আবার হইল।
এবার মাওবাদিরা বিষ্ফোরন ঘটালো হাওড়া-কুড়লা এক্সপ্রেসে। শতাধিক নিহত হওয়ার আশঙ্কা।
আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, এটা গৃহযুদ্ধ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও আমদের মানতে হবে আমরাই এই যুদ্ধের জনক। আদিবাসিদের প্রতি বঞ্চনা, তাদের হাতের রাইফেলের নল হয়ে বেড়চ্ছে-এই কথাগুলি যতটা সত্য, ততটাই সত্য
আদিবাসিদের ভুল পথে পরিচালনা করা হচ্ছে। কমিনিউস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ান এবং চীনে আদিবাসীদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তা ইতিহাসে তুলনাহীন। সুতরাং এই বঞ্চনার উত্তর ছিল উন্নততর গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে-কমিনিউজমের মতন হঠকারি মানুষ খুনের তত্ত্বে না।
কিন্ত অবস্থা এখন যা দাঁড়িয়েছে, কড়া হাতে মাওবাদি এবং সিভিল সমাজে লুকিয়ে থাকা তাদের সমর্থকদের খুঁজে খুঁজে বাড় করতেই হবে। তার মানে অবশ্যই এই নয় যে, যে সব ভ্রান্ত তরুণ তরুনীরা কমিনিউস্ট স্বর্গের রূপকথায় ভুলে মাওবাদিদের সমর্থক হয়েছে তাদের জেলে পুড়তে হবে। মোটেও তা না-কিন্ত তাদের চিহ্নিত করা দরকার সাপ্লাই লাইন কেটে দেওয়ার জন্যে। গোটা দেশে মাওবাদিদের বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভকে কাজে লাগাতে না পারলে এই গৃহযুদ্ধ ইস্রায়েল থেকে সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট দিয়ে জেতা যাবে না। ভারতীয় জনগণের মনে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সঙ্গত কারনেই ক্ষোভ আছে-এবং সেটাই মাওবাদিদের সেরা অস্ত্র। সুতরাং আদিবাসি এলাকাগুলোতে, খনিমালিকদের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার ফেরানোর লড়াইটাই আসল গৃহযুদ্ধ।
কমিনিউজমের ইতিহাসে চারিদিকে শুধু রক্ত। কারন এই আদর্শবাদ বিশ্বাস করে মানুষের থেকে সমাজ এবং পার্টি বড়! তাই মানুষ তাদের এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ। মাওবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এ কমিনিউজম নামক দৈত্যটার সাথে মানুষের সম্যক পরিচয় করাতে হবে-নইলে মাওবাদ, লেনিনবাদ ইত্যাদি মানুষ খুনকরা মতবাদগুলির পাঁকে পড়ে আরো বেশী সংখ্যক তরুন মাওবাদি হবে। তাত্বিক সাপ্লাইলাইন না কাটলে, মাওবাদ ধ্বংশ হবে না।
Thursday, May 27, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment