বাস্তবটাকে স্বীকার করাতে কল্পনাপ্রেমিক বাঙালীর সমস্যা সর্বদা। বাস্তব এটাই কোলকাতার সব ব্যবসা মারোয়ারী ব্যবসায়ীদের হাতে যাদের " বিজনেস এথিকস" বলতে কিছু নেই-সমাজমুখী কোন চিন্তাই নেই।ঘুঁশ দিয়ে, সব সরকারী আইনকে হিমঘরে পাঠিয়েছে এরা। নইলে কি করে একাধিক সরকারী আইন ভাঙা হল আমেরীতে? আর তোদি, গোয়েঙ্কাদের ধরবে কে? এরেস্ট ত আই ওয়াশ। কালকেই শিল্প স্থাপনের জন্যে মমতাকে তোদির কাছে ছুটতে হবে।
সরকারের ঘুম ভাংবে? বাজে কথা। ইন্সপেকশন করলে কোলকাতার ৭০% বাড়ির মালিকদের লাইসেন্স বাতিল হবে। সে ক্ষমতা কার আছে? কারুর নেই। আর নেই বলেই কালকে আবার আরেকটা আগুনের ঘটনা হবে। হবেই। আমি স্টিফানকোর্টের আগুনের ঘটনার সময় এই কথাটাই লিখেছিলাম। যেখানে ১০০/১০০০ টাকা দিয়ে ইন্সস্পেক্টর ম্যানেজ করলে ১ লাখ টাকা লাভ, সেই পাটিগণিতের সুবিধা নেবে না কোন মারোয়ারী? সমাজের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাবসা করাটা ভারতীয় ব্যাবসায়ী ফামিলিগুলির মধ্যে নেই।
এর মধ্যে যদি ব্যবসার নাম চিকিৎসা আর শিক্ষা হয়-তাহলে, তার মধ্যে এই শ্রেনীর ব্যাবসায়ীরা ঢুকলে কি হবে আমেরি তার উদাহরণ। আমেরির বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ। এটা টাকা আদায় করার মেশিনে পরিণত হয়েছিল। সেদিক দিয়ে আরেকটা পাপের মৃত্যু হল। শিক্ষা এবং চিকিৎসাকে ব্যবসার বাইরে রাখতে হবেই। সরকারি চিকিৎসা খারাপ হলে- কমিউনিটির হাতে যেমন মিউনিসিপালিটি বা দরকার হলে চিকিৎস্ ক কোয়াপরেটিভের হাতে হাসপাতাল চলুক
No comments:
Post a Comment