বই গুলো লেখে না লেবার পার্টী বা বৃটিশদের বামপন্থীরা ১৯২০ থেকেই ভারতকে পুর্ন স্বাধীনতা দিতে চেয়েছে? বা পাকিস্থানের জনগনের একটা বড় অংশই চাইছিল শেখ সাহেবকে প্রধানমন্ত্রী করতে যাতে দুই পাকিস্থান এক থাকে-চাইনি শুধু কিছু পাঞ্জাবী ফ্যামিলি। এগুলো না জানলে ত একটা জাতিগত বিদ্বেশ চলে আসে যে সব বৃটিশ খারাপ বা সব পাকিস্থানী খারাপ। সেটা ভাঙার দ্বায়িত্বও আমাদের নেওয়া উচিত।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 9:33 am
ভারতের উপকারের কথা আমরা ভুলিনি। তার অর্থ কি এই একজনের যা মনে আসলো অবজ্ঞাভরে তাই বলে দিল কিম্বা কথায় কথায় খোচা মারলো, আর সেটার প্রতিবাদ করাটা কি খুব দোষের কিছু? আর কেউ যদি ৩৭ বছর আগের অতীতের কথা স্বার্থের কাছে জলাঞ্জলি দিয়ে ভুলে যেতে চায় তাই বলে কি সবাইকে ভুলে যেতে হবে? ভারতীয়দের সাথে বন্ধুত্বে আপত্তি নেই, তবে বন্ধুস্তালি সমমনাদের সাথে হয়, দাম্ভিক দাদাগিরি মানসিকতা সম্পন্ন লোকদের সাথে হয় প্রভু ভৃত্যের সম্পর্ক বন্ধুত্ব নয়।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 10:19 am
আপনি একটা কথা বোঝার চেষ্টা করুন।
ইতিহাস কজন ঠিক ঠাক পড়ে? ভারতের স্কুল সিলেবাসে ১৯৪৭ এর পর ইতিহাস পড়ানো হয় না। সুতরাং শিক্ষিত লোকেরাও দু চারটি প্রবন্ধ পরে জানা বিদ্যে-একটু টিভি থেকে জানা বিদ্যে দিয়েই কাজ চালায়। তারা যদি বলে ভারত যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে-আপনি উত্তর দিন ভারত যুদ্ধ করেছে বলে আপনার জানা নেই-তাই একটি যুদ্ধের নাম ও যদি সে বলে। দেখবেন সে ঘাবরে যাবে-কারন সেও কিছুই জানে না-আদৌ যুদ্ধ হয়েছিল না হয় নি!
আর যদি ভারতীয়দের কথায় খোঁটা লাগে এরশাদের শাসনকালে বাংলাদেশ টিভিতে যা মুক্তিযুদ্ধ দেখানো হত-সেটা বুঝি খুব গর্বের ইতিহাস? সেখানে জিয়াউর রহমান, শেখ মুজিবর কেও নাই! শুধু আছে এরশাদ যে কিনা ছিল পাকিস্থানে। এরপরেও এখন ও ১০% ( বা ৭ হবে) বাংলাদেশী তার সমর্থক! তার থেকে বেশী বিকৃতি ত ভারত বা পাকিস্থান ও করে নি! ভাবা যায় বাংলাদেশ টিভিতে ১৬ ই ডিসেম্বর প্রোগ্রাম হচ্ছে ( রাজশাহী কেন্দ্র আমাদের বাড়ির কাছে হওয়াই আমরা বিটিভি পুরো দেখতে পেতাম) মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে-সেখানে আউয়ামী লীগের নাম, শেখ সাহেবের নাম নাই। জিয়াউর রহমানের নাম নাই। ভারতের সেনা বাহিনীও আসে নি। এরশাদের আমলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের যা বিকৃতি করেছে-তা ভারত পাকিস্থানের পক্ষে করাও অসম্ভব। তাহলেই দেখুন-এই যে দৃষ্টিভংগী এটা নিয়ে মানুষ জন্মায় না-মিডীয়া তাকে খাওয়ায়। এই মুক্তমোনা না থাকলে আমি ই কি ছাই নভেম্বর হত্যাকান্ড বা বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড নিয়ে কিছু জানতাম। ইন্টার নেট দুনিয়াটাকে আপ সাইড ডাউন করে দিচ্ছে। এখন আবেগ না দেখিয়ে সত্যটা তথ্য দিয়ে বলে যেতে হবে।
তবে হ্যাঁ মিলিটারী ইতিহাসটা আমি জ়ানতাম। আমার বাড়ির পাশেই এক রিটায়ারড কর্নেল ছিলেন। তিনি ঢাকায় প্যারা ড্রপিং এ অংশ নিয়েছেন। ওর কাছ থেকে আমি অনেক গল্প শুনে নিশ্চিত হয় যুদ্ধ বিশেষ কিছু হয় নি। পাকিস্থানীরা অনেক সেক্টরেই অপেক্ষা করে থাকত কখন আত্মসমর্পন করবে-নইলে মুক্তি যোদ্ধাদের হাতে যেকোন মুহুর্তে সে প্রাণ হারাতে পারে। এরকম এক পাকিস্থানি সেনার গল্প বলেছিলেন তিনি। এক স্কুলে গা ঢাকা দিয়ে ছিল তারা। প্রথমে গুলিগোলা চলে। পরে গুলির শব্দে ওরা বোঝে এটা ভারতীয় মিলিটারী আম্বুশ। তখন হাত বার করে বেড়িয়ে এসে-প্রথমেই তাদের নেতা বলে ভারতীয়দের সাথে কোন মুক্তিযোদ্ধা আছে কি না? কারন জিজ্ঞেস করলে ওরা জানায়, যদি থাকে তাহলে তারা আত্মসমর্পন করবে না। কারন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মেরে ফেলবে। তখন তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়-মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সে পড়বে না।
আবার এমন ঘটনাও শুনেছি-আড়াই দিন ধরে পাকি সেনারা যুদ্ধ করেছে-কেও আত্মসমর্পন করে নি। নিহত হয়েছে।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 10:59 am
ইতিহাস জানার উদ্ধেশ্য হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, ইতিহাসে ডুবে থাকা না। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো তাই করেছে। আমেরিকার সাথে ইংলেন্ডের, জাপানের সম্পর্ক, এমনকি মু্সলমানদের উপর এত অবিচারের পরও গুটি কয়েক মুসলিম প্রধান দেশ (ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান) ছাড়া বাকি সব মুসলিম প্রধান দেশই আমেরিকার সাথে সুসপমর্ক বজায়রেখে চলছে। জাপানে এটম বোমা ফেলার পরও জাপানিরা কিন্তু বিদ্বেস নিয়ে বসে থেকে নাই। আমি ইতিহাস ভুলে যেতে বলি নাই। আমি অহেতুক বিদ্বেস পুশে রাখার কোন মানে খুজে পাই না।
আমরা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ গুলোর একটা। এই মুহুর্তে জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের দিকেই আমাদের মনযোগ দেয়া উচিৎ বলে মনে করি আমি। ইতিহাস নিয়ে পড়ে থাকার সময় এটা না। জাতি হিসাবে আমরা অনেক বেশী আবেগ প্রবন। আর ইতিহাসে ডুবে থাকা আমাদের রক্তে মিশে আছে। আমরা বংগবন্ধুর আদর্শের কথা মনে রেখে শেখ হাছিনাকে ভোট দেই, জিয়াউর রহমানের সততার ইতিহাস মনে রেখে খালেদা জিয়াকে ভোট দেই। হলিউডের লোকজন যখন সাইন্সফিকশন মুভি বানায়, ২০০ বছর পর কি হবে নিয়ে ভাবে, আমারা তখন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ নিয়ে পরে থাকি। ইতিহাসে ডুবে থাকার সাথে আমাদের পিছিয়ে থাকার কোন সম্পর্কের কোন প্রমান আমার কাছে নাই, তবে আমার মনে হয় ইতিহাসে ডুবে থেকে কোন লাভও হয় নাই।
আর প্রতিবাদ। প্রতিবাদ করার মধ্যে দোষের কিছু নাই। কেউ খোচা মারার পর আমিও যদি খোচা মারি, তাহলে আমাদের মধ্যে তফাতটা থাকলো কোথায়। আমি কেন তাদের চেয়ে ভাল হব না? বন্ধুত্যের মধ্যে ক্ষমা, উদারতা এই গুলো কাজ করবে না কেন? তাছাড়া ব্যক্তি হিসাবে আমার মত তারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, তার মতামত যদি ভাল না লাগে, এড়িয়ে যাব, তর্কের খাতিরে তর্ক করার মানে কি?
ভালো থাকবেন সবাই।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 11:44 am
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে “মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকাই বড় ছিল।” আর এটা বলছেন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিলিটারির ইস্টার্ণ কমান্ডারের চিফ জেনারেল জে এফ আর জেকব। বিপ্লব এবং অন্য সবাইকে অনুরোধ করছি, এ বিষয়ে জেনাঃ জেকবের অবিস্মরনীয় সাক্ষাতকার টি একটু পড়ে দেখতে।
লিঙ্কঃ http://www.prothom-alo.com/print.php?t=sp&nid=NTIw&sid=NzY=
জানুয়ারি 10th, 2009 at 12:22 pm
বিপ্লব,
গান্ধী যে জন্মনিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করতেন না, সেটা একটু বলে দাও সবাইকে।
ব্রিটিশ প্রভুর পক্ষে গান্ধী যুদ্ধে সামিল হতে ভারড়তীয় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছেন সে প্রমাণটি এ মুহুর্তে হাতের কাছে নেই বলে দিতে পারলাম না। আপাতত এটি পড়ঃ
From “Gandhi on War and Peace” by Rashmi-Sudha Puri
===============================
Gandhi supported the British war effort in several wars, including the Boer War, the Zulu Rebellion (though he later came to believe the British were wrong in that struggle), and World War I. His role was mainly to organize and participate in ambulance corps, but his personal participation earned him the British Empire’s War Medal. Even after he proclaimed “war is wrong, is an unmitigated evil,” he defended his participation based on his perceived “duty as a citizen of the British Empire.” He acknowledged that he was “guilty of the crime of war,” and eventually repudiated the Empire, but didn’t repudiate his actions.
জানুয়ারি 10th, 2009 at 12:25 pm
বিপ্লব নিজে কি গান্ধীর “অহিংসবাদে” বিশ্বাস করে?
জানুয়ারি 10th, 2009 at 12:41 pm
অনেক ইন্টারেস্টিং আলোচনা। অভিজিতদা অবশ্যই ধণ্যবাদ পাবার যোগ্য এই সময়োপযোগী চমতকার আর্টিকেলটির জন্য। মুক্তমনার বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধী বলে একটা বড় অভি্যোগ আছে, সেটা কিছুটা হলেও আশা করি দূর হবে।
ইরতিশাদ সাহেব একটা চমতকার কথা বলেছেন; “মধ্যপ্রাচ্যের এই সমস্যাকে যতদিন মুসলিম আর ইহুদীদের মধ্যে দ্বন্দ বলে চালানো যাবে ততদিন সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে এই সমস্যাকে টিকিয়ে রাখতে কোন অসুবিধা হবে না।”। দুঃখজনক ভাবে সারা বিশ্বের মোসলমানরা এটা বুঝতে চান না, তারা বরং উলটা পথে হাটতে চান। এর ফলে প্যালেষ্টাইনীদের পক্ষে তেমন ভাবে বিশ্ব জনমত দাড়াচ্ছে না। প্যালেষ্টাইনীদের সবচেয়ে দুর্বল দিক ওটাই, আন্তর্জাতিক অংগনে তারা বন্ধুহীন। ইসলামী বিশ্ব ছাড়া পাশ্চাত্য বিশ্বে তাদের হয়ে বলার তেমন কেউ নেই। তাই তাদের মুক্তিযুদ্ধ কবে সফল হবে তা কেউই জানে না। সবার বুঝতে হবে যে ইসরাইল একটি বাস্তবতা, এর অস্তীত্ব মেনে নিতে হবে, আল্টপকা বোমা মেরে বা দু একটা রকেট ছূড়ে তার তেমন কিছুই করা যাবে না, তাতে উলটা ক্ষতিই বেশী হবে। ইসরাইলের ও বুঝতে হবে সন্ত্রাসী দমনের নামে গণহত্যা তাদের জন্য ও ভবিষ্যতে ভাল কিছু আনবে না। প্যালেষ্টাইনীদের পক্ষে তাদের পরাস্ত করা সম্ভব না হলেও তাদের আজীবন অস্বস্থিতে বাস করতে হবে, আর দশটা দেশের মত তারা স্বাভাবিক জীবন কোনদিন ই পাবে না। আমেরিকা যতদিন না নিরপেক্ষ ভূমিকা না নেয় এর সমাধান কোনদিন ই হবে না।
আমি জানি না সবার ওবামাকে নিয়ে কি প্রত্যাশা ছিল। আমি নিজেও তাকে সাপোর্ট করেছি, কিন্তু বেশ ভাল জানি যে মধ্যপ্রাচ্যেই ব্যাপারে আমেরিকার নীতি আশু বদল হবার কোন সম্ভাবনা নেই। ওবামা কালো বা বেগূনী যেই হন, তিনি প্রথমত আমেরিকান, তিনি কাল বলে আমেরিকা তাদের দখলবাজী বিশ্ব মোড়লী রাতারাতি থামিয়ে দিবে এই আশা করাটা হবে হাস্যকর। ওবামার ভক্ত হওয়া ভাল, তবে অনেকেই মনে হয় অন্ধ ভক্ত আছেন, তাদের জন্য সামনে অনেকই চমক থাকবে।
৭১ বিষয়ে আমি যতটুকু জানি তাতে মনে হয় আমাদের, মানে বাংলাদেশীদের জয় ভারতের সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো ছাড়াই হত, তবে কতদিনে, সেটা কেউই বলতে পারে না। বিপ্লব ঠিক ই বলেছেন যে ডিসেম্বর এর আগে মুক্তি বাহিনীর দখলে খুব বেশী এলাকা আসেনি। কারন তাদের পদ্ধুতিই ছিল “হিট এন্ড রান”। তাদের সব চেয়ে বড় অর্জন ছিল পাক বাহিনীর মনোবল সম্পুর্নভাবে ভেঙ্গে দেওয়া। তাতে পরে ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে অভিযান চালানো অনেক সহজ হয়েছিল। আমি ভারতীয় বাহিনীর সরাসরি অংস গ্রহনের পক্ষেই কথা বলব। এতে যুদ্ধ অনেক আগে শেষ হয়েছে। কৃতিত্বের ভাগ ভারতীয়রা কিছুটা নিতে চাইলে নিক না। আসল লাভ তো আমাদেরই হয়েছে।
ফরিদ ভাই এর “Blitzkrieg পদ্ধতিতে আক্রমণটা যতখানি না পাকিস্তান বাহিনীর শক্তির কারণে হয়েছে, তার চেয়ে বেশি মনে হয় হয়েছে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার তাগিদ থেকে” কথাটাও পুরোপুরি সত্য। পাকিস্তান কোন্দিন নিয়মিত যুদ্ধে ভারতের সাথে পারার অবাস্তব চিন্তা করেনি। তাই তাদের মেইন ষ্ট্র্যাটেজী ছিল কিভাবে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করে আমেরিকার সাহায্যে জাতিসংঘ থেকে সিজ ফায়ার করানো যায়। তাই ভারতের লক্ষ্য ছিল সিজ ফায়ার ঘোষনার আগেই যেভাবেই হোক ঢাকার পতন ঘটানো। অনেকটা রেস এগেইন্সট টাইম।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন ভারতীয়কে খোটা দিতে বা কৃতিত্ব পুরা তাদের এমন অদভুত দাবী করতে শুনিনি। আমার সময়ই মনে হয়েছে ভারতীয়রা ৭১ নিয়ে আমাদের বা পাকিস্তানীদের মত অত উতসাহীও না। বেশীরভাগ ই খুব বেশী জানেও না। আমার গূজরাটি কলিগ কে খবর দিচ্ছিলাম জানো, শ্যাম মানেকশ মারা গেছেন। সে আমাকে উলটা জিজ্ঞাসা করে বসল সে আবার কে? জেনারেল অরোরার কথাও সে তেমন জানে না। ভাসা ভাসা শুনেছে। বাঙ্গালোরের আরেক ছেলে তো একবার জিজ্ঞাসা করে বসেছিল যে ৭১ পর্যন্ত তো তোমরা ভারতের অংশ ছিলে, তাই না? কিছু লোক অহংকারী বক্তব্য দিলেও তা মনে হয় না ওভারঅল ভারতীয় সেন্টিমেন্ট।
আর, আমরা যদি ডিসেম্বর এর আগে পুরো জিতেই যেতাম তাতেও কি ভারতীয় কৃতিত্ব এড়ানো যেত? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং, অস্ত্রপাতি পাচ্ছিল কোথা থেকে? সেগুলি ছাড়া শুধু মনোবল দিয়ে কতটুকু কাজ হত?
এটাও কি সত্য না যে আমরা ভারতীয় বাহিনীর প্রতি যে কারনেই হোক ন্যায্য সম্মান পরে দেখাতে পারিনি। অন্তত সরকারী পর্যায়ে তো নয়ই।সেই দুঃখ তো তাদের মনেও আসতে পারে। ভারতের নাম বললেই আমাদের ফারাক্কার কথাই প্রথম মনে আসে। এমনকি অনেক মুক্তি্যোদ্ধাকেও বলতে শুনা যায় যে ভারত নিজ স্বার্থেই আমাদের সাহায্য করেছিল। কথাটা সত্য হলেও সাহায্য তো করেছিল এটা ভুললে চলবে না। ভারত রাশিয়ার সাহায্য ছাড়া আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ইমেজ হত আজকের হামাসের মত, আর আমরা হতাম আরেক প্যালেষ্টাইন।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 1:30 pm
মামুন ভাই, আমাদের মরার দেশের রোগা পটকা বঞ্চিত মানুষগুলোর এ যাবত কালের গর্ব, অহংকার অর্জন যাই বলেন না কেন সেতো অই একটাই মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা। আর সেখানে কেউ যখন আঘাত করে তখন মাথাটা ঠিক থাকেনা। আমি ভারত বিদ্বেষী নই, অতীতমুখিও নই, আর বিপ্লব পালেরও একজন ভক্ত। কিন্তু প্রশ্নটা অস্তিত্বের, আমার প্রিয় দেশ বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে, হয়তো তাই এতো আবেগ। আর সলিমুদ্দি কলিমুদ্দি এই কথাগুলো বললে হয়তো গায়েই লাগতোনা, কিন্তু এই বিষয়টা এসেছে আমাদেরই একজন জ্ঞানী, গুনি, বিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে, এই জন্যে খারাপ লাগাটা হয়তো বেশী সঙ্গত কারনেই প্রতিক্রিয়াটাও। আশা করি ব্যাপারটা এখন পরিষ্কার হয়েছে। সব্বাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
জানুয়ারি 10th, 2009 at 5:32 pm
জাহেদ ভাই,
তুমি কি ঘুমাইতেছ?
এটা নিয়ে অভিজিত আর আমার মধ্যে আলোচণা হল ত! এটা ১৯০৬ সালের ঘটনা-যখন জুলুর যুদ্ধে গান্ধী বৃটিশদের হয়ে বন্দুক হাতে লড়েছেন। সেই হিংসা দেখেই তিনি অহিংস হন। অভিজিত আর আমার থ্রেডটা ফলো কর।ওটা ছিল গান্ধীর কলিঙ্গ যুদ্ধ।
আর গান্ধী ধার্মিক এবং বিজ্ঞান বিরোধি ছিলেন-সেটা ত আমি লিখেছি।জন্ম নিয়ন্ত্রন অনেক দুরের ব্যাপার, বৃহৎ শিল্প স্থাপন ও উনি সমর্থন করতেন না! এগুলো আমি অবশ্যই সমর্থন করি না-এগুলো গান্ধীর পাগলামি।
অহিংসার ব্যাপারে ১০০% গান্ধী সমর্থক ও আমি নই-তবে যেকোন প্রতিবাদি আন্দোলনে এবং কাজিয়াতে গান্ধীকেই প্রথম সুযোগ দেওয়া উচিত বলে আমার অভিজ্ঞতা। যদি বিয়া এখনো না করে থাক-ভবিষ্যতের বৈবাহিক জীবনের জন্যে গান্ধীবাদ একটু অভ্যেস কর-বৌয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি আন্দোলনে গান্ধীর চেয়ে শক্তিশালি অস্ত্র পাবে না।
এটা কাকতলীয়-কিন্তু গান্ধী তার অহিংসার প্রয়োগ-নিজের বৈবাহিক জীবন থেকেই শুরু করেন। উনার বক্তব্য ছিল বৃটিশদের যে দমন এং ক্ষমতা নীতির জন্যে আমি দুষছি-সেত আমি বৌ এর ওপর ও করি! তাই নিজের মধ্যে থেকে সেই দমন করার লোভ এবং নারীর ওপর পুরুষের ক্ষমতার লোভ ঝেড়ে ফেলে তবেই বৃটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব!