Sunday, January 17, 2010

ভূমি সংস্কার ছাড়া জ্যোতি বাবুর ঝুলিতে সাফল্য বলতে আর কি আছে?

ভূমি সংস্কার ছাড়া জ্যোতি বাবুর ঝুলিতে সাফল্য বলতে আর কি আছে?
গ্রামের শ্রমিকদের রোজ পশ্চিম বঙ্গে সব থেকে কম। শিল্প উনার পোষ্যপুত্র সিটুর অত্যাচারে সুরসুর করে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়েছে। ক্ষুদ্র শিপ্লের জন্যে বিদ্যুতের জোগান টুকুও ঠিক ঠাক দিতে পারেন নি। গ্রামে জমিদারদের বদলে পার্টির নেতারা শোষকের স্থান নিয়েছে। সরকারি অফিসগুলোকে কোর্ডিনেশন কমিটির অফিস উনিই বানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকতা এবং উপাচার্য্য হওয়ার একমাত্র কোয়ালিফিকেশন হচ্ছে লাল রঙের গেঞ্জী এবং জাঙ্গিয়া পড়ে ঘুরে বেড়ানো। মধ্যম মেধায় ছেয়ে গেছে পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষায়াতনগুলি। বাংলা সিনেমা প্রায় উঠে গেছে। পার্ট গেঁষা নাট্যকার না হলে এই রাজ্যে টিকে থাকা মুশকিল।
একটা সেমি-ফ্যাসিস্ট স্বৈরতন্ত্রের তিনি জনক এবং বিধাতা। হিটলার এবং স্টালিনের ঝুলিতে তাও কিছু সাফল্য ছিল। কিন্ত এমন একটা মধ্যম মেধার চূড়ান্ত ব্যার্থ মুখ্যমন্ত্রী যিনি দ্বায়িত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত এবং বর্তমানকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করেছেন-তাকে নিয়ে নাচানাচি দেখে রাজ্যবাসী হিসাবে আমি লজ্জিত। স্তম্ভিত।

না। উনি চূড়ান্ত ব্যার্থ একজন নেতা হিসাবেই ইতিহাসে জায়গা করে নেবেন। যারা একটা জাতি বা সভ্যতাকে ধ্বংশের পথে নিয়ে যায়-ইতিহাসের তাদেরও জায়গা থাকে।

Thursday, January 14, 2010

হরিপুরে বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যাপারে তৃনমূল সদার্থক ভুমিকা নিক।

হরিপুরে বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যাপারে তৃনমূল সদার্থক ভুমিকা নিক


টাটা তথা শিল্প খেদানোর পর এই রাজ্যকে ডোবানোর আরেকটা নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। সেটা হচ্ছে হরিপুর।

পরমানু বিদ্যুত ছারা এই মুহুর্তে তাপবিদ্যুতের আর কোন বিকল্প নেই। সোলার বা উইন্ড রিয়ালেবল না। যদ্দিন না হাইড্রোজেন চুল্লী না আসে, ইউরেনিয়াম চুল্লীতেই চলবে গোটা পৃথিবী। আর দেখে শুনে মনে হচ্ছে বাম বাঙালী মনে করে ঢপে চপের ওপর চলে পৃথিবী।

বিদ্যুত না হলে পশ্চিম বঙ্গের শিল্পায়ন সম্ভব না। কিছুই সম্ভব না প্রাক্টিক্যালি।

এই ব্যাপারে বুদ্ধ সদর্থক। কিন্ত মমতা রাজনীতি করে হরিপুর পন্ড করতে চাইছেন। এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করে উনি পশ্চিম বঙ্গকে শিল্প শ্বশান বানিয়েছেন। বেকারদের ভাত খেয়েছেন। এবার উনি ছোট ছোট শিল্প গুলোকে বিদ্যুত না দিয়ে মারবেন। এই সর্বনাশা বামধারা পশ্চিম বঙ্গে বন্ধ হৌক।

পরিবর্তন হোক-সমগ্র বঙ্গই আজ তা চাইছে। কিন্ত রাজ্যের স্বার্থকে ধ্বংশ করে যেভাবে তৃণমূলের সিপিএমকরন হচ্ছে, তাতে একটা সিপি এম পার্টিকে সরিয়ে আরেকটা আসবে বলেই মনে হচ্ছে।

মমতা ব্যানার্জিকে রাজ্য রাজনীতির উর্ধে উঠে, এই রাজ্যের বেকার ব্যাবসায়ীদের কথা ভাবতে হবে আগে। উনি কমিনিউস্টদের অত্যাচার থেকে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করেছেন-আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্ত এই ভাবে রাজ্যের রুজি রোজগারে উনি থাবা মারতে পারেন না।