ভূমি সংস্কার ছাড়া জ্যোতি বাবুর ঝুলিতে সাফল্য বলতে আর কি আছে?
গ্রামের শ্রমিকদের রোজ পশ্চিম বঙ্গে সব থেকে কম। শিল্প উনার পোষ্যপুত্র সিটুর অত্যাচারে সুরসুর করে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়েছে। ক্ষুদ্র শিপ্লের জন্যে বিদ্যুতের জোগান টুকুও ঠিক ঠাক দিতে পারেন নি। গ্রামে জমিদারদের বদলে পার্টির নেতারা শোষকের স্থান নিয়েছে। সরকারি অফিসগুলোকে কোর্ডিনেশন কমিটির অফিস উনিই বানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকতা এবং উপাচার্য্য হওয়ার একমাত্র কোয়ালিফিকেশন হচ্ছে লাল রঙের গেঞ্জী এবং জাঙ্গিয়া পড়ে ঘুরে বেড়ানো। মধ্যম মেধায় ছেয়ে গেছে পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষায়াতনগুলি। বাংলা সিনেমা প্রায় উঠে গেছে। পার্ট গেঁষা নাট্যকার না হলে এই রাজ্যে টিকে থাকা মুশকিল।
একটা সেমি-ফ্যাসিস্ট স্বৈরতন্ত্রের তিনি জনক এবং বিধাতা। হিটলার এবং স্টালিনের ঝুলিতে তাও কিছু সাফল্য ছিল। কিন্ত এমন একটা মধ্যম মেধার চূড়ান্ত ব্যার্থ মুখ্যমন্ত্রী যিনি দ্বায়িত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত এবং বর্তমানকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করেছেন-তাকে নিয়ে নাচানাচি দেখে রাজ্যবাসী হিসাবে আমি লজ্জিত। স্তম্ভিত।
না। উনি চূড়ান্ত ব্যার্থ একজন নেতা হিসাবেই ইতিহাসে জায়গা করে নেবেন। যারা একটা জাতি বা সভ্যতাকে ধ্বংশের পথে নিয়ে যায়-ইতিহাসের তাদেরও জায়গা থাকে।
Sunday, January 17, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment