কোলকাতার দু পয়সার বামপন্থী "ধর্মনিরেপেক্ষ" বুদ্ধিজীবিরা এখন কোথায় যারা কোলকাতার লিব্যারাল কালচার নিয়ে গর্ব করেন?
এই কোলকাতায় মুসলমান আর হিন্দু কোলকাতা কি আলাদা? নইলে কি ভাবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের ওপর বোরখা পড়ার ফতেয়া দেওয়া হয় এবং সেই ফতেয়া না মানার জন্যে বাংলার শিক্ষিকা শিরিন মিদ্যাকে অন্য ক্যাম্পাসে যেতে হয়? এবং এই রাজ্যে একটি নাকি বামপন্থী সরকার চলছে যারা এই ধরনের আরো ইসলামিক "বিশ্ববিদ্যালয়" এবং ৩০০ টি মাদ্রাসা খুলছে। এবং আমাদের সংখ্যালঘু মন্ত্রী আবুস সাত্তার এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে চান নি-কারন করলে বামপন্থী অথবা ইসলাম-একটি কূলত খোয়াতেই হত। ভোটের আগে আর কে রাজনৈতিক রিস্ক নিতে চাই। বামপন্থা বা ইসলাম-সবারই ভোটব্যাঙ্ক আছে!
মৌলবাদের কোন ধর্ম হয় না। ইসলামিক মৌলবাদকে প্রশয় দিলে হিন্দু মৌলবাদ ও ফোঁস ফোঁস করবে। কারন হিন্দুত্ব বলে কোন আইডেন্টি হয় না-ইসলাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়েই বিজেপি হিন্দুত্বের আইডেন্টি তৈরী করে যা এই দেশের জন্যে সর্বনাশা। আর এই সর্বনাশের মূল উৎস ? ইসলামিক মৌলবাদকে তথাকথিত প্রতিটি ধর্ম নিরেপেক্ষ পার্টির সস্নেহে দুধ কলা দিয়ে পালন।
মুসলমানদের তোষন করার জন্যে এর রাজ্যে ধর্ম নিরেপেক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা খোলার জন্য হুটোপুটি চলছে। আমি বড়াবর এর প্রতিবাদ করেছি-কারন হিন্দু মুসলিমকে আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ বাড়বে- কমবে না। মুসলিম এলাকাগুলিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই দরকার-কিন্ত সেখানে কি দরকার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মেয়েদের বোরখা পড়ে আসার ফতেয়া দেওয়া হয়? খবর পড়ে মনে হচ্ছে, সেখানে সরকারি ট্যাক্সের টাকায় ইসলামিক মৌলবাদের চাষাবাষ ছাড়া আর বিশেষ কিছু হয় না।
খোদ কোলকাতায় ফতেয়া দেওয়া হচ্ছে-আর কি অদ্ভুত নীরবতা আমাদের "বামপন্থী বুদ্ধিজীবিদের"-যাদের জীবনের একটাই উদ্দেশ্য-হয় মমতা নইলে সিপিএমে উচ্ছিষ্ট প্রসাদভোগ।
মনে রাখতে হবে ধর্মীয় মৌলবাদের একটিই পরিচয়-সেটা হল মহিলাদের পর্দার পেছনে পাঠানো। মৌলবাদের ধর্ম নারীর অধিকার খর্ব করা-তার রং গেরুয়া না সবুজ সেটা দেখে লাভ নেই। মহিলাদের অধিকার খর্ব করার ব্যাপারে দুই ধর্মই সিদ্ধহস্ত।
কিন্ত একটা বাড়তে দিলে, আরেকটা বাড়বেই।
Tuesday, June 1, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment