Thursday, December 4, 2014

কলম পত্রিকার রহস্য

কলম পত্রিকার রহস্য আস্তে আস্তে পরিস্কার হচ্ছে। একটা ভাল দিক হচ্ছে, এ্তে মুকুল এবং মমতার অপরাধ সামনে আসছে, ইমরান 

যে নেহাতই বোরে সেটা পরিস্কার । পশ্চিম বঙ্গে ভোটে জেতার জন্য সংখ্যালঘু ভোট দরকার ছিল মমতার। সেটা করার প্রকৃষ্ট

 উপায় মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটা সংবাদপত্র খোলা। এতেব দেবে টাকা গৌরী সেন। আসলে মমতার যে লেভেলে বুদ্ধি, উনি

 একবারের জন্যও বোধ হয় ভাবেন নি সুদীপ্ত সেনের ব্যবসাটা বৈধ না । ফলে গৌরীসেনের টাকায় ফেঁসে যাবেন এটা ভাবেন নি।

 বরং আজকে আনন্দবাজারের রিপোর্টের পর যেটা পরিস্কার, ইমরান নেহাতই একজন মামুলি মুসলিম মৌলবাদি। মুসলমান মানসে 

ছাপ ফেলারা জন্য একটা সাপ্তাহিক চালাত যেখানে কাওকে মাইনেও দিতে পারত না । এটা সম্ভবত মুকুলের মাথায় আসে ইমরানের

 জোষ আর সুদীপ্ত সেনের টাকাকে কাজে লাগিয়ে, মুসলিম ভোট টানা সম্ভব। মুকুলের মাস্টার স্ট্রোক। মুসলিম ভোট সত্যই তৃণমূলে

 এসেছে তবে ঐ সতেরো লাখ লোকের পকেট ফাঁকা করে। তবে কলম পত্রিকা চালাতে যদি ১৫-১৬ কোটী টাকা দিয়ে থাকে সুদীপ্ত 

সেন খুব বেশী টাকা জামাতিদের কাছে যায় নি। কারন প্রিন্টের খরচ অনেক বেশী। ব্যপার স্যাপার যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে মমতাকে 

সিবি আই জেলে পাঠাতে না পারলে, সিবিআই তুলে দেওয়া উচিত। তদন্তের নামে গত এক বছরে প্রমান লোপাট করাটাও ক্রিমিনাল

 অফেন্স ভারতীয় দন্ডবিধিতে। প্রমান লোপাটের সাথে যুক্ত পুলিশ অফিসাররাও শাস্তি পাক। বেসিক্যালি মুকুলের ক্রিমিন্যাল 

অতীতত কারুর অজানা না । আমার ধারনা মুকুলের সংস্পর্ষে এসেই দিদি খুব সম্ভবত কিছু না বুঝেই এক বৃহত্তর অপরাধের সাথে 

অজান্তে জড়িয়েছেন। কিন্ত অপরাধ ত অপরাধই । আম্মার মতন দিদিকেও জেলে যেতেই হবে। ক্ষমতা দখলের লোভে, একদা এক সৎ

 রাজনীতিবিদ, ভারতের ইতিহাসের এক কুখ্যাত অপরাধে জড়িয়ে গেলেন।

Monday, March 11, 2013

পশ্চিম বঙ্গে বিনিয়োগ? পেট খারাপ না মাথা খারাপ?

শিল্পচিত্র
বছররূপায়িত প্রকল্পলগ্নি*
২০০৮২১৭৪৪৩৪.৫০
২০০৯২৬২৮৪৯৩.৪৩
২০১০৩২২১৫০৫২.২৩
২০১১২৮২৪৬৫.৪৬
২০১২১২৩১২.২৪
*কোটি টাকায় • সূত্র: রাজ্যের আর্থিক সমীক্ষা ২০১২-’১৩

 একে বলে ঝুলি থেকে বেড়ল বেড়াল। যা জানতাম, তা আজ সংখ্যাতাত্বিক রূপ পেল।

    এক ব্যাবসায়ীর কথা বলি। তৃণমূলি। এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ।  বাঁকুড়াতে একটি নার্সিংহোম করবেন বলে তিন একর জমি কিনেছিলেন।  সিপিএম আমলেই।  তার ধারনা ছিল, ওখানে নার্সিং হোম করলে, সিপিএম টিকতে দেবে না। তৃণমূল এল। ভদ্রলোকটি ড্যাং ড্যাং করে, তার মন্ত্রী বন্ধুটিকে ডেকে শিল্যান্যাস করলেন।  ভাল কথা।   ঈঁট পড়তেই ঝামেলা শুরু। তৃণমুলের ৫ টি ফ্যাকশন এসে হাজির। টাকা দাও। সব মিলিয়ে ২২ লাখ টাকা চেয়েবসল পাঁচ পার্টি।

   ভদ্রলোক বল্লেন ইয়ার্কি? আমি শালা তৃণমূলী, আর আমার কাছেই  তোলা আদায়?  চল্লেন মন্ত্রী বন্ধুর কাছে।  তিন দিন বাদে তিনি দেখা দিলেন।  এক সপ্তাহ বাদে তিনি সংশ্লিষ্ট সব নেতাদের ডেকে পাঠালেন। শেষ মেশ ৭ লাখে রফা। তৃণমূলী ভদ্রলোক হতবাক। কোথায় সিপিএম আমলে ১ লাখ টাকায় একদম ব্লক থেকে জেলা স্তর ম্যানেজ হত, আর এখানে নিজের পার্টিই  বলে সাত লাখ?  ভদ্রলোক বুঝলেন অবস্থা আয়ত্তের বাইরে। বিধি বাম। সিপিএম ফিরে না আসা পর্যন্ত আবার অপেক্ষা করতে হবে। কারন সাত লাখ খরচ করেও যে কিছু হবে না, সেটা তখন তিনি বিলক্ষন বুঝেছেন। বুঝেছেন মন্ত্রীর ও কোন কন্ট্রোল নেই গ্রাসরুট লেভেলে।  কার ভরসায় বিনিয়োগ করবেন?

  এটা পশ্চিম বঙ্গের সার্বিক চিত্র।  কোন বিনিয়োগকারী  ভরসা পাচ্ছেন না। কারন কে তৃণমূল সেটাই কেও জানে না। কালকে যে কেও দরজাতে উপস্থিত হয়ে বলবে আমি ওমুকের লোক, ব্যাবসা করছ, টাকা দাও। আর কিছু হলে ব্যাবসায়ীরা যাবেই বা কার কাছে? মন্ত্রীদের নিজেদের চেয়ারএর ঠিক নেই। আজ আছে, কাল নেই।  তার ফল আজ হচ্ছে এই। ২০১০ সালের ১৫,০০০ কোটী টাকার শিল্প বিনিয়োগ-২০১২ তে ৩১২ তে এসে ঠেকেছে। ২০১৩ তে ওটা শুন্য হলেও অবাক হব না।

 এর থেকে মমতার উদ্ধার পাওয়ার একটাই উপায়। মোদি এবং হুগোশাভেজ থেকে শিক্ষা নেওয়া। এরা ডান এবং বাম হলেও এদের সাফল্যের পেছনে একটাই স্ট্রাটেজি ছিল।  এরা মন্ত্রীসভাকে একদম ডাইলুট করে, পেশাদার দিয়ে নিজেদের কোটেরি গড়তেন, যারা রাজনীতিবিদ না। কাজের জন্য শাভেজ এবং মোদি উভয় নেতাই এই পেশাদারদের দিয়ে করান বা করাতেন। শাভেজের দলে ছিল ৭ জন ডাক্তার এবং ১৩ জন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার। এরা পার্টিকে কাজে লাগান জনসংযোগ হিসাবে। এর বেশি পার্টিকে একদম এডমিনিস্ট্রেশনে ঢোকান নি এরা।
 
 মমতা যত দ্রুত, তার পার্টির লোকেদেরকে এডমিনিস্ট্রেশনের  দ্বায়িত্ব থেকে রিলিভ দিয়ে একটি পেশাদার কর্মঠ দল গঠন করতে পারবেন, তত সুবিধা পাবেন। পার্টিকে, পার্টির স্থানে না ফেরালে, এই সম্ভবত তার শেষ মুখ্যমন্ত্রিত্ব।  তাকে খুব দ্রুত অভিজ্ঞ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সফল আই এ এস, শিল্পপতিদের নিয়ে একটি দল গড়ে, তাদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে, যাতে তারা পার্টির লোকাল মস্তানদের একদম নিয়ন্ত্রনে এনে, একটি সুষ্ঠ প্রশাসন গড়তে পারেন। মমতা এমনটা করেন নি তা না-কিন্ত ক্ষমতা দেন নি তাদের কে। ফলে ববি হাকিম, মদন মিত্র, মুকুল রায়-এরা জাঁকিয়ে বসেছে। এরা কি-তা কি উনি জানেন না?

  

Sunday, January 8, 2012

Should we, or should we not beat the teachers ?

9th Jan, 2011

Of late, everybody in West Bengal seems to focus their concern on beating of the college teachers at the hand of their students which is happening on regular basis across both the party lines.
All seem to agree this is a social malice at its best without asking the most fundamental question- what is triggering this?

Only students are at fault? Politics or politicians have no role in it?

What's about the teachers? Why their position in the society is next to nothing now?

As much as I understand the society of West Bengal both practically and theoretically , such trails of incidents are rather expected than exceptional.

Firstly, teachers lost their self-respect in the Bengali society. Reason is simple and multitude- during CPM era, they have turned themselves to be just another self-obsessed individual solely focused on their extra earning from tutorials, political alignment for better salary and placing their children into better Govt. position. They are oblivion to their social responsibility of raising future citizens. They are now manhandled by the students who represent the failure of the teachers more than the failures of the students.

Second issue is coming from politics and hopeless job situation in West Bengal. Unemployment did greatest damage to West Bengal during last 34 years of CPM rule. In the other states of India, students are more obsessed with professional education for making a better living-with a dream to integrate themselves into the globalization. I have no idea what purpose is served by offering Pass courses/Hons courses in humanities in almost all the colleges when such education does not have any relevance at all for a living! In USA, such courses are still offered but with limited numbers as supporting course as opposed to wasting so much of educational effort on a whole generation. Instead subjects like nursing, accounting, IT, ITES, marketing communication must be taught in the colleges so that a student can find hope with the education system.

Basically, West Bengal is breeding a fleet of hopeless students pursuing useless academic degrees. Their only hope to make a living is by gaining political power and prominence so that in future they can net a Govt. job or contract. Student politics is a match practice for them. In the politics of West Bengal there is no scope for non-violent visionary leaders. You should know how to beat the opponents or else, you are nobody in either team. Violence is revered by the peers.

You must be able to beat your teacher, slap your doctor and burn a bus in order for being "selected" as leader in any political party of West Bengal.

Situation was a bit controlled during CPM time because both the teachers and students were disciplined by the local party as they were part and parcel of the same system. So balance was maintained. With Mamata in power and absolute demolition of local control of the party, all hell breaks loose now.

Students need hope-very basic hope of making a decent living out of the education system or such malice will continue and grow.

Why should I care for my teachers if he is teaching useless subject which is admitted "useless" by both the teachers and the students? I will rather beat him if that brings respect for my political prominence that would help my political career. That is exactly happening in West Bengal.

Thursday, December 22, 2011

শিল্প স্থাপনে মমতা সম্পূর্ন ব্য র্থ

মমতা এবং পার্থবাবু দুজনেই শিল্প স্থাপনে আন্তরিক। কিন্ত বাস্তব নীট ফল হচ্ছে পশ্চিম বঙ্গের শিল্পায়ন গত ছমাসে সম্পূর্ন স্থগিত। জয় বালাজী থেকে ভূষন স্টীল- জমির অভাবে সব বন্ধ। উপরন্তু পেনশন থেকে রিটেল এফ ডি আই-সর্বত্র তৃণমূলের বাম মনোভাবে, ভারতের শিল্পপতিরাও মমতাকে সিপিএমের ক্লোন হিসাবেই দেখছেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গে আশু বিনিয়োগের কোন সুযোগ তৈরী হবে বলে মনে হচ্ছে না।

১৯৭৭-৮৪ সালের ইতিহাস ফিরে আসছে। জ্যোতিবাবু বা তৎকালীন সিপিএম নেতৃত্ব মোটেও চান নি, শিল্প পশ্চিম বঙ্গ ছেড়ে চলে যাক। শিল্পায়নের জন্যে মমতার মতন জ্যোতিবাবুও আন্তরিক ছিলেন। কিন্ত নিজেদের বামপন্থী অবস্থানে অনঢ় থাকায় , পশ্চিম বঙ্গ শিল্প শ্বশানে পরিণত হয়। মমতার সৌভাগ্য এই যে উনি শ্বশান থেকেই শুরু করবেন-পশ্চিম বঙ্গকে শ্বশান বানানোর দায়ভার উনাকে বইতে হবে না।

বাস্তবটা তাহলে আমরা কি শিখলাম? জনবিরোধি এবং বৃহৎশিল্পের পক্ষে অবস্থান না নিলে, রাজ্যের শিল্পোন্নতি সম্ভব না। বৃহৎ শিল্পের স্বার্থের সাথে জনগণের বিরোধ কেন বাধছে? এটা রাজনীতি না বাস্তব? এখানে উইন-উইন গেমপ্ল্যান বেড় হচ্ছে না কেন? মমতার জমি অধিগ্রহণ নীতি মেনে শিল্পের জন্যে জমি নেওয়া সম্ভব না সব শিল্পপতিরাই বলে দিয়েছে। ঠিক যেমন সম্ভব ছিল না সিটুর দাবির মেনে পশ্চিম বঙ্গে শিল্প চালানো। ফলে শিল্পের জন্যে ক্রমশ সিপিএম বাধ্য হয়েছে জন বিরোধি অবস্থান নিতে। অবশ্য তার আগে বেনফিশের মতন নিজে কিছু ব্যবসা করার চেষ্টা করে লালবাতি জ্বালিয়েছে।

সমাজতন্ত্রের ইতিহাস জানলে, এটা মোটেও অভিনব কোন নতুন অবস্থান না। ধণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে স্যোশালিস্ট রিফর্ম করে সমাজতান্ত্রিক অবস্থান মোটেও সম্ভব না-সেটা বহুদিন আগে বার্নস্টাইনের লেখার জবাব দিতে গিয়ে রোজা লুক্সেমবার্গ লিখেছিলেন। কারন এই ধরনের সংস্কার আসলে ধনতান্ত্রিক এবং শোষণের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে, শোষন কাঠামোকে দীর্ঘায়িত করে। যেটা ভারতের বামআন্দোলনের মধ্যেও আমরা দেখছি। এমন স্থিতিতে সমাধান তিনটি

(১) সম্পূর্ন লেনিনিস্ট বিপ্লব। উৎপাদনের জাতীয়করন। কিন্ত সেটি আসলে ধণতান্ত্রিক গণতন্ত্রের চেয়েও অনেক খারাপ একটি সিস্টেম বলে ইতিহাসের পরীক্ষিত সত্য। লেনিনিজমের পরীক্ষা পৃথিবীর সর্বত্র দুর্ভিক্ষ এবং গণখুন ছারা পৃথিবীকে ভাল কিছু দিতে পারে নি। এটা না মানলে, হয় আপনি নিরক্ষর, নয় বোকা -নইলে পাগল।

(২) ধণতান্ত্রিক কাঠামোকে বাড়তে দেওয়া-কোন বাধা না দেওয়া- এতে উৎপাদন এবং দক্ষতা বাড়বে। কিন্ত সমাজে অসাম্য ও বাড়বে। এই পর্যন্ত আমার আপত্তি ছিল না। খাইতে পেলেই হল। কিন্ত সমস্যা হচ্ছে ক্ষমতা কুক্ষিগত হবে কিছু হাতে গোনা বণিকদের হাতে। ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন খুব খারাপ জিনিস। গোটা কমিউনিজমটাই এইভাবে ডুবে গেছে। এই জন্যে ইহাও কাম্য না।

(৩) তৃতীয় সমাধান আমার মতে কোয়াপরেটিভ সিস্টেম অব প্রোডাকশনে লুকিয়ে আছে। যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত, সেখানে রাস্তায় ঝান্ডাবাজি সম্পূর্ন অর্থহীন। প্রকৃত জনআন্দোলন গড়তে গেলে, তা উৎপাদন ব্যবস্থায় কোয়াপরেটিভ বা সমবায়ের মাধ্যমেই করতে হবে।
এই নিয়ে আমি আগে অনেক লিখেছি
http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=15798

আরেক বার এটাই লিখি যে সমাজতন্ত্রের মূল ধারনা সমাজের জন্যে মানুষের আত্মত্যাগ। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন ১০টা মানুষ একসাথে একটা সংস্থা চালাতে পারবে। ১০ জন মানুষ কোন সরকারী সংস্থায় চাকরি করলে মোটেও অন্যদের জন্যে কোন অনুভূতি গড়ে ওঠে না। বরং সে আরো স্বার্থপর হয়। আবার ১০ জন মিলে রাস্তায় নেমে পার্টিবাজি করলেও কোন সমস্যার সমাধান হয় না। জনশক্তি তখনই কার্যকরী যখন তা ১০ জনে মিলে একসাথে একটা ব্যবসা বা ফার্ম খুলে উন্নততর উৎপাদনের পথ দেখাতে পারে।

Saturday, December 10, 2011

অপদার্থ তোদিরা না আমরা?



স্টিফেন কোর্টের আগুন থেকে রাজ্যবাসী বা সরকার যে কিছুই শিক্ষা নেয় নি সেটা আবার পরিস্কার হল।


বাস্তবটাকে স্বীকার করাতে কল্পনাপ্রেমিক বাঙালীর সমস্যা সর্বদা। বাস্তব এটাই কোলকাতার সব ব্যবসা মারোয়ারী ব্যবসায়ীদের হাতে যাদের " বিজনেস এথিকস" বলতে কিছু নেই-সমাজমুখী কোন চিন্তাই নেই।ঘুঁশ দিয়ে, সব সরকারী আইনকে হিমঘরে পাঠিয়েছে এরা। নইলে কি করে একাধিক সরকারী আইন ভাঙা হল আমেরীতে? আর তোদি, গোয়েঙ্কাদের ধরবে কে? এরেস্ট ত আই ওয়াশ। কালকেই শিল্প স্থাপনের জন্যে মমতাকে তোদির কাছে ছুটতে হবে।


সরকারের ঘুম ভাংবে? বাজে কথা। ইন্সপেকশন করলে কোলকাতার ৭০% বাড়ির মালিকদের লাইসেন্স বাতিল হবে। সে ক্ষমতা কার আছে? কারুর নেই। আর নেই বলেই কালকে আবার আরেকটা আগুনের ঘটনা হবে। হবেই। আমি স্টিফানকোর্টের আগুনের ঘটনার সময় এই কথাটাই লিখেছিলাম। যেখানে ১০০/১০০০ টাকা দিয়ে ইন্সস্পেক্টর ম্যানেজ করলে ১ লাখ টাকা লাভ, সেই পাটিগণিতের সুবিধা নেবে না কোন মারোয়ারী? সমাজের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাবসা করাটা ভারতীয় ব্যাবসায়ী ফামিলিগুলির মধ্যে নেই।


এর মধ্যে যদি ব্যবসার নাম চিকিৎসা আর শিক্ষা হয়-তাহলে, তার মধ্যে এই শ্রেনীর ব্যাবসায়ীরা ঢুকলে কি হবে আমেরি তার উদাহরণ। আমেরির বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ। এটা টাকা আদায় করার মেশিনে পরিণত হয়েছিল। সেদিক দিয়ে আরেকটা পাপের মৃত্যু হল। শিক্ষা এবং চিকিৎসাকে ব্যবসার বাইরে রাখতে হবেই। সরকারি চিকিৎসা খারাপ হলে- কমিউনিটির হাতে যেমন মিউনিসিপালিটি বা দরকার হলে চিকিৎস্ ক কোয়াপরেটিভের হাতে হাসপাতাল চলুক

Friday, November 25, 2011

বাজার আনন্দের "শেষ বামপন্থী"

খুচরো বিণপন ক্ষেত্রে বা দেশী রিটেলে বিদেশী বিনিয়োগের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল-এই ব্যপারে বাজার আনন্দর সম্পাদকীয় বক্তব্যঃ

" কারণ, যাঁহাকে রাজ্য চালাইতে হয়, অর্থ সংস্থানের কথা ভাবিতে হয় তাঁহার পক্ষে বাস্তববাদী হওয়া ভিন্ন উপায় নাই। দুঃখের কথা, শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায় চোখ বুজিয়া থাকিলেন। ‘পরিবর্তন’-এর হাওয়ায় ভর করিয়া তিনি পশ্চিমবঙ্গের মসনদে অধিষ্ঠিত হইয়াছেন। কিন্তু, তাহা নিতান্তই বাহ্যিক পরিবর্তন। মানসিকতায় কোনও পরিবর্তন আসে নাই। একুশ শতকের বিশ্ব-অর্থনীতি কোন পথে হাঁটিতেছে, তাহা বুঝিতে তিনি ব্যর্থ। খুচরা বিক্রয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আসিলে আখেরে যে সাধারণ মানুষেরই লাভ, এই কথাটি তিনি বুঝিয়াও বুঝেন নাই।"

আনন্দবাজারের সম্পাদকীয় কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ লেখেন আমি জানি না। তাদের কাছে আমি শুধু কিছু তথ্য পেশ করতে চাইব
(১) ১৯৭৮ সালে আমেরিকান বাজারে , নিয়ন্ত্রনমূলক আইনের সংখ্যা ছিল ৮০,০০০/ বর্তমানে, সংখ্যাটি ২,৪০,০০০ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ বাজার সরকারকে টেকাতে, ধণতন্ত্রের তথা উদার অর্থনীতির পীঠস্থানে রেগুলেশনের সংখ্যা তিনগুন বাড়ানো হয়েছে তিন দশকে মধ্যে। এবং তার সবটায়, আরো স্বাস্থ্যপূর্ণ বাজারের জন্যে।

(২) যে রেগুলেশনগুলো বাড়ানো হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশী যে আইনটি বারবার বলপ্রয়োগ করে চাপাতে হয়েছে-তার নাম এন্টিট্রাস্ট। অর্থাৎ দুটি প্রতিযোগী কোম্পানী কখনো একসাথে মিশে বা গোপনে দামের শলা করে বাজারে একাধিপত্য কায়েম রাখতে পারবে না। অর্থাৎ কোন কোম্পানী যাতে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তার জন্যে আমেরিকাতে সরকার সব থেকে বেশী আইন জারী রেখেছে।

(৩) এবার আসি আমেরিকাতে অর্গানাইজড রিটেলের প্রসঙ্গে। ওয়ালমার্টের জন্যে বহু স্থানীয় মুদিখানার দোকান উঠে গেছে। এমন কিছু দোকান যা ওয়ালমার্টের আগমনে উঠছে উঠছে করছে, তাদের সাথে আমি কথা বলে বুঝেছি ছোট ব্যবসায়ীদের কি যন্ত্রনা। ওশান সিটি যাওয়ার পথে রুট ৫০ এর ওপর ১৫০ বছরের পুরানো একটা দোকানে একবার বাটার আর স্থানীয় চকলেট কিনেছিলাম। সেইবারই মালিকিন আমাকে বলেছিল-এর পরের বার আর আমদের দেখতে পাবেন না-এখানে ওয়ালমার্ট এসে গেছে। কি অদ্ভুত। ২০১০ সালেই দেখেছি সেই দোকানে ঝাঁপ নেমে গেছে। এছাড়ার আরো অনেকের সাথে আমার কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে-নিজের চোখে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পিকেটীং দেখেছি ওয়ালমার্টের বিরুদ্ধে।

(৪) অনেকের ধারনা অর্গানাইজড রিটেল-মানে এই সব ঝকঝকে মল বানিয়ে -কি দারুন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা দেবে! খুব ভুল ধারনা খাওয়াচ্ছে বাজার আনন্দ আর বাংলা মিডিয়া। অর্গানাইজড রিটেলের ক্ষেত্রে উৎপাদক পুরো দিশে হারা হয়ে যাবে। ওয়ালমার্টের উৎপাতে শুধু ব্যবসা বন্ধ হয় নি-স্থানীয় যেসব দুধ, দই ইত্যাদির উৎপাদন ছিল-তারাও ঝাঁপ টেনেছে। কারন ওয়ালমার্ট ভেন্ডরকে যে পয়সা দেয়, তাতে শুধু বড় বড় উৎপাদকরাই পারে সাপ্লাই দিতে। স্থানীয় অর্থনীতি ভেঙে যাবে-যা আমেরিকার বহু শহরে হয়েছে। এমন একটা টাউন দেখেছিলাম ভার্জিনিয়াতে- মাইনিং টাউন অক্সিডেন্ট। খুব কম লোকের বাস। তাও আগে শহরে বেশ কিছু দোকান ছিল-আশে পাশে কিছু শাক সব্জির উৎপাদন হত এককালে। ওয়ালমার্ট আসার পর সব দোকান বন্ধ। শুধু একপায়ে ওয়ালমার্ট দাঁড়িয়ে!

(৫) ওয়ালমার্ট আমেরিকান বাজাএর কোয়ালিটিও সাংঘাতিক কমিয়ে দিয়েছে। ওয়ালমার্টের যেকোন জিনিস যেমন সস্তা -ঠিক ততটাই বাজে। সেদিন ওয়ালমার্ট থেকে একটার সস্তার স্ক্রু ড্রাইভার কিনলাম-স্ক্রু খোলার বদলে, ড্রাইভারের মুন্ডীগেল ঘুরে। এত বাজে কোয়ালিটি ভারতেও দেখি নি। ওরা ভেন্ডরদের পয়সা কমাতে কমাতে এমন জায়গায় এনেছে, আর কোন কোয়ালিটি সাপ্লায়ার নেই ওয়ালমার্টে।

এন্টিট্রাস্ট আইন যদি ক্রেতাদের কথা ভেবে করা হয়ে থাকে অর্গানাইজড রিটেল বন্ধেও আইন দরকার। ভারতে খাবারের দাম যে হারে বাড়ছে-সেখানে খাবারের সাপ্লাই চেইন উন্নত না করে, মল বানানো দৃষ্টিকটুই শুধু না-সম্পূর্ন ভুল দিকে একটা দেশকে চালনা করা। আর সেই ভুল পথে চালনা করতে বাজার আনন্দের চেয়ে পারদর্শী আর কে আছে?

Thursday, November 24, 2011

এ পি ডি আর এবং একটি গণতান্ত্রিক তামাশা

সম্প্রতি দিদির সাথে কূট কাচালে, তৃণমুলের অতীত সহচর এ পি ডি আর ( গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি
http://apdr.org.in/index.html) নামে একটি সংগঠনের ভূমিকা কিছুটা মিডিয়া লাইমলাইট টানছে। অতীতে সিপিএমের অভিযোগের সূত্র ধরে এবার তৃণমূলীরাও বলছে এটি মাওবাদিদের মুখোশ-একটি মাওবাদি সহানুভূতিশীল শাখা সংগঠন।

অতীতে এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল সিপিএম। তখন তৃণমূল, এর উল্টোগীত গেয়েছিল। এখন দায়ে পড়ে এপিডিয়ারের বিরোধিতা করছে। এমন ভাব যেন তৃণমূল এতদিন জানত না, এ পি ডি আর মাওবাদি বা মাওবাদি সহানুভূতিশীলদের মুখোশ মাত্র। সিপিএমের লাঠি আর বন্দুকের বিরুদ্ধে তখন তৃণমূলের দরকার ছিল সশস্ত্র সাপোর্ট-সেটা ভারতে একমাত্র মাওরাই দিতে পারত দিদিকে। দিয়েও ছে। এখন যখন আর প্রয়োজন নেই, সংঘাত সামনা সামনি।

এপিডিআরের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করলে, এটা খুবই পরিস্কার তারা মাওবাদিদের শাখা সংগঠন এবং পশ্চিম বঙ্গে মাওবাদিদের রক্ষা করা তাদের প্রথম কাজ। গণতান্ত্রিক দাবিটা মুখোশ-কারন মাওবাদের মতন বা কমিনিউমের মতন বা লেনিন বাদিদের মতন চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক বা গণতন্ত্র বিরোধি মতবাদের বিরুদ্ধে তারা কোন দিন একটাও বিবৃতি দেয় নি। মাওদের বিরুদ্ধে তাদের কোন বিবৃতি নেই-কোন কোন নক্সাল আমাকে বলেছিল, এটা মিডিয়ার চাল। এপিডিয়া মাওদের বিরুদ্ধেও "নাকি" বিবৃতি দিয়েছে-মিডিয়া সেসব নাকি প্রচার করে না!!!

এটা হচ্ছে এপিডিয়ার সাইটের প্রেস রিলিজ-এখানে মাওদের বিরুদ্ধে কোন বিবৃতি পাবেন না



এর পরেও আছে। গত ছমাস তৃণমূলীদের অত্যাচারে অনেক সিপিএম কর্মী মারা গেছেন-অনেকেই ঘর ছাড়া। এপি ডিয়ার সেসব নিয়ে চিন্তিত না। তাদের চিন্তা কি করে মাওবাদিদের বাঁচানো যায় যৌথবাহিনীদের হাত থেকে। এখনত জলের মতন পরিস্কার সিপিএমের পতনের পর গ্রামবাসীরা আর মাওবাদিদের চাইছে না-তারাই ইনফর্মাএরের কাজ করে মাওদের ধরিয়ে দিচ্ছে। আগে সিপিএমের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে তারা মাওদের আশ্রয় দিত-এখন আর দিচ্ছে না। ঠিক এই জন্যেই ধরা পরে মারা গেলেন কিশানজী।
এপিডিয়ার যুদ্ধ "বিরতি" নিয়ে বেশী ব্যস্ত ছিল। কিসের যুদ্ধ? মাওবাদিরা কি সংবিধানিক শক্তি যে তাদের সাথে টেবিলে বসতে হবে? তারাত ঘোষিত গণতন্ত্র বিরোধি শক্তি-তাদেরকে কি করে রক্ষা করার কথা ভাবতে পারে সুজাত ভদ্রর দলবল?

সরকারের শক্তি কমিয়ে জনগনের হাতে শক্তি তুলে দিতে গেলে শুধু গণতন্ত্রের মাধ্যমে হবে না। ভোটের মাধ্যমেও হবে না। উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর জনগনের অধিকার আনতে হবে। তার জন্যে বন্দুকের নলের ডগায় বিপ্লবের দরকার নেই-কোয়াপরেটিভ আন্দোলনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কমিউনিটি লিডারশীপ আনা যেতে পারে। রাষ্ট্রের উৎপীড়ন কমানোর একটাই রাস্তা-সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের হাত থেকে উৎপাদন ব্যবস্থার কতৃত্ব কেড়ে, তা আস্তে আস্তে কমিউনিটিকে দেওয়া। কোয়াপরেটভ কে দেওয়া।
রাষ্ট্রের হাত থেকে ক্ষমতা কমানোর জন্যে কমিনিউস্ট গেরিলাদের সাহায্য করার চেয়ে বড় মূর্খামি আর কি হতে পারে? কারন কমিনিউস্টরাই সব থেকে বড় অত্যাচারি রাষ্ট্রে দমনমূলক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে। সুতরাং এপিডিয়ারের কাজকর্ম হচ্ছে মশা মারতে বাঘ ডেকে আনা। সুতরাং সবদিক দিয়েই প্রমাণিত এপিডি আর নামেই গণতান্ত্রিক রক্ষা সমিতি-এটি আসলে মাওবাদিদের আখড়া। এবং সেই ভাবেই এদের দেখা উচিত।