http://apdr.org.in/index.html) নামে একটি সংগঠনের ভূমিকা কিছুটা মিডিয়া লাইমলাইট টানছে। অতীতে সিপিএমের অভিযোগের সূত্র ধরে এবার তৃণমূলীরাও বলছে এটি মাওবাদিদের মুখোশ-একটি মাওবাদি সহানুভূতিশীল শাখা সংগঠন।
অতীতে এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল সিপিএম। তখন তৃণমূল, এর উল্টোগীত গেয়েছিল। এখন দায়ে পড়ে এপিডিয়ারের বিরোধিতা করছে। এমন ভাব যেন তৃণমূল এতদিন জানত না, এ পি ডি আর মাওবাদি বা মাওবাদি সহানুভূতিশীলদের মুখোশ মাত্র। সিপিএমের লাঠি আর বন্দুকের বিরুদ্ধে তখন তৃণমূলের দরকার ছিল সশস্ত্র সাপোর্ট-সেটা ভারতে একমাত্র মাওরাই দিতে পারত দিদিকে। দিয়েও ছে। এখন যখন আর প্রয়োজন নেই, সংঘাত সামনা সামনি।
এপিডিআরের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করলে, এটা খুবই পরিস্কার তারা মাওবাদিদের শাখা সংগঠন এবং পশ্চিম বঙ্গে মাওবাদিদের রক্ষা করা তাদের প্রথম কাজ। গণতান্ত্রিক দাবিটা মুখোশ-কারন মাওবাদের মতন বা কমিনিউমের মতন বা লেনিন বাদিদের মতন চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক বা গণতন্ত্র বিরোধি মতবাদের বিরুদ্ধে তারা কোন দিন একটাও বিবৃতি দেয় নি। মাওদের বিরুদ্ধে তাদের কোন বিবৃতি নেই-কোন কোন নক্সাল আমাকে বলেছিল, এটা মিডিয়ার চাল। এপিডিয়া মাওদের বিরুদ্ধেও "নাকি" বিবৃতি দিয়েছে-মিডিয়া সেসব নাকি প্রচার করে না!!!
এটা হচ্ছে এপিডিয়ার সাইটের প্রেস রিলিজ-এখানে মাওদের বিরুদ্ধে কোন বিবৃতি পাবেন না
এর পরেও আছে। গত ছমাস তৃণমূলীদের অত্যাচারে অনেক সিপিএম কর্মী মারা গেছেন-অনেকেই ঘর ছাড়া। এপি ডিয়ার সেসব নিয়ে চিন্তিত না। তাদের চিন্তা কি করে মাওবাদিদের বাঁচানো যায় যৌথবাহিনীদের হাত থেকে। এখনত জলের মতন পরিস্কার সিপিএমের পতনের পর গ্রামবাসীরা আর মাওবাদিদের চাইছে না-তারাই ইনফর্মাএরের কাজ করে মাওদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আগে সিপিএমের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে তারা মাওদের আশ্রয় দিত-এখন আর দিচ্ছে না। ঠিক এই জন্যেই ধরা পরে মারা গেলেন কিশানজী।
এপিডিয়ার যুদ্ধ "বিরতি" নিয়ে বেশী ব্যস্ত ছিল। কিসের যুদ্ধ? মাওবাদিরা কি সংবিধানিক শক্তি যে তাদের সাথে টেবিলে বসতে হবে? তারাত ঘোষিত গণতন্ত্র বিরোধি শক্তি-তাদেরকে কি করে রক্ষা করার কথা ভাবতে পারে সুজাত ভদ্রর দলবল?
সরকারের শক্তি কমিয়ে জনগনের হাতে শক্তি তুলে দিতে গেলে শুধু গণতন্ত্রের মাধ্যমে হবে না। ভোটের মাধ্যমেও হবে না। উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর জনগনের অধিকার আনতে হবে। তার জন্যে বন্দুকের নলের ডগায় বিপ্লবের দরকার নেই-কোয়াপরেটিভ আন্দোলনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কমিউনিটি লিডারশীপ আনা যেতে পারে। রাষ্ট্রের উৎপীড়ন কমানোর একটাই রাস্তা-সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের হাত থেকে উৎপাদন ব্যবস্থার কতৃত্ব কেড়ে, তা আস্তে আস্তে কমিউনিটিকে দেওয়া। কোয়াপরেটভ কে দেওয়া।
রাষ্ট্রের হাত থেকে ক্ষমতা কমানোর জন্যে কমিনিউস্ট গেরিলাদের সাহায্য করার চেয়ে বড় মূর্খামি আর কি হতে পারে? কারন কমিনিউস্টরাই সব থেকে বড় অত্যাচারি রাষ্ট্রে দমনমূলক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে। সুতরাং এপিডিয়ারের কাজকর্ম হচ্ছে মশা মারতে বাঘ ডেকে আনা। সুতরাং সবদিক দিয়েই প্রমাণিত এপিডি আর নামেই গণতান্ত্রিক রক্ষা সমিতি-এটি আসলে মাওবাদিদের আখড়া। এবং সেই ভাবেই এদের দেখা উচিত।
No comments:
Post a Comment